আহলে সুন্নাত ঐক্য পরিষদের শান্তি সমাবেশে বক্তারা
হবিগঞ্জ আহলে সুন্নাত ঐক্য পরিষদের শান্তি সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১০ বছরেও বিশ্বনন্দিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আল্লামা শায়েখ নুরুল ইসলাম ফারুকী (রহ.) এর হত্যা মামলার কোন সুরাহা হয়নি। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির কারণে দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ভীতির মধ্যে জীবনযাপন করছে। জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হলে আল্লামা ফারুকী (রহ.) সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। আমরা আশাবাদী বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার আল্লামা ফারুকী (রহ.) সহ ছাত্র আন্দোলনে সকল হত্যাকান্ডের সুবিচার এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করবেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় হবিগঞ্জ কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে হবিগঞ্জ আহলে সুন্নাত ঐক্য পরিষদের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ আহলে সুন্নাত ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
অধ্যক্ষ গোলাম সরওয়ারে আলম এর সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও আমিরুল ইসলাম রামিম এর যৌথ সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- তরুণ ছাত্র সমন্বয়ক মহিবুর রহমান রাজন, মাহদী হাসান, হাফেজ আকরামুল হক, হাফেজ জাহিদুল হক, শাহ জুয়েল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ মুহাহ্মদ আলী বসনী, ইসলামী সংগঠন সমূহের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, মুফতি আব্দুল মোমিন আল আবেদী, মাওলানা কাজী সাইফুল মোস্তফা, কাজী এম.এ জলিল, রফিকুল ইসলাম জাফরি, মাহবুবুর রহমান আউয়াল, অধ্যাপক সহিদুল ইসলাম ও আলী মোহাম্মদ চৌধুরী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, শান্তি সমাবেশত্তোর র্যালিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থী-অভিভাবকবৃন্দ এবং আপামর সুন্নী জনতা অংশগ্রহণ করেন। র্যলীটি শহর প্রদক্ষিণ করে বেবিষ্ট্যান্ড চত্বরে এক পথ সভায় মিলিত হয়। এখানে বিভিন্ন মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে প্রশাসনকে এর প্রতিকারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আগামী রবিউল আওয়াল মাসে ১২ তারিখ বৃহত্তর জশনে জুলুছে যোগদানের জন্য সর্বস্তরের সুন্নি জনতার প্রতি দাওয়াত করা হয়। পরিশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী ছাত্র জনতা এবং শহীদে মিল্লাত আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী (রহ:) সহ সম্প্রতী বন্যায় মৃত্যুবরণকারী সকলের জন্য বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।