ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুনারুঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু পারাপারে ভোগান্তি দীর্ঘ যানজটে নাকাল যাত্রীরা

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে খরস্রোতা খোয়াই নদী। নদীর পূর্ব পারে চারটি ইউনিয়নে প্রায় দেড় লাখ মানুষ, আর পশ্চিম পারে ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে বিভক্ত করেছে এই নদী। আর দুই পারের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা খোয়াই নদীর ওপর এই বেইলি সেতু। অত্যন্ত সরু এই সেতু দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

সেতুটি সরু হওয়ার কারণে একসাথে দুটি যানবাহন পারাপার হতে পারেনা। ফলে ব্রীজের দুপাশে আটকা পরে শত শত যানবাহন। শহরে আসা যাওয়ায় মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায়ই থাকতে হয়। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

খোয়াই নদীর উপর ১৯৯৪ সালে এই বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ১২ বছর এর মেয়াদকাল থাকলেও ১৬ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সওজ কর্তৃপক্ষ ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙালেও তা মানছেন না চালকরা।
প্রতিনিয়ত বালুভর্তি ট্রাক-ট্রাক্টর চলছে এ ব্রিজ দিয়ে। অনেক সময় যানজটের কারণে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেতুর পাড়ে বসে থাকতে হয়।

সরেজমিনে সেতু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও হাজারো মানুষ চলাচল করছে সেতু দিয়ে। সেতুতে লাগানো স্ল্যাব উঠে গেছে, অনেক স্থানে স্ল্যাব ভেঙে গেছে। কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে রেলিংগুলো। ফলে দিন দিন আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে সেতুটি।

কয়েকজন অটোরিকশাচালক জানান, প্রতিদিন খোয়াই নদীর উপর বেইলি সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। নদীতে পানি বাড়তে থাকলে সেতু নড়াচড়া করে। এছাড়া সেতুর পিলারের বেইজের নিচের মাটি সরে গেছে। যেকোনো সময় সেতু ভেঙে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এছাড়া যানজটের কারণে সময় মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া যাচ্ছে না। কোন কোন দিন যানজটে পড়ে চলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
১৮ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু পারাপারে ভোগান্তি দীর্ঘ যানজটে নাকাল যাত্রীরা

আপডেট সময় ০১:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে খরস্রোতা খোয়াই নদী। নদীর পূর্ব পারে চারটি ইউনিয়নে প্রায় দেড় লাখ মানুষ, আর পশ্চিম পারে ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে বিভক্ত করেছে এই নদী। আর দুই পারের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা খোয়াই নদীর ওপর এই বেইলি সেতু। অত্যন্ত সরু এই সেতু দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

সেতুটি সরু হওয়ার কারণে একসাথে দুটি যানবাহন পারাপার হতে পারেনা। ফলে ব্রীজের দুপাশে আটকা পরে শত শত যানবাহন। শহরে আসা যাওয়ায় মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায়ই থাকতে হয়। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

খোয়াই নদীর উপর ১৯৯৪ সালে এই বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ১২ বছর এর মেয়াদকাল থাকলেও ১৬ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সওজ কর্তৃপক্ষ ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙালেও তা মানছেন না চালকরা।
প্রতিনিয়ত বালুভর্তি ট্রাক-ট্রাক্টর চলছে এ ব্রিজ দিয়ে। অনেক সময় যানজটের কারণে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেতুর পাড়ে বসে থাকতে হয়।

সরেজমিনে সেতু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও হাজারো মানুষ চলাচল করছে সেতু দিয়ে। সেতুতে লাগানো স্ল্যাব উঠে গেছে, অনেক স্থানে স্ল্যাব ভেঙে গেছে। কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে রেলিংগুলো। ফলে দিন দিন আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে সেতুটি।

কয়েকজন অটোরিকশাচালক জানান, প্রতিদিন খোয়াই নদীর উপর বেইলি সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। নদীতে পানি বাড়তে থাকলে সেতু নড়াচড়া করে। এছাড়া সেতুর পিলারের বেইজের নিচের মাটি সরে গেছে। যেকোনো সময় সেতু ভেঙে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এছাড়া যানজটের কারণে সময় মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়া যাচ্ছে না। কোন কোন দিন যানজটে পড়ে চলে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা।