ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গাঘেরা চুনারুঘাটে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা, অভাব পরিকল্পনার Logo দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে হবিগঞ্জের নদ-নদী Logo শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ায় শিল্প এলাকার বেড়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা Logo নবীগঞ্জে টমটম-সিএনজি ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশত Logo পর্যটন শিল্পে সম্ভবনাময় উপজেলা চুনারুঘাট Logo বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, চক্রান্ত করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না- জি কে গউছ Logo মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ২ Logo শায়েস্তাগঞ্জে মামলার জেরে দুই পরিবারকে সমাজচ্যুতের অভিযোগ Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবিগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হচ্ছেন গউছ Logo হবিগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ২ জন নিহত

মাধবপুরে ৪ কন্যা শিশু নিয়ে স্বামীর বাড়ি যেতে পারছে না প্রবাসীর স্ত্রী

আলমগীর কবির, মাধবপুর থেকে

মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের প্রবাসী মিন্টু মিয়া ২২ বছর প্রবাসে থাকার পর হঠাৎ করেই গত ১ বছর আগে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। স্বামী মারা যাবার পর ৪ কন্যা শিশু নিয়ে প্রবাসী স্ত্রী পিপাসা বেগম এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তার শ^শুর বাড়ী লোকজন বাড়ি যেতে তাদের বাধা দিচ্ছেন। ৪ কন্যা শিশু তার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে কোন ধরনের অধিকার পাচ্ছে না। তাদের অধিকার পেতে মা পিপাসা বেগম বারবার চেষ্টা করছেন কিন্তু শ^শুরবাড়ি লোকজন তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।
মিন্টু মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ পিপাসা খাতুন বলেন, তার স্বামীর গত ১ বছর আগে প্রবাসে মারা গেছেন। বিদেশ থাকা অবস্থায় তিনি অনেক টাকার আয় করে বাড়িতে পাঠান। এই টাকায় তার শ^শুর বাড়ির লোকজন দোকানপাঠসহ অনেক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর এই বাড়ি থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪টি কন্যা শিশু নিয়ে এখন বাবার বাড়ি সহ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অসহায় অবস্থায় পড়েছি। তার স্বামী অনেক টাকা পয়সা ও সম্পদ ছিল কিন্তু এগুলোতে এখন তার কন্যারা কোন অধিকার পাচ্ছে না। টাকার অভাবে ৪ কন্যাকে ভালভাবে ভরন পোষণ ও লেখা পড়া করানো যাচ্ছে না। তাদের অসুখ হলে ভাল ভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। একাধিক বার ৪ কন্যা শিশুকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর তাদের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ৪টি কন্যা শিশু হওয়ায় তার শ^শুরবাড়ির লোকজন তাদের অবহেলা করে কোন আশ্রয় দেয় না। আজকে তাদের পিতা বেচে থাকলে আমাদের এ অমানবিক পরিস্থিতে মাধ্যমে পড়তে হত না।
তিনি আরো বলেন, স্বামী মারা যাবার পর আমাদের আজ বিপদ হয়েছে। স্বামী হারিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। তার উপর শিশু সন্তানসহ এই ৪টি মেয়ে নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো, কি করবো ভেবে পাই না। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও খুবই দুঃশ্চিন্তায় আছি। আমি আমার সন্তান গুলোকে মানুষের মত মানুষ করতে চাই। আমি কোন টাকা পয়সা বা সম্পত্তি চাইতেছি না, আমি আমার স্বামীর বাড়িতে সেই আগের মত থাকতে চাই।
বহরা ইউনিয়নের মেম্বার ফরিদ মিয়া বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ও ৪ শিশু কন্যার অধিকার ফিরে দিতে তার স্বামীর বাড়ির লোকজনদের আমরা বারবার সালিশ করে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
পিপাসা শ^শুর আলী আহম্মদ জানান, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে আমাকে ডেকেছেন। আশা করি উনার মাধ্যমে পিপাসার সমস্যাটি সমাধান হবে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে.এম ফয়সাল জানান, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি পিপাসা ও ৪ কন্যা শিশু তাদের অধিকার ফিরে পাবে এবং বাড়িতে যেতে পারবে। তারা কোন ধরনের অধিকার বঞ্চিত হবে না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
৯০ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুরে ৪ কন্যা শিশু নিয়ে স্বামীর বাড়ি যেতে পারছে না প্রবাসীর স্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের প্রবাসী মিন্টু মিয়া ২২ বছর প্রবাসে থাকার পর হঠাৎ করেই গত ১ বছর আগে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। স্বামী মারা যাবার পর ৪ কন্যা শিশু নিয়ে প্রবাসী স্ত্রী পিপাসা বেগম এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তার শ^শুর বাড়ী লোকজন বাড়ি যেতে তাদের বাধা দিচ্ছেন। ৪ কন্যা শিশু তার পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে কোন ধরনের অধিকার পাচ্ছে না। তাদের অধিকার পেতে মা পিপাসা বেগম বারবার চেষ্টা করছেন কিন্তু শ^শুরবাড়ি লোকজন তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।
মিন্টু মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ পিপাসা খাতুন বলেন, তার স্বামীর গত ১ বছর আগে প্রবাসে মারা গেছেন। বিদেশ থাকা অবস্থায় তিনি অনেক টাকার আয় করে বাড়িতে পাঠান। এই টাকায় তার শ^শুর বাড়ির লোকজন দোকানপাঠসহ অনেক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর এই বাড়ি থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪টি কন্যা শিশু নিয়ে এখন বাবার বাড়ি সহ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অসহায় অবস্থায় পড়েছি। তার স্বামী অনেক টাকা পয়সা ও সম্পদ ছিল কিন্তু এগুলোতে এখন তার কন্যারা কোন অধিকার পাচ্ছে না। টাকার অভাবে ৪ কন্যাকে ভালভাবে ভরন পোষণ ও লেখা পড়া করানো যাচ্ছে না। তাদের অসুখ হলে ভাল ভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। একাধিক বার ৪ কন্যা শিশুকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর তাদের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ৪টি কন্যা শিশু হওয়ায় তার শ^শুরবাড়ির লোকজন তাদের অবহেলা করে কোন আশ্রয় দেয় না। আজকে তাদের পিতা বেচে থাকলে আমাদের এ অমানবিক পরিস্থিতে মাধ্যমে পড়তে হত না।
তিনি আরো বলেন, স্বামী মারা যাবার পর আমাদের আজ বিপদ হয়েছে। স্বামী হারিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। তার উপর শিশু সন্তানসহ এই ৪টি মেয়ে নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো, কি করবো ভেবে পাই না। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও খুবই দুঃশ্চিন্তায় আছি। আমি আমার সন্তান গুলোকে মানুষের মত মানুষ করতে চাই। আমি কোন টাকা পয়সা বা সম্পত্তি চাইতেছি না, আমি আমার স্বামীর বাড়িতে সেই আগের মত থাকতে চাই।
বহরা ইউনিয়নের মেম্বার ফরিদ মিয়া বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী ও ৪ শিশু কন্যার অধিকার ফিরে দিতে তার স্বামীর বাড়ির লোকজনদের আমরা বারবার সালিশ করে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
পিপাসা শ^শুর আলী আহম্মদ জানান, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে আমাকে ডেকেছেন। আশা করি উনার মাধ্যমে পিপাসার সমস্যাটি সমাধান হবে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে.এম ফয়সাল জানান, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি পিপাসা ও ৪ কন্যা শিশু তাদের অধিকার ফিরে পাবে এবং বাড়িতে যেতে পারবে। তারা কোন ধরনের অধিকার বঞ্চিত হবে না।