ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, নিহত বেড়ে ৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত দুজন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। অপরজনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহতরা হলেন, ফারুক ও ওয়াসিম আকরাম। ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

ফারুক পথচারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন। অপরজনের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুজহাত ইনু বলেন, হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এর মধ্যে ফারুক নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার দিকে মৃত ঘোষণা করা ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে বলে জানান তিনি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগেই হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা শুরুতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলেও পরে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হয়। কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে তারাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
১৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, নিহত বেড়ে ৩

আপডেট সময় ০৭:১৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত দুজন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। অপরজনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহতরা হলেন, ফারুক ও ওয়াসিম আকরাম। ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ফার্নিচারের দোকানে চাকরি করতেন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

ফারুক পথচারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন। অপরজনের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুজহাত ইনু বলেন, হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এর মধ্যে ফারুক নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার দিকে মৃত ঘোষণা করা ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে বলে জানান তিনি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগেই হামলা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা শুরুতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলেও পরে গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ শুরু হয়। কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে তারাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।