ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শায়েস্তাগঞ্জে মাজারের দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত না করতে অনুরোধ করায় নিরীহ লোকদের ওপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শায়েস্তাগঞ্জে মাজারের দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত না করতে অনুরোধ করায় নিরীহ লোকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার চরনুরআহমদ দাউদনগর গ্রামের মোঃ শাহীন মিয়া (৩৮), মোঃ মাজত আলী (৬৫), মোঃ আলকায় মিয়া (৪৫), মোছাঃ তাছমিনা আক্তার (২৪) ও রাজু মিয়া (২৪)।
রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ও রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সুবিচারের আশায় আহত মোঃ শাহীন মিয়ার ভাই মোঃ শামীম মিয়া বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
মোঃ শামীম মিয়া বলেন- এ মামলায় চরনুরআহমদ দাউদনগর গ্রামের সৈয়দ শামীম মিয়া (৩৪), শেখ মোঃ সমিজ আলী (৫২), সৈয়দ শাহিদ মিয়া (৩৮), সৈয়দ রুকেল মিয়া (৪০), সৈয়দ নাসিম (২৮), রোমান মিয়াসহ (২৭) আরও ৫ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
তিনি বলেন- শাহীন মিয়া ছাড়া বাকী আহতরা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুত্বর আহত শাহিন মিয়াকে হবিগঞ্জ থেকে সিলেট পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মোঃ শামীম মিয়া বলেন- চরনুরআহমদ দাউদনগর গ্রামে ছাওয়াল পীর (রঃ) এর মাজার অবস্থিত। এ মাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীদের আগমন হয়। মাজার দীর্ঘদিন ধরে মোঃ শাকিল ভান্ডারী ও তার পরিবারের লোকজন দেখাশোনা করে আসছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় মামলার ১নং বিবাদী সৈয়দ শামীম মিয়া হাফিজ উল্লাহর বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাজারে আগত দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত করাসহ খারাপ আচরণ করেন। এ ঘটনা দেখে ২নং সাক্ষী মোঃ শাকিল ভান্ডারী ১নং বিবাদীকে দর্শনার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এতে করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা দেখে ২নং সাক্ষীর পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে ১নং বিবাদীসহ তার লোকেরা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়।
এ হামলায় মোঃ মাজত আলী (৬৫), মোঃ আলকায় মিয়া (৪৫), মোছাঃ তাছমিনা আক্তার (২৪) ও রাজু মিয়া (২৪) আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে বিষয়টি পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। সেই আশ্বাসে আহতরা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
মোঃ শামীম মিয়া বলেন- পরিস্থিতি শান্ত দেখে রাত প্রায় ১১টা ২০ মিনিটে আমার ভাই মোঃ শাহীন মিয়া দাউদনগর বাজারে যাওয়ার পথে মাছেরঘাট পৌঁছা মাত্র পূর্বের ঘটনার জেরে সৈয়দ শামীম মিয়াগংরা মিলে দেশীয় নিয়ে হামলা চালায়।
এতে শাহীন মিয়া গুরুত্বর আহত হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বিবাদীগণ আমাদের ওপর হামলা করেই বসে নেই, তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা (বিবাদীগণ) মিথ্যা ঘটনা তৈরী করে আমাদের ঘায়েল করার চেষ্টা করছে।
পরিশেষে মোঃ শামীম মিয়া বলেন- সুবিচারের আশায় মামলা করেছি। আসামীদেরকে যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
১০ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জে মাজারের দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত না করতে অনুরোধ করায় নিরীহ লোকদের ওপর হামলা

আপডেট সময় ০৮:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

শায়েস্তাগঞ্জে মাজারের দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত না করতে অনুরোধ করায় নিরীহ লোকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার চরনুরআহমদ দাউদনগর গ্রামের মোঃ শাহীন মিয়া (৩৮), মোঃ মাজত আলী (৬৫), মোঃ আলকায় মিয়া (৪৫), মোছাঃ তাছমিনা আক্তার (২৪) ও রাজু মিয়া (২৪)।
রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ও রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সুবিচারের আশায় আহত মোঃ শাহীন মিয়ার ভাই মোঃ শামীম মিয়া বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
মোঃ শামীম মিয়া বলেন- এ মামলায় চরনুরআহমদ দাউদনগর গ্রামের সৈয়দ শামীম মিয়া (৩৪), শেখ মোঃ সমিজ আলী (৫২), সৈয়দ শাহিদ মিয়া (৩৮), সৈয়দ রুকেল মিয়া (৪০), সৈয়দ নাসিম (২৮), রোমান মিয়াসহ (২৭) আরও ৫ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
তিনি বলেন- শাহীন মিয়া ছাড়া বাকী আহতরা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুত্বর আহত শাহিন মিয়াকে হবিগঞ্জ থেকে সিলেট পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মোঃ শামীম মিয়া বলেন- চরনুরআহমদ দাউদনগর গ্রামে ছাওয়াল পীর (রঃ) এর মাজার অবস্থিত। এ মাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীদের আগমন হয়। মাজার দীর্ঘদিন ধরে মোঃ শাকিল ভান্ডারী ও তার পরিবারের লোকজন দেখাশোনা করে আসছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় মামলার ১নং বিবাদী সৈয়দ শামীম মিয়া হাফিজ উল্লাহর বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাজারে আগত দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত করাসহ খারাপ আচরণ করেন। এ ঘটনা দেখে ২নং সাক্ষী মোঃ শাকিল ভান্ডারী ১নং বিবাদীকে দর্শনার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এতে করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা দেখে ২নং সাক্ষীর পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে ১নং বিবাদীসহ তার লোকেরা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়।
এ হামলায় মোঃ মাজত আলী (৬৫), মোঃ আলকায় মিয়া (৪৫), মোছাঃ তাছমিনা আক্তার (২৪) ও রাজু মিয়া (২৪) আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে বিষয়টি পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। সেই আশ্বাসে আহতরা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন।
মোঃ শামীম মিয়া বলেন- পরিস্থিতি শান্ত দেখে রাত প্রায় ১১টা ২০ মিনিটে আমার ভাই মোঃ শাহীন মিয়া দাউদনগর বাজারে যাওয়ার পথে মাছেরঘাট পৌঁছা মাত্র পূর্বের ঘটনার জেরে সৈয়দ শামীম মিয়াগংরা মিলে দেশীয় নিয়ে হামলা চালায়।
এতে শাহীন মিয়া গুরুত্বর আহত হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বিবাদীগণ আমাদের ওপর হামলা করেই বসে নেই, তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা (বিবাদীগণ) মিথ্যা ঘটনা তৈরী করে আমাদের ঘায়েল করার চেষ্টা করছে।
পরিশেষে মোঃ শামীম মিয়া বলেন- সুবিচারের আশায় মামলা করেছি। আসামীদেরকে যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই।