ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী Logo শায়েস্তাগঞ্জে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির হিড়িক, জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র Logo হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ Logo হাদিকে গুলি: হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি Logo শায়েস্তাগঞ্জ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo চুনারুঘাট উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাক-চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত Logo হবিগঞ্জ বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত Logo বেইলিব্রিজ ভেঙে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন Logo আমার বাবার হত্যাকারীদের শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন-নবীগঞ্জের নিজ বাড়িতে ড. রেজা কিবরিয়া

আজমিরীগঞ্জে অগ্নিকান্ডে বসতঘর ভস্মিভূত ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কনৌজ কান্তি ব্যানার্জী,আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ে রতন রায় চৌধুরীর মালিকাধীন আসবাবপত্র সহ একটি বসতঘর অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পুরো গ্রাম। বানিয়াচংয়ের একট ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্হলে এসে এক ঘন্টার আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় ওই এলাকার সাহানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে বলে গ্রামের লোকজন জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ের সাহানগর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বসতঘরের মালিক ও অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রতন রায় চৌধুরী তার পরিবার সদস্যদের নিয়ে সিলেট শহরতলিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। কয়েকদিন আগে সে বাড়ীতে এসে আরও ভাড়াটিয়া নিযুক্ত করতে বেশকিছু কক্ষ তৈরি সহ বসতঘরের সংস্কারকাজ করান। এদিকে ওই বসতঘরে বর্তমানে সুশীল রায় নামে এক ব্যবসায়ী ভাড়াটিয়া হিসেবে বেশদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। গ্রামের লোকজন জানায়, সুশীল রায় ওই ঘরের দু’তলায় থাকেন, অপরদিকে নীচতলায় একটি কনফেকশনারী দোকান পরিচালনা করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে অন্যান্য দিনের মত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এদিকে রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ টায় হঠাৎ করে পুরা গন্ধ অনুভব হলে, নীচে নেমে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পর বাইরে হয়ে শোর-চিৎকার শুরু করেন। শোর-চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে তিন ঘন্টা ব্যাপি নলকূপ সহ আশপাশের জলাশয় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এরই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে খবর পেয়ে, বানিয়াচংয়ের একটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্হলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পর দীর্ঘ এক ঘন্টার নিরলস চেষ্টার পর রাত অনুমানিক সাড়ে ৪ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ারসার্ভিস। এরই মধ্যে সুশীল রায়ের কনফেকশনারী দোকানের বিভিন্ন মালামাল, ব্যবসার কাপড়ের গাইড, ঘরের আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যথাসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল পুরো গ্রাম। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা স্থানীয়দের। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
১৪৭ বার পড়া হয়েছে

আজমিরীগঞ্জে অগ্নিকান্ডে বসতঘর ভস্মিভূত ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় ১১:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ে রতন রায় চৌধুরীর মালিকাধীন আসবাবপত্র সহ একটি বসতঘর অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে পুরো গ্রাম। বানিয়াচংয়ের একট ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্হলে এসে এক ঘন্টার আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় ওই এলাকার সাহানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে বলে গ্রামের লোকজন জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ের সাহানগর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বসতঘরের মালিক ও অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রতন রায় চৌধুরী তার পরিবার সদস্যদের নিয়ে সিলেট শহরতলিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। কয়েকদিন আগে সে বাড়ীতে এসে আরও ভাড়াটিয়া নিযুক্ত করতে বেশকিছু কক্ষ তৈরি সহ বসতঘরের সংস্কারকাজ করান। এদিকে ওই বসতঘরে বর্তমানে সুশীল রায় নামে এক ব্যবসায়ী ভাড়াটিয়া হিসেবে বেশদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। গ্রামের লোকজন জানায়, সুশীল রায় ওই ঘরের দু’তলায় থাকেন, অপরদিকে নীচতলায় একটি কনফেকশনারী দোকান পরিচালনা করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে অন্যান্য দিনের মত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এদিকে রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ টায় হঠাৎ করে পুরা গন্ধ অনুভব হলে, নীচে নেমে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পর বাইরে হয়ে শোর-চিৎকার শুরু করেন। শোর-চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে তিন ঘন্টা ব্যাপি নলকূপ সহ আশপাশের জলাশয় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এরই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে খবর পেয়ে, বানিয়াচংয়ের একটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্হলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পর দীর্ঘ এক ঘন্টার নিরলস চেষ্টার পর রাত অনুমানিক সাড়ে ৪ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ারসার্ভিস। এরই মধ্যে সুশীল রায়ের কনফেকশনারী দোকানের বিভিন্ন মালামাল, ব্যবসার কাপড়ের গাইড, ঘরের আসবাবপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যথাসময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল পুরো গ্রাম। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা স্থানীয়দের। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।