ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চুনারুঘাটের কৃতি সন্তান সালেহ উদ্দিন এনটিসি ও পিকেএসএফ’র পরিচালক নির্বাচিত Logo হবিগঞ্জে সবজির দাম আকাশছোঁয়া Logo শায়েস্তাগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় দোকান ভাংচুর ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগ নেতা Logo শায়েস্তাগঞ্জে পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে জি কে গউছ – বিএনপি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে Logo মাধবপুরে বিষপানে মা-ছেলের আত্মহত্যা Logo শারদীয় দুর্গাপূজা সারাদেশে ২৮৫৭ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৪৩০ প্লাটুন বিজিবি Logo হবিগঞ্জে রেকর্ডসংখ্যক ৬৬১ মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি Logo চুনারুঘাটে সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গাঘেরা পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা, অভাব পরিকল্পনার Logo হবিগঞ্জে সারজিস আলম এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিলে তার সমাধান রাজপথেই হবে Logo হবিগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি মুছে লেখা হলো ‘জয় বাংলা’

কম্পিউটার কিবোর্ডের অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে কেন

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

টাইপ করার জন্য কিবোর্ডে কোথায় কোন অক্ষর আছে তা মনে রাখতে হয়। এটা কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়। কারণ কিবোর্ডে বর্ণমালাগুলো এলোমেলো থাকে।তাই এগুলো মনে রাখতে প্রচুর অনুশীলন করতে হয়। কিবোর্ডের অক্ষরগুলো সাধারণ বর্ণনানুক্রমিক অনুসারে সাজানো হলে মানুষের এত অনুশীলনের প্রয়োজন হতো না। তাহলে কেন অক্ষরগুলো এলোমেলোভাবে রেখে কিবোর্ড তৈরি করা হয়।

সাধারণত আমরা যে কিবোর্ড ব্যবহার করি তার নাম হলো কোয়ার্টি। এই কিবোর্ডের বাম পাশে Q, W, E, R, T ও Y–এই ছয়টি ইংরেজি অক্ষর পাশাপাশি থাকে। এই ছয় অক্ষরবিন্যাস থেকে কিবোর্ডটির নামকরণ কোয়ার্টি।

কোয়ার্টি কিবোর্ডের সঙ্গে ১৮৭০ সালে তৈরি করা প্রথম টাইপরাইটারের সম্পর্ক রয়েছে। ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলেস প্রথম ব্যবহারযোগ্য ‘রেমিংটন মডেল ১’ টাইপরাইটার তৈরি করেন। তাঁর তৈরি প্রথম টাইপরাইটারের অক্ষরগুলো বর্ণানুক্রমিক ছিল। তবে এই টাইপরাইটারে দ্রুত টাইপ করার সময় এর কি গুলো আটকে যেত। কারণ এর রডগুলোর প্রায়ই একটি আরেকটির সঙ্গে সংঘর্ষ হতো। তাই এই টাইপরাইটারে ধীর গতিতে টাইপ করতে হতো।

ফাউন্ড্রি শোলেস তাঁর সহকর্মী কার্লোস গ্লিডেন ও আমোস ডেন্সমোর নামে এক শিক্ষাবিদের সঙ্গে মিলে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। তাঁরা কিবোর্ডের অক্ষরগুলো এমনভাবে সাজান যেন এগুলোর রড একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত না হয়। ফলে তাঁরা টাইপরাইটারের অক্ষরগুলো কোয়ার্টি বিন্যাসে সাজান। ১৯৭৮ সালে এই কোয়ার্টি কিবোর্ডের পেটেন্ট হয়। টাইপরাইটারের জন্য এই বিন্যাসকেই মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়। যারা টাইপরাইটারে লিখতেন তাঁরা এই বিন্যাসেই অভ্যস্ত হয়ে যান। এরপর রেমিংটন ২মডেলের টাইপরাইটারের জনপ্রিয়তার মাধ্যমে টাইপরাইটারের জন্য এই বিন্যাস একেবারেপাকাপোক্ত হয়ে যায়।

পরে কম্পিউটারে টাইপের জন্য কিবোর্ড তৈরি করা হলে এতেও অক্ষরের একই ক্রম অনুসরণ করা হয়। কারণ এত দিনে সবাই এই বিন্যাসেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আর কিছুদিন অনুশীলনের পরই কোয়ার্টি কিবোর্ডে দ্রুত টাইপ করা যায়। তাই এখনো সর্বজনীনভাবে এই বিন্যাসের কিবোর্ডই ব্যবহার করা হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের কিবোর্ড তৈরি করা হয়েছে। আঙুলের আরাম ও দ্রুত টাইপিংয়ের জন্য ডভোরাকের মতো বেশ কিছু কিবোর্ড বাজারে এসেছে। তবে কোয়ার্টি কিবোর্ডের জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কোনোটি যেতে পারেনি। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪
২১৩ বার পড়া হয়েছে

কম্পিউটার কিবোর্ডের অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে কেন

আপডেট সময় ০৮:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

টাইপ করার জন্য কিবোর্ডে কোথায় কোন অক্ষর আছে তা মনে রাখতে হয়। এটা কিন্তু সহজ কোনো বিষয় নয়। কারণ কিবোর্ডে বর্ণমালাগুলো এলোমেলো থাকে।তাই এগুলো মনে রাখতে প্রচুর অনুশীলন করতে হয়। কিবোর্ডের অক্ষরগুলো সাধারণ বর্ণনানুক্রমিক অনুসারে সাজানো হলে মানুষের এত অনুশীলনের প্রয়োজন হতো না। তাহলে কেন অক্ষরগুলো এলোমেলোভাবে রেখে কিবোর্ড তৈরি করা হয়।

সাধারণত আমরা যে কিবোর্ড ব্যবহার করি তার নাম হলো কোয়ার্টি। এই কিবোর্ডের বাম পাশে Q, W, E, R, T ও Y–এই ছয়টি ইংরেজি অক্ষর পাশাপাশি থাকে। এই ছয় অক্ষরবিন্যাস থেকে কিবোর্ডটির নামকরণ কোয়ার্টি।

কোয়ার্টি কিবোর্ডের সঙ্গে ১৮৭০ সালে তৈরি করা প্রথম টাইপরাইটারের সম্পর্ক রয়েছে। ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলেস প্রথম ব্যবহারযোগ্য ‘রেমিংটন মডেল ১’ টাইপরাইটার তৈরি করেন। তাঁর তৈরি প্রথম টাইপরাইটারের অক্ষরগুলো বর্ণানুক্রমিক ছিল। তবে এই টাইপরাইটারে দ্রুত টাইপ করার সময় এর কি গুলো আটকে যেত। কারণ এর রডগুলোর প্রায়ই একটি আরেকটির সঙ্গে সংঘর্ষ হতো। তাই এই টাইপরাইটারে ধীর গতিতে টাইপ করতে হতো।

ফাউন্ড্রি শোলেস তাঁর সহকর্মী কার্লোস গ্লিডেন ও আমোস ডেন্সমোর নামে এক শিক্ষাবিদের সঙ্গে মিলে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। তাঁরা কিবোর্ডের অক্ষরগুলো এমনভাবে সাজান যেন এগুলোর রড একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত না হয়। ফলে তাঁরা টাইপরাইটারের অক্ষরগুলো কোয়ার্টি বিন্যাসে সাজান। ১৯৭৮ সালে এই কোয়ার্টি কিবোর্ডের পেটেন্ট হয়। টাইপরাইটারের জন্য এই বিন্যাসকেই মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়। যারা টাইপরাইটারে লিখতেন তাঁরা এই বিন্যাসেই অভ্যস্ত হয়ে যান। এরপর রেমিংটন ২মডেলের টাইপরাইটারের জনপ্রিয়তার মাধ্যমে টাইপরাইটারের জন্য এই বিন্যাস একেবারেপাকাপোক্ত হয়ে যায়।

পরে কম্পিউটারে টাইপের জন্য কিবোর্ড তৈরি করা হলে এতেও অক্ষরের একই ক্রম অনুসরণ করা হয়। কারণ এত দিনে সবাই এই বিন্যাসেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আর কিছুদিন অনুশীলনের পরই কোয়ার্টি কিবোর্ডে দ্রুত টাইপ করা যায়। তাই এখনো সর্বজনীনভাবে এই বিন্যাসের কিবোর্ডই ব্যবহার করা হয়।

পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের কিবোর্ড তৈরি করা হয়েছে। আঙুলের আরাম ও দ্রুত টাইপিংয়ের জন্য ডভোরাকের মতো বেশ কিছু কিবোর্ড বাজারে এসেছে। তবে কোয়ার্টি কিবোর্ডের জনপ্রিয়তার ধারেকাছে কোনোটি যেতে পারেনি। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া