ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, মানববন্ধন
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য দেশের আলোচিত এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা ও তাদের নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং তার নিরাপত্তা-ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিতে চুনারুঘাট পৌর শহরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে চুনারুঘাট পৌর শহরে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে এ মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আব্দুল মালেক জাপানি, চুনারুঘাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল আরমান, ব্যারিস্টার ফুটবল অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান সোহাগ রহমান, ব্যারিস্টার ফুটবল অ্যাকাডেমির ম্যানেজার ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সম্রাট আহমেদ, ব্যারিস্টার ফুটবল অ্যাকাডেমির সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাশেদুল আলম রাসেল, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, যুবলীগ নেতা তাজুল বাহার, হাজি দুলালসহ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা পরিকল্পিত হত্যার হুমকিদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে ডিসিপি হাইস্কুল মাঠে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম কসবা আলহাজ শাহ আলম খান ফুটবল একাদশ ক্লাবের খেলায় অংশগ্রহণে এসে এমপি সুমন তার বক্তব্যে তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রের কথা জানান। পরে তিনি নিজেই ২৯ জুন ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এমপি সুমন বলেন, আমাকে হত্যার হুমকির কথা আমি আমার এলাকার ওসির মাধ্যমে জেনেছি। এরপর গত রাতে আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমি একজন এমপি, আমাকে কেন জিডি করতে হলো? যেহেতু পুলিশই বিষয়টি আমার আগে জেনেছে। তাহলে কেন পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে না? তদন্ত করলে না? যেখানে আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমার নিরাপত্তা তো এখন আমার নিজেকেই দিতে হচ্ছে। আমি এটাই বুঝলাম না, এই রাষ্ট্রযন্ত্র আদৌও আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না? আমার মনে হচ্ছে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা লেখার জন্য বসে আছে। সাক্ষী দেওয়ার জন্য বসে আছে। তবে বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি ভালোভাবে বিষয়টি দেখছেন বলেছেন।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, ঢাকায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।