ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা ফখরুল Logo ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দেশব্যাপী জনসংযোগ ৬ থেকে ১১ জানুয়ারি Logo ১২০ দেশের সংবিধান বিচার-বিশ্লেষণ করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন Logo চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান Logo দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক সংকটে Logo আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: প্রধান উপদেষ্টা Logo টাংগুয়ার হাওরে অতিথি পাখি শিকার ও মৎস্য নিধনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রসহ আটক-৩ Logo কমেছে চায়ের উৎপাদন, লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়ার শঙ্কা Logo লাখাইয়ে তীব্র শীতের মাঝেও হাওরে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা Logo সড়ক দুর্ঘটনায় গতবছর মারা গেছেন সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ

মস্তিষ্ক ভালো রাখতে প্রতিদিনের ছয় কাজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সার্বিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। কোন কোন নিয়ম মেনে চললে মন, শরীর ও মস্তিষ্ক ভালো থাকবে জেনে নিন।

ঘুম: মস্তিষ্ক ভালো রাখতে হলে ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এজন্য একটি রুটিন তৈরি করতে পারেন। যা আপনার ঘুম উন্নত করতে পারে। ঘুমানোর আগে শান্ত থাকুন, ঘর অন্ধকার রাখুন এবং আরামদায়ক বিছানায় ঘুমান। মনের অস্থিরতা দূর করে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেসব কাজ আপনার মন ভালো করে এবং শান্ত থাকতে সহায়তা দেয় এমন কাজ করুন। যেমন ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা। এই অভ্যাস আপনার ব্রেন ভালো রাখতে সহায়তা দিতে পারে।

শিথিলায়ন চর্চা করুন: আপনার মানসিক ও শারীরিক অস্থিরতার কারণ সনাক্ত করুন এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে শিথিল করুন। প্রয়োজনে শিথিলায়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। এতে যেকোন সমস্যা মোকাবিলার উপায় খুঁজে পেতে পাবেন। সহজ শিথিলায়নের জন্য ঘুমানোর আগে গান শুনতে পারেন।

নতুন চিন্তা করুন: প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। নতুন ভাষা বা বাদ্যযন্ত্র চালনা শিখতে পারেন। এক কথায় পরিচিত কিছু করার চেয়ে নতুন কিছু শেখা আপনার মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন: ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খান। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের অভ্যাস আপনার মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে সহায়তা দেবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে চান? নিয়মিত ব্যায়াম করুন! যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় তাদের আলঝেইমারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম।

সামাজিকতা বাড়ান: নিয়মিত মা বাবার সঙ্গে কথা বলুন। একটি অনলাইন বা অফলাইন বুক ক্লাবে যোগ দিন।প্রতি সপ্তাহে পরিচিতজনদের সঙ্গে একটি আড্ডা দেওয়ার চেষ্টা করুন। দূরবর্তী বন্ধুর সাথে ভিডিও চ্যাট করতে পারেন।

সূত্র: আন্তারিও ব্রেন ইন্সটিটিউট অবলম্বনে

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:১৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
৬ বার পড়া হয়েছে

মস্তিষ্ক ভালো রাখতে প্রতিদিনের ছয় কাজ

আপডেট সময় ০৯:১৫:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সার্বিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিষ্ক ভালো রাখতে হলে প্রতিদিন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। কোন কোন নিয়ম মেনে চললে মন, শরীর ও মস্তিষ্ক ভালো থাকবে জেনে নিন।

ঘুম: মস্তিষ্ক ভালো রাখতে হলে ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এজন্য একটি রুটিন তৈরি করতে পারেন। যা আপনার ঘুম উন্নত করতে পারে। ঘুমানোর আগে শান্ত থাকুন, ঘর অন্ধকার রাখুন এবং আরামদায়ক বিছানায় ঘুমান। মনের অস্থিরতা দূর করে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেসব কাজ আপনার মন ভালো করে এবং শান্ত থাকতে সহায়তা দেয় এমন কাজ করুন। যেমন ঘুমানোর আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করা। এই অভ্যাস আপনার ব্রেন ভালো রাখতে সহায়তা দিতে পারে।

শিথিলায়ন চর্চা করুন: আপনার মানসিক ও শারীরিক অস্থিরতার কারণ সনাক্ত করুন এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে শিথিল করুন। প্রয়োজনে শিথিলায়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন। এতে যেকোন সমস্যা মোকাবিলার উপায় খুঁজে পেতে পাবেন। সহজ শিথিলায়নের জন্য ঘুমানোর আগে গান শুনতে পারেন।

নতুন চিন্তা করুন: প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। নতুন ভাষা বা বাদ্যযন্ত্র চালনা শিখতে পারেন। এক কথায় পরিচিত কিছু করার চেয়ে নতুন কিছু শেখা আপনার মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন: ওমেগা-৩ ও ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খান। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের অভ্যাস আপনার মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে সহায়তা দেবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে চান? নিয়মিত ব্যায়াম করুন! যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় তাদের আলঝেইমারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম।

সামাজিকতা বাড়ান: নিয়মিত মা বাবার সঙ্গে কথা বলুন। একটি অনলাইন বা অফলাইন বুক ক্লাবে যোগ দিন।প্রতি সপ্তাহে পরিচিতজনদের সঙ্গে একটি আড্ডা দেওয়ার চেষ্টা করুন। দূরবর্তী বন্ধুর সাথে ভিডিও চ্যাট করতে পারেন।

সূত্র: আন্তারিও ব্রেন ইন্সটিটিউট অবলম্বনে