ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ওয়ার্ড প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত।দুর্নীতির সাথে নিজেকে জড়ালে বিএনপি করতে পারবেন না -জিকে গউছ Logo খেলাফত মজলিস শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি পুনর্গঠন Logo শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর তারেক রহমান Logo তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আনন্দ মিছিল Logo মিথ্যা ও বানোয়াট জিডির বিরুদ্ধে থানায় বিএনপি নেতার পাল্টা অভিযোগ Logo মৌলভীবাজার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo নবীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু Logo নবীগঞ্জ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত, অতঃপর আত্মহত্যা Logo ঈদযাত্রায় প্রতিদিন গড়ে সড়কে২৬ জনের প্রাণহানি Logo ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ অধ্যাদেশ জারি

ফের পুলিশের চাকুরি পেতে সাবেক তড়িঘড়ি করছেন ছাত্রলীগ নেতা

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল করিম মিন্টু। চাকরি করতেন পুলিশের কনস্টেবল পদে। করোনাকালীন সময়ে বাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পুলিশ কনস্টেবল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ভুল পাল্টে পরিচয় দেন তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এই জন্য পুলিশ থেকে তার চাকরি চলে যায়। এখন আবার পুলিশে চাকরি পেতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুল করিম মিন্টু এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত অবস্থায় পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত হন তিনি। চাকুরী চলে যাওয়ার পর আবারও আওয়ামী লীগের দলীয় কমর্কান্ডে সম্পৃক্ত হন। দায়িত্ব পালন করেন কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতির। তিনি আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়মিত বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশ নিতেন। প্রায় সময় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে দেখা যেত। সদ্য সাবেক মৌলভীবাজার-২ আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সাথে তার একাধিক ছবি রয়েছে। এগুলো দিয়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন, প্রলোভন দেখিয়ে টাকা সহ অভিযোগের শেষ নেই তার বিরুদ্ধে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পাবই গ্রামের বাসিন্দা জানান, ৫ আগস্টের পর মিন্টু ভুল পাল্টাতে থাকেন। এবং চাকুরী ফিরে পাওয়ার জন্য সরব হয়ে উঠেন। তিনি পুলিশ বাহিনীতে নিজের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বহিস্কারের বিষয়টি লুকিয়ে নিজের বিএনপি পরিচয় থাকার কারণে চাকুরী চলে গেছে বলে দাবি করেন।

হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৭ ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল মিয়া বলেন, মিন্টু আওয়ামী লীগের জাদরেল নেতা। সে হচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর।। ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্রদের হয়রানি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে সে। এখন নিজেকে বিএনপি পরিচয় দিয়ে চাকরি এবং ফায়দা নিতে চাচ্ছে।

একই ওয়ার্ডের রজনপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন, তার অবস্থা এরকম ছিল ফকিন্নির ছেলে জজ হয়ে গেছে। মানুষকে সে যেভাবে পেরেছে সেইভাবে হয়রানি করেছে। আমার ছেলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে কত কিছু করেছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে সমাধান না করলে অবস্থা খারাপ হবে। সে মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকাও নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর এখন সে ভুল পাল্টাতে শুরু করেছে। ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তন না হলে সে কি যে করতো তা বলা বাহুল্য। মিন্টুর মতো লোক যাতে কোন অবস্থায় পূর্বের পেশায় না যায় সেটা বন্ধ করতে হবে।

এবিষয়ে আব্দুল করিম মিন্টু বলেন, আমি পুলিশের চাকরিতে জয়েন করি ২০১৩ সালে। ২০২১ সালে ফেসবুকে আইজিপির বরাত দিয়ে একটি পোস্ট কপি করে শেয়ার করি কোন পুলিশ সদস্য মারা গেলে লাশ বাড়ি যাবে না। এরপর আমি চাকরি থেকে বরখাস্ত হই। এখন আবার নতুন করে চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছি।

তিনি বলেন, আমার কাছে কিছু লোক টাকা পাবে এটা ঠিক আছে। আমি সবার টাকা দিয়ে দেব। এগুলো সমাধান করে ফেলবো। তবে আমি কখনো কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
৬৪ বার পড়া হয়েছে

ফের পুলিশের চাকুরি পেতে সাবেক তড়িঘড়ি করছেন ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় ০৫:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল করিম মিন্টু। চাকরি করতেন পুলিশের কনস্টেবল পদে। করোনাকালীন সময়ে বাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পুলিশ কনস্টেবল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ভুল পাল্টে পরিচয় দেন তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এই জন্য পুলিশ থেকে তার চাকরি চলে যায়। এখন আবার পুলিশে চাকরি পেতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুল করিম মিন্টু এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় কর্মরত অবস্থায় পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত হন তিনি। চাকুরী চলে যাওয়ার পর আবারও আওয়ামী লীগের দলীয় কমর্কান্ডে সম্পৃক্ত হন। দায়িত্ব পালন করেন কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতির। তিনি আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়মিত বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশ নিতেন। প্রায় সময় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে দেখা যেত। সদ্য সাবেক মৌলভীবাজার-২ আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সাথে তার একাধিক ছবি রয়েছে। এগুলো দিয়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন, প্রলোভন দেখিয়ে টাকা সহ অভিযোগের শেষ নেই তার বিরুদ্ধে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পাবই গ্রামের বাসিন্দা জানান, ৫ আগস্টের পর মিন্টু ভুল পাল্টাতে থাকেন। এবং চাকুরী ফিরে পাওয়ার জন্য সরব হয়ে উঠেন। তিনি পুলিশ বাহিনীতে নিজের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বহিস্কারের বিষয়টি লুকিয়ে নিজের বিএনপি পরিচয় থাকার কারণে চাকুরী চলে গেছে বলে দাবি করেন।

হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৭ ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল মিয়া বলেন, মিন্টু আওয়ামী লীগের জাদরেল নেতা। সে হচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর।। ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন ছাত্রদের হয়রানি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করে সে। এখন নিজেকে বিএনপি পরিচয় দিয়ে চাকরি এবং ফায়দা নিতে চাচ্ছে।

একই ওয়ার্ডের রজনপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন, তার অবস্থা এরকম ছিল ফকিন্নির ছেলে জজ হয়ে গেছে। মানুষকে সে যেভাবে পেরেছে সেইভাবে হয়রানি করেছে। আমার ছেলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে কত কিছু করেছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে সমাধান না করলে অবস্থা খারাপ হবে। সে মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকাও নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর এখন সে ভুল পাল্টাতে শুরু করেছে। ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তন না হলে সে কি যে করতো তা বলা বাহুল্য। মিন্টুর মতো লোক যাতে কোন অবস্থায় পূর্বের পেশায় না যায় সেটা বন্ধ করতে হবে।

এবিষয়ে আব্দুল করিম মিন্টু বলেন, আমি পুলিশের চাকরিতে জয়েন করি ২০১৩ সালে। ২০২১ সালে ফেসবুকে আইজিপির বরাত দিয়ে একটি পোস্ট কপি করে শেয়ার করি কোন পুলিশ সদস্য মারা গেলে লাশ বাড়ি যাবে না। এরপর আমি চাকরি থেকে বরখাস্ত হই। এখন আবার নতুন করে চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করেছি।

তিনি বলেন, আমার কাছে কিছু লোক টাকা পাবে এটা ঠিক আছে। আমি সবার টাকা দিয়ে দেব। এগুলো সমাধান করে ফেলবো। তবে আমি কখনো কোন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।