ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গাঘেরা চুনারুঘাটে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা, অভাব পরিকল্পনার Logo দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে হবিগঞ্জের নদ-নদী Logo শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ায় শিল্প এলাকার বেড়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা Logo নবীগঞ্জে টমটম-সিএনজি ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশত Logo পর্যটন শিল্পে সম্ভবনাময় উপজেলা চুনারুঘাট Logo বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, চক্রান্ত করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না- জি কে গউছ Logo মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ২ Logo শায়েস্তাগঞ্জে মামলার জেরে দুই পরিবারকে সমাজচ্যুতের অভিযোগ Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবিগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হচ্ছেন গউছ Logo হবিগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ২ জন নিহত

রেলওয়ের পিডব্লিউআই সাইফুল্লাহ রিয়াদের যত অপকর্ম!

স্টাফ রিপোর্টারঃ

অবৈধভাবে পরিত্যক্ত রেললাইন, ডকপিন, যন্ত্রপাতি বিক্রি, গেইট কিপারদের কাছ থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায়, কর্মচারীদের হয়রানি করাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পিডব্লিওআই) সাইফুল্লাহ রিয়াদের বিরুদ্ধে। তার এই অপকর্মের ১৪ দফা ফিরিস্তি তুলে ধরে বিচারের দাবীতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও সাধারণ ছাত্ররা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথের পরিত্যক্ত রেললাইন নিলামে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। তখন নিলামের বাহিরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকার রেল লাইন তুলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় বিক্রি করে দেন উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল্লাহ রিয়াদ। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে গুদামে থাকা পরিত্যক্ত ডকপিন, পাত ও যন্ত্রপাতি বিক্রি করেন তিনি।

অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়া এসব মালের হিসাব মিলানোর জন্য নিরীহ গেইট কিপারদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। লস্করপুর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের স্লিপার পরিবর্তনের কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নিজেই করেন । এই কাজে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

টিএলআর গেইট কিপারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা হার আদায় করা, পুরাতন টিএলআর গেইট কিপারদের বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করে নিজের ভাই সহ আর্থিক সুবিধা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

২০২৩ সালে লেভেল ক্রসিং এর কার্পেটিং কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছে কয়েক লক্ষ টাকায় কাটের স্লিপার বিক্রি করে দেন সাইফুল্লাহ। ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি মঞ্জুরি পাওয়া পি এল আর গেট কিপারদের যোগদান করতে না দিয়ে তাদের বেতন ভাতা কৌশলে আত্মসাৎ করেন।

সেলুস্কিনিং কাজে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার এবং পরিমাণে কম দেন তিনি। এছাড়াও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের অয়ত্ত্বে রেখে প্রভাব বিস্তার ও নানা অপকর্ম করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ছাত্রদের পক্ষে আবেদনকারীদের একজন আলাউদ্দিন জানান, সাইফুল্লাহ রিয়াদ দুর্নীতি করে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে করে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইফুল্লাহ রিয়াদ বর্তমানে আখাউড়া সেকশনে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনেও রয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল্লাহ রিয়াদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:০১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১০৬ বার পড়া হয়েছে

রেলওয়ের পিডব্লিউআই সাইফুল্লাহ রিয়াদের যত অপকর্ম!

আপডেট সময় ১২:০১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবৈধভাবে পরিত্যক্ত রেললাইন, ডকপিন, যন্ত্রপাতি বিক্রি, গেইট কিপারদের কাছ থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায়, কর্মচারীদের হয়রানি করাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পিডব্লিওআই) সাইফুল্লাহ রিয়াদের বিরুদ্ধে। তার এই অপকর্মের ১৪ দফা ফিরিস্তি তুলে ধরে বিচারের দাবীতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও সাধারণ ছাত্ররা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথের পরিত্যক্ত রেললাইন নিলামে দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। তখন নিলামের বাহিরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকার রেল লাইন তুলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় বিক্রি করে দেন উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) সাইফুল্লাহ রিয়াদ। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে গুদামে থাকা পরিত্যক্ত ডকপিন, পাত ও যন্ত্রপাতি বিক্রি করেন তিনি।

অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়া এসব মালের হিসাব মিলানোর জন্য নিরীহ গেইট কিপারদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। লস্করপুর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের স্লিপার পরিবর্তনের কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ নিয়ে নিজেই করেন । এই কাজে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

টিএলআর গেইট কিপারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা হার আদায় করা, পুরাতন টিএলআর গেইট কিপারদের বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করে নিজের ভাই সহ আর্থিক সুবিধা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

২০২৩ সালে লেভেল ক্রসিং এর কার্পেটিং কাজ পাওয়া ঠিকাদারের কাছে কয়েক লক্ষ টাকায় কাটের স্লিপার বিক্রি করে দেন সাইফুল্লাহ। ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি মঞ্জুরি পাওয়া পি এল আর গেট কিপারদের যোগদান করতে না দিয়ে তাদের বেতন ভাতা কৌশলে আত্মসাৎ করেন।

সেলুস্কিনিং কাজে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার এবং পরিমাণে কম দেন তিনি। এছাড়াও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের অয়ত্ত্বে রেখে প্রভাব বিস্তার ও নানা অপকর্ম করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ছাত্রদের পক্ষে আবেদনকারীদের একজন আলাউদ্দিন জানান, সাইফুল্লাহ রিয়াদ দুর্নীতি করে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে করে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাইফুল্লাহ রিয়াদ বর্তমানে আখাউড়া সেকশনে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনেও রয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল্লাহ রিয়াদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।