ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াত নেতারা ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্ত দেশ থেকে পালায় না: এডভোকেট মতিউর রহমান

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, জামায়াত নেতারা হাসি মূখে ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্তু দেশ থেকে পালায় না। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না । এই রাজনীতি আর বাংলাদেশে থাকবে না। হিংসা বিদ্বেষ দূর করার জন্য কাজ করতে হবে। এখন থেকে এলাকায় এলাকায় গণযোগাযোগ শুরু করতে হবে। আমরা কাজ করবো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। আমরা সব কিছু করবো আল্লাহর জন্য।

তিনি জামায়াতের সংগঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেক সংগঠককে ইমানের ব্যাপারে দূর্বলতা দেখানো যাবে না। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের কোন ঘাটতি থাকা যাবে না। কুরআন, হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য নিয়মিত অধ্যায়ন করতে হবে। তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাতের ধারণা লাভ করতে হবে। সকল ধরণের কু-ধারণা বজর্ন করতে হবে। হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করতে হবে। যেখানেই মানুষ আছে সেখানে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে নিজেদের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি খলিফা হিসেবে মানুষকে পাঠিয়েছেন। এখন আপনি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা বাদ দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন। এটা হবে না। সমাজে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য চেষ্টা চালাবে। সুতরাং কোন মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের বাইরে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি ইসলামকে লালন করে সেই হবে আমাদের প্রতিনিধি সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভার হলরুমে পৌর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, কোন সময় নিজের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে না। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন ধরণের দূর্বলতা প্রদর্শন করা যাবে না। সাফল্য এবং ব্যর্থতা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আপনি লড়াই করেছেন সত্যের পথে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। অনেকেই নির্বাচন আসলে বলে ভোটটা নষ্ট করবেন না! আসলে ভোট তো তখনই নষ্ট হয় যখন আপনি ইসলামের পক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না। তাই সবাইকে এটা জানাতে হবে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মানুষের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করতে হবে। আমরা কূধারণা পোষণ করি না। এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অহেতুক সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আদর্শ থাকলে মানুষ কাছে আসবেই। আদর্শের মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানতে হবে।

কর্মশালায় জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যে রাখেন।পবিত্র কুরআন থেকে দারস দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও শেরেবাংলা নগর থানা দক্ষিণের আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল মতলিব, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক টিম সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি মো: ইয়ামীর আলী,সহকারি সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০ বার পড়া হয়েছে

জামায়াত নেতারা ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্ত দেশ থেকে পালায় না: এডভোকেট মতিউর রহমান

আপডেট সময় ০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, জামায়াত নেতারা হাসি মূখে ফাঁসির মঞ্চে যেতে রাজি হয় কিন্তু দেশ থেকে পালায় না। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না । এই রাজনীতি আর বাংলাদেশে থাকবে না। হিংসা বিদ্বেষ দূর করার জন্য কাজ করতে হবে। এখন থেকে এলাকায় এলাকায় গণযোগাযোগ শুরু করতে হবে। আমরা কাজ করবো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। আমরা সব কিছু করবো আল্লাহর জন্য।

তিনি জামায়াতের সংগঠকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রত্যেক সংগঠককে ইমানের ব্যাপারে দূর্বলতা দেখানো যাবে না। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের কোন ঘাটতি থাকা যাবে না। কুরআন, হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য নিয়মিত অধ্যায়ন করতে হবে। তাওহীদ, রেসালাত ও আখিরাতের ধারণা লাভ করতে হবে। সকল ধরণের কু-ধারণা বজর্ন করতে হবে। হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করতে হবে। যেখানেই মানুষ আছে সেখানে কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে নিজেদের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি খলিফা হিসেবে মানুষকে পাঠিয়েছেন। এখন আপনি আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা বাদ দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন। এটা হবে না। সমাজে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য চেষ্টা চালাবে। সুতরাং কোন মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের বাইরে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি ইসলামকে লালন করে সেই হবে আমাদের প্রতিনিধি সেটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভার হলরুমে পৌর দায়িত্বশীল কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, কোন সময় নিজের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে না। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। কোন ধরণের দূর্বলতা প্রদর্শন করা যাবে না। সাফল্য এবং ব্যর্থতা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। আপনি লড়াই করেছেন সত্যের পথে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। অনেকেই নির্বাচন আসলে বলে ভোটটা নষ্ট করবেন না! আসলে ভোট তো তখনই নষ্ট হয় যখন আপনি ইসলামের পক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন না। তাই সবাইকে এটা জানাতে হবে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে ভোট দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মানুষের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করতে হবে। আমরা কূধারণা পোষণ করি না। এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অহেতুক সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আদর্শ থাকলে মানুষ কাছে আসবেই। আদর্শের মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানতে হবে।

কর্মশালায় জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর উদ্বোধনী বক্তব্যে রাখেন।পবিত্র কুরআন থেকে দারস দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য ও শেরেবাংলা নগর থানা দক্ষিণের আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল মতলিব, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক টিম সদস্য মো. আব্দুল মান্নান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি মো: ইয়ামীর আলী,সহকারি সেক্রেটারি আলাউদ্দিন শাহ।