ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে অনাবৃষ্টিতে চা পাতা পুড়ে যাচ্ছে Logo আজমিরীগঞ্জে শিকলবন্দি বাবুল বৈষ্ণব Logo শায়েস্তাগঞ্জে ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জে সভা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত Logo শায়েস্তাগঞ্জে মাজারের দর্শনার্থীদের উত্ত্যক্ত না করতে অনুরোধ করায় নিরীহ লোকদের ওপর হামলা Logo নবীগঞ্জে আব্দুল কাইয়ুম হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মোজাহিদ র‌্যাবের হাতে বন্দি Logo ‘৩২৯ উপজেলায় হচ্ছে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ Logo মাধবপুরে গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২ Logo নবীগঞ্জে নেশার টাকার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ঘাতক ছেলে Logo আজ তেলিয়াপাড়া দিবস, ১১ সেক্টরে ভাগ হয় মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন Logo আমাকে যুদ্ধপরাধ মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল: জামায়াত আমীর

মাধবপুরে গার্মেন্টেসের দূষিত পানিতে মারা গেল কৃষকের ৩০০ হাঁস

মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে কয়েকটি গার্মেন্টেস কোম্পানি থেকে নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে এক কৃষকের ৩০০ হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায়শই ওসব দূষিত পানিতে স্থানীয় হাঁস-মুরগি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতির ঘটনা ঘটছে।

ভুক্তভোগী ওই কৃষক খামারির নাম জমির আলী। তিনি উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির সাতপাড়িয়া গ্রামের মৃত মোর্তুজ আলীর পুত্র।

এ ঘটনায় তার প্রায় ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে, চরম আর্থিক সংকটে দিন যাচ্ছে তার।

জানা যায়, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) খামারি জমির আলীর হাঁস স্থানীয় একটি খালের দূষিত পানিতে নামলে আচমকাই হাঁসগুলা মরতে শুরু করে। খামারির ৮০০ হাঁসের মধ্যে ৩০০ হাঁসই রাতের ভেতরে মারা যায়। এলাকায় পানি দূষণের কারণে আরো অহরহ হাঁসমুরগি ও খালবিলের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় ৩টি কোম্পানির দূষিত পানি খালে নিষ্কাশিত হয়। কোম্পানির ইটিপি ভালোভাবে কাজ না করায় স্থানীয় রাজখাল নামে পরিচিত একটি খাল চরম দূষণের শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। ওই স্থানীয় কোম্পানিগুলো হলো- কভারটেক ওয়্যার কোম্পানি লি., পাইয়োনিয়ার ডেনিম লি. ও নাহিদ টেক্সটাইল লি.।

ভুক্তভোগী কৃষক জমির আলী বলেন, আমার ৩০০ হাঁস কোম্পানির দূষিত পানিতে মারা গেছে। সবগুলা হাসছিল ডিমওয়াল খাকি ক্যাম্বেল জাতের। বাকি হাঁসগুলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমি চাই দূষিত পানির বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া জানান, খালটি দূষণের কারণে ক্রমেই বিপদজ্জনক হয়ে উঠছে। আজ জমির আলীর তিনশ হাঁস মারা গেল। আমরা এর বিহিদ চাই।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রদান করব। আর পানি দূষিতের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বে রয়েছে।

এ ব্যাপারে উল্লিখিত ৩টি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু জানান, কোম্পানিগুলা পরিবেশের লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে। এরপরেও ফ্যাক্টরিসমূহ থেকে কোনো ধরনের দূষিত পানি খালে প্রবেশ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
৩৯ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুরে গার্মেন্টেসের দূষিত পানিতে মারা গেল কৃষকের ৩০০ হাঁস

আপডেট সময় ০৪:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুরে কয়েকটি গার্মেন্টেস কোম্পানি থেকে নিষ্কাশিত দূষিত পানিতে এক কৃষকের ৩০০ হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রায়শই ওসব দূষিত পানিতে স্থানীয় হাঁস-মুরগি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতির ঘটনা ঘটছে।

ভুক্তভোগী ওই কৃষক খামারির নাম জমির আলী। তিনি উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির সাতপাড়িয়া গ্রামের মৃত মোর্তুজ আলীর পুত্র।

এ ঘটনায় তার প্রায় ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে, চরম আর্থিক সংকটে দিন যাচ্ছে তার।

জানা যায়, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) খামারি জমির আলীর হাঁস স্থানীয় একটি খালের দূষিত পানিতে নামলে আচমকাই হাঁসগুলা মরতে শুরু করে। খামারির ৮০০ হাঁসের মধ্যে ৩০০ হাঁসই রাতের ভেতরে মারা যায়। এলাকায় পানি দূষণের কারণে আরো অহরহ হাঁসমুরগি ও খালবিলের মাছ মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় ৩টি কোম্পানির দূষিত পানি খালে নিষ্কাশিত হয়। কোম্পানির ইটিপি ভালোভাবে কাজ না করায় স্থানীয় রাজখাল নামে পরিচিত একটি খাল চরম দূষণের শিকার হচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। ওই স্থানীয় কোম্পানিগুলো হলো- কভারটেক ওয়্যার কোম্পানি লি., পাইয়োনিয়ার ডেনিম লি. ও নাহিদ টেক্সটাইল লি.।

ভুক্তভোগী কৃষক জমির আলী বলেন, আমার ৩০০ হাঁস কোম্পানির দূষিত পানিতে মারা গেছে। সবগুলা হাসছিল ডিমওয়াল খাকি ক্যাম্বেল জাতের। বাকি হাঁসগুলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমি চাই দূষিত পানির বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়া জানান, খালটি দূষণের কারণে ক্রমেই বিপদজ্জনক হয়ে উঠছে। আজ জমির আলীর তিনশ হাঁস মারা গেল। আমরা এর বিহিদ চাই।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিঠুন সরকার বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা প্রয়োজনে চিকিৎসা প্রদান করব। আর পানি দূষিতের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বে রয়েছে।

এ ব্যাপারে উল্লিখিত ৩টি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু জানান, কোম্পানিগুলা পরিবেশের লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে। এরপরেও ফ্যাক্টরিসমূহ থেকে কোনো ধরনের দূষিত পানি খালে প্রবেশ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।