অসহযোগ আন্দোলনে যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন সমন্বয়করা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শনিবার (৩ আগস্ট) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া আগামীকাল রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। এই অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলামের নামে পাঠানো এক বার্তায় এ জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. কেউ কোন ধরণের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
২. বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোন ধরণের বিল পরিশোধ করবেন না।
৩. সকল ধরণের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কল কারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোন ধরণের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
৬. সকল ধরণের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোন ধরণের পণ্য খালাস করবেন না।
৮. দেশের কোন কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই-বোনেরা কাজে যাবেন না।
৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
১০. জরুরি ব্যাক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যাতিত কোন ধরণের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সকল অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
১৩. বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যাতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
১৫. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপনী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
এছাড়া হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা যেমন-ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণ সহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়।