ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজমিরীগঞ্জে দুই লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড়

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপের মুখে দুই শিশুর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এখন পর্যন্ত আইনী প্রদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আজমিরীঞ্জ থানার ওসিকে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত এ নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার দুপুরে আজমিরীগঞ্জে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ওই গ্রামের গোবিন্দ্র দাসের ছেলে শিশু প্রলয় দাস (৭) ও রুবেল দাসের ছেলে সুর্য দাস (৬)-এর মৃত্যু হয়।

পরে তাদেরকে পাহাড়পুর মহাশশ্মানের দেয়াল সংলগ্ন মাটিতে সমাধি দেওয়া হলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে পড়েন অভিভাবকরা।

এক পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস ও কোষাধ্যক্ষ অসিত দাস লাশ তুলতে বাধ্য করেন। যে কারণে মাটি থেকে শিশুদের লাশ তুলে কুশিয়ারা নদীতে ভাসিয়ে দেন অভিভাবকরা।

স্থানীয়রা জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তাদের এলাকায় প্রভাব রয়েছে।

তাদের দিক নির্দেশনায় চলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি। আর পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে ওই শিশুদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হন তাদের অভিভাবকরা। এ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত দুই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি আইনি কোনো পদক্ষেপ।

এ ব্যাপারে আজমিরীঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় আদেশের কপিটি পেয়েছি। এরপর থেকে ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক বলেন, ঘটনাটি খুবই অমানবিক। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে পরিবারকে শান্তনা দিয়েছি এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
২৯ বার পড়া হয়েছে

আজমিরীগঞ্জে দুই লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড়

আপডেট সময় ০৪:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপের মুখে দুই শিশুর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এখন পর্যন্ত আইনী প্রদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আজমিরীঞ্জ থানার ওসিকে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত এ নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার দুপুরে আজমিরীগঞ্জে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ওই গ্রামের গোবিন্দ্র দাসের ছেলে শিশু প্রলয় দাস (৭) ও রুবেল দাসের ছেলে সুর্য দাস (৬)-এর মৃত্যু হয়।

পরে তাদেরকে পাহাড়পুর মহাশশ্মানের দেয়াল সংলগ্ন মাটিতে সমাধি দেওয়া হলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে পড়েন অভিভাবকরা।

এক পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস ও কোষাধ্যক্ষ অসিত দাস লাশ তুলতে বাধ্য করেন। যে কারণে মাটি থেকে শিশুদের লাশ তুলে কুশিয়ারা নদীতে ভাসিয়ে দেন অভিভাবকরা।

স্থানীয়রা জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেষ দাস স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। তাদের এলাকায় প্রভাব রয়েছে।

তাদের দিক নির্দেশনায় চলে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটি। আর পঞ্চায়েত কমিটির বাধার মুখে ওই শিশুদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হন তাদের অভিভাবকরা। এ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত দুই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি আইনি কোনো পদক্ষেপ।

এ ব্যাপারে আজমিরীঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় আদেশের কপিটি পেয়েছি। এরপর থেকে ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক বলেন, ঘটনাটি খুবই অমানবিক। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে পরিবারকে শান্তনা দিয়েছি এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।