ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজমিরীগঞ্জে হত্যাকান্ড ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের

কনৌজ ব্যানার্জী, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি :-

আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন নগর গ্রামে অবস্থিত শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ার সম্পদের হিসাব নিয়ে বিরোধের জের ধরে অজিত সূত্রধর নামে এক ব্যাক্তিকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টায় এলাকার চরবাজারের চন্দন চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্টানে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অজিত সূত্রধরের ভাই অভিমুন্য সূত্রধর বাদি হয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত- গোপেন্দ্র দেবের পুত্র গণোত্তম দেব, চুম্বক (৪৮) প্রধান করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ কে আসামি করে গতকাল রবিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাকি আসামিরা হল,
মৃত- নির্মলেন্দু হোমরায়ের পুত্র আশুতোষ হোমরায়, বুদ্ধ (৫০) মৃত- রাজকুমার সূত্রধরের পুত্র রাকেশ সূত্রধর, বৈরাগী (৫৫) মৃত- চুনীলাল চৌধুরীর পুত্র চন্দন চৌধুরী (৪৫) মৃত- নির্মলেন্দু হোমরায়ের পুত্র নীলোৎপল হোমরায়,লিটন (৪৬) মৃত- তরনী সূত্রধরের পুত্র রঞ্জিত সূত্রধর (৬০) মৃত- চন্দ্র দে রায়ের পুত্র আশীষ দে রায় (৪০) মৃত- সুধীর চৌধুরীর পুত্র সন্তোষ রঞ্জন চৌধুরী (৬০) মৃত- মনীন্দ্র দেবের পুত্র রতন দেব (৩৫) মৃত- ভানু দেবের পুত্র বাসব দেব (৩০) রাকেশ সূত্রধর, বৈরাগীর পুত্র রাংকু সূত্রধর (৩০) ও মৃত- নগেন্দ্র দেবের পুত্র প্রদিপ দেব (৩৫)। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন। মামলার বিবরণে জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন নগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত- আনন্দ সূত্রধরের পুত্র অজিত সূত্রধর এর একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত- গোপেন্দ্র দেবের পুত্র গণোত্তম দেব, চুম্বক গংদের সহিত শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ার সম্পদের হিসাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সালিশ-বৈঠকের আয়োজন করা হলে, প্রতিপক্ষের লোকজন ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায়, একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত- চুনীলাল চৌধুরীর পুত্র ও চরবাজারের লোহার দোকানের মালিক চন্দন চৌধুরী, তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে ডেকে নেয় অজিত সূত্রধরকে। একই সময় উল্লেখিত আসামিগন অজিত সূত্রধরকে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্টানে আটক করে রাখে। এক পর্যায়ে তারা অজিত সূত্রধরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমান করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ ও প্রধান আসামি গণোত্তম দেব চুম্বকের নির্দেশে উল্লেখিত আসামিরা অজিত সূত্রধরকে মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা আশংখাজনক অবস্হায় তাকে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

আজমিরীগঞ্জে হত্যাকান্ড ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের

আপডেট সময় ০৪:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন নগর গ্রামে অবস্থিত শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ার সম্পদের হিসাব নিয়ে বিরোধের জের ধরে অজিত সূত্রধর নামে এক ব্যাক্তিকে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টায় এলাকার চরবাজারের চন্দন চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্টানে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অজিত সূত্রধরের ভাই অভিমুন্য সূত্রধর বাদি হয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত- গোপেন্দ্র দেবের পুত্র গণোত্তম দেব, চুম্বক (৪৮) প্রধান করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ কে আসামি করে গতকাল রবিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাকি আসামিরা হল,
মৃত- নির্মলেন্দু হোমরায়ের পুত্র আশুতোষ হোমরায়, বুদ্ধ (৫০) মৃত- রাজকুমার সূত্রধরের পুত্র রাকেশ সূত্রধর, বৈরাগী (৫৫) মৃত- চুনীলাল চৌধুরীর পুত্র চন্দন চৌধুরী (৪৫) মৃত- নির্মলেন্দু হোমরায়ের পুত্র নীলোৎপল হোমরায়,লিটন (৪৬) মৃত- তরনী সূত্রধরের পুত্র রঞ্জিত সূত্রধর (৬০) মৃত- চন্দ্র দে রায়ের পুত্র আশীষ দে রায় (৪০) মৃত- সুধীর চৌধুরীর পুত্র সন্তোষ রঞ্জন চৌধুরী (৬০) মৃত- মনীন্দ্র দেবের পুত্র রতন দেব (৩৫) মৃত- ভানু দেবের পুত্র বাসব দেব (৩০) রাকেশ সূত্রধর, বৈরাগীর পুত্র রাংকু সূত্রধর (৩০) ও মৃত- নগেন্দ্র দেবের পুত্র প্রদিপ দেব (৩৫)। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন। মামলার বিবরণে জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন নগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত- আনন্দ সূত্রধরের পুত্র অজিত সূত্রধর এর একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত- গোপেন্দ্র দেবের পুত্র গণোত্তম দেব, চুম্বক গংদের সহিত শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ার সম্পদের হিসাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সালিশ-বৈঠকের আয়োজন করা হলে, প্রতিপক্ষের লোকজন ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায়, একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত- চুনীলাল চৌধুরীর পুত্র ও চরবাজারের লোহার দোকানের মালিক চন্দন চৌধুরী, তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে ডেকে নেয় অজিত সূত্রধরকে। একই সময় উল্লেখিত আসামিগন অজিত সূত্রধরকে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্টানে আটক করে রাখে। এক পর্যায়ে তারা অজিত সূত্রধরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমান করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ ও প্রধান আসামি গণোত্তম দেব চুম্বকের নির্দেশে উল্লেখিত আসামিরা অজিত সূত্রধরকে মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা আশংখাজনক অবস্হায় তাকে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।