ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ মিনার থেকে এক দফা ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৩ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন।

নাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর এক মিনিটও এই সরকার থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

তিনি বলেন, আমরা আর তাদের কাছে কী বিচার চাইব? তারাই তো খুনি। আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপনাদের আন্দোলনের কারণে আমরা ছাড়া পেয়েছি। আজকেও গুলি চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এক দফা ঘোষণা করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে’। তিনি আগেই বুঝেছেন, দরজা খোলা রাখার সময় হয়েছে। আমরা আসছি। এই যে খুন-হত্যা হয়েছে, এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, সব মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং এই সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির বিচার। আমরা জেলের তালা ভেঙে আমাদের ভাইদের আনব। যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, এতে সব জনতা যোগ দিন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সম্মিলিত মোর্চা গঠন করব। আমরা আমাদের দেশের রূপরেখা ঘোষণা করব। আগামীকাল থেকে সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন হবে।

এই সমন্বয়ক বলেন, যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে।

তিনি জানান, দাবি আদায়ে রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

এর আগে আজ দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ও ব্যক্তিগতভাবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে অবরোধ তুলে শহীদ মিনারের দিকে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে তারা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে রওনা করেন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
১৮ বার পড়া হয়েছে

শহীদ মিনার থেকে এক দফা ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় ০৭:২০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৩ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন।

নাহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর এক মিনিটও এই সরকার থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

তিনি বলেন, আমরা আর তাদের কাছে কী বিচার চাইব? তারাই তো খুনি। আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপনাদের আন্দোলনের কারণে আমরা ছাড়া পেয়েছি। আজকেও গুলি চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এক দফা ঘোষণা করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে’। তিনি আগেই বুঝেছেন, দরজা খোলা রাখার সময় হয়েছে। আমরা আসছি। এই যে খুন-হত্যা হয়েছে, এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, সব মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং এই সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির বিচার। আমরা জেলের তালা ভেঙে আমাদের ভাইদের আনব। যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, এতে সব জনতা যোগ দিন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সম্মিলিত মোর্চা গঠন করব। আমরা আমাদের দেশের রূপরেখা ঘোষণা করব। আগামীকাল থেকে সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন হবে।

এই সমন্বয়ক বলেন, যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে।

তিনি জানান, দাবি আদায়ে রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

এর আগে আজ দুপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ও ব্যক্তিগতভাবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে অবরোধ তুলে শহীদ মিনারের দিকে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে তারা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে রওনা করেন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এখানে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন তারা।