বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
গত ৫ আগস্টের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন মেনে নিতে পারেনি নয়াদিল্লি। আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে এতদিনের ‘স্বামী-স্ত্রীর’ সম্পর্কে চির ধরিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘রাষ্ট্রস্বার্থীয়’ কিছু সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ ভারতের ‘হৃদয়ে কম্পন’ সৃষ্টি করেছে। সীমান্তে বাংলাদেশ ড্রোন ব্যবহার করছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভুয়া আখ্যা দিয়েছে সরকার। সেই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে সীমান্তে ভারতও নিরাপত্তা কৌশল হিসেবে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন করেছে।
গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইংয়ের ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। স¤প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তরাঞ্চলে বাংলাদেশ তুরস্কের তৈরি বায়রাক্টার টিবি২ ড্রোন মোতায়েন করতে দেখা গেছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা দাবি করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রচারিত হওয়ার পর সোরগোল তৈরি হয়েছিল। এই টিবি২ ড্রোন খুবই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। একইসঙ্গে নজরদারির পাশাপাশি আঘাত হানারও ক্ষমতা রয়েছে এই ধরনের ড্রোনগুলোর। ফলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের নজরদারি তৎপরতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার অবশ্য জানিয়েছে, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রুটিন কার্যক্রমের বাইরে দেশের কোনও এলাকায় কোনও ড্রোন মোতায়েন করেনি। তবে সীমান্তে নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ড্রোন মোতায়েন ছাড়াও অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ভারত। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান মোকাবিলা করার জন্যই বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। জানা গেছে, নিরাপত্তার প্রশ্নে সব ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় বিএসএফ অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম ও রাডারের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে।