ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শায়েস্তাগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত অভিভাবকদের মাঝে আতংক

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিন দিন এদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, পৌর শহরে অভ্যন্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামি একাডেমি এন্ড হাই স্কুল, জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ, ডিগ্রি কলেজ, কামিল মডেল মাদ্রাসা স্কুল-কলেজ শুরু এবং ছুটির সময় কিশোর গ্যাং নামের বখাটেরা বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা, রেললাইন, সড়ক, রেলস্টেশন, রেলগেইট, টমটম ও সিএনজির স্ট্যান্ড, গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্ট ও দোকান পাঠ বসা, স্কুল-কলেজ রাস্তায় ও দোকান পাঠ সামনে দাড়িয়ে থাকা প্রতিদিন বিভিন্ন ছদ্মবেশে নানা কৌশলে উৎপেতে থাকে কিশোর গ্যাং অপরাধী একা বা দলবেঁধে আড্ডা জমায় ও অযথা ঘুরাফেরা করে।

তাদের উৎপাতের কারণে অনেক অভিভাবক উৎকন্ঠায় সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন না এবং অনেকেই ভর্তি করতে চাচ্ছে না।

আবার অনেক কিশোর গ্যাং আধিপত্য বিস্তারে জড়িয়ে পড়ছে খুন ও ঝগড়া মারামারিতে। কিশোরদের প্রতি পিতা-মাতা, ভাই-বোন অভিভাবকরা সচেতন না থাকায় তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা জড়িয়ে পড়ছে বিপদজনক কিশোর গ্যাং এর সাথে।

কিশোর গ্যাং দমনে প্রশাসন সক্রিয় থাকলেও পৌর শহরে কোথাও না কোথাও ঘটছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত জনিত অপরাধ। তারা স্কুল-কলেজগামী বা ভোর সকালে কোচিং সেন্টারগামী ছাত্রীদের অলি-গলি রাস্তায় চলাচল সময় বিভিন্ন কৌশলে ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ইভটিজিং করছে।

অনেক ছাত্রী লজ্জায় কিংবা বখাটের ভয়ে তা কাউকে জানাতে পারছে না এবং অনেক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও তাদের অভিভাবকদের কাছে ভয়ে লজ্জায় বলে না।

অনেক কিশোর গ্যাং বিভিন্ন নাম ধারণ করে ছদ্মবেশে সন্ধা হলেই শহরের নির্জন পয়েন্ট রেলস্টেশনে ঘুরাফেরা, রেলস্টেশন ওভারব্রীজ উপর আড্ডা, রেল পার্কিং বসা, মনিকা সিনামা হল এলাকায়, দাউদনগর বাজার রেলগেইট আড্ডা ও বাল্লা রেল গেইট চা দোকানে আড্ডা, রেললাইন উপর বসে আড্ডা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর আড্ডা এবং বিভিন্ন গ্রামের ভেতর রাস্তায় দোকান পাঠ নিকটে আড্ডা সহ বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল ফোন মাধ্যমে লুডু খেলা নামে জুয়া খেলা সক্রিয় হয়ে পড়ে।

পর্যটকদের টার্গেট করে এসব টিম ভোর সকাল এবং সন্ধা নামলেই মাঠে নামে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ফলে প্রতিদিনই অগোচরে ছাত্রীদের মা-বাবা, ভাই-বোনরা অপমান করছে কিশোর গ্যাংরা। ছাত্রীদের ইভটিজিং বিষয়ে কিশোর গ্যাংয়ের অভিভাবক বিচার প্রার্থী হলেও কোনো লাভ হয় না।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বন্ধ করতে হলে র‌্যাব ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
৭ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত অভিভাবকদের মাঝে আতংক

আপডেট সময় ১২:১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিন দিন এদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, পৌর শহরে অভ্যন্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামি একাডেমি এন্ড হাই স্কুল, জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ, ডিগ্রি কলেজ, কামিল মডেল মাদ্রাসা স্কুল-কলেজ শুরু এবং ছুটির সময় কিশোর গ্যাং নামের বখাটেরা বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা, রেললাইন, সড়ক, রেলস্টেশন, রেলগেইট, টমটম ও সিএনজির স্ট্যান্ড, গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্ট ও দোকান পাঠ বসা, স্কুল-কলেজ রাস্তায় ও দোকান পাঠ সামনে দাড়িয়ে থাকা প্রতিদিন বিভিন্ন ছদ্মবেশে নানা কৌশলে উৎপেতে থাকে কিশোর গ্যাং অপরাধী একা বা দলবেঁধে আড্ডা জমায় ও অযথা ঘুরাফেরা করে।

তাদের উৎপাতের কারণে অনেক অভিভাবক উৎকন্ঠায় সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন না এবং অনেকেই ভর্তি করতে চাচ্ছে না।

আবার অনেক কিশোর গ্যাং আধিপত্য বিস্তারে জড়িয়ে পড়ছে খুন ও ঝগড়া মারামারিতে। কিশোরদের প্রতি পিতা-মাতা, ভাই-বোন অভিভাবকরা সচেতন না থাকায় তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানরা জড়িয়ে পড়ছে বিপদজনক কিশোর গ্যাং এর সাথে।

কিশোর গ্যাং দমনে প্রশাসন সক্রিয় থাকলেও পৌর শহরে কোথাও না কোথাও ঘটছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত জনিত অপরাধ। তারা স্কুল-কলেজগামী বা ভোর সকালে কোচিং সেন্টারগামী ছাত্রীদের অলি-গলি রাস্তায় চলাচল সময় বিভিন্ন কৌশলে ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ইভটিজিং করছে।

অনেক ছাত্রী লজ্জায় কিংবা বখাটের ভয়ে তা কাউকে জানাতে পারছে না এবং অনেক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও তাদের অভিভাবকদের কাছে ভয়ে লজ্জায় বলে না।

অনেক কিশোর গ্যাং বিভিন্ন নাম ধারণ করে ছদ্মবেশে সন্ধা হলেই শহরের নির্জন পয়েন্ট রেলস্টেশনে ঘুরাফেরা, রেলস্টেশন ওভারব্রীজ উপর আড্ডা, রেল পার্কিং বসা, মনিকা সিনামা হল এলাকায়, দাউদনগর বাজার রেলগেইট আড্ডা ও বাল্লা রেল গেইট চা দোকানে আড্ডা, রেললাইন উপর বসে আড্ডা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর আড্ডা এবং বিভিন্ন গ্রামের ভেতর রাস্তায় দোকান পাঠ নিকটে আড্ডা সহ বিভিন্ন অপরাধে মোবাইল ফোন মাধ্যমে লুডু খেলা নামে জুয়া খেলা সক্রিয় হয়ে পড়ে।

পর্যটকদের টার্গেট করে এসব টিম ভোর সকাল এবং সন্ধা নামলেই মাঠে নামে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ফলে প্রতিদিনই অগোচরে ছাত্রীদের মা-বাবা, ভাই-বোনরা অপমান করছে কিশোর গ্যাংরা। ছাত্রীদের ইভটিজিং বিষয়ে কিশোর গ্যাংয়ের অভিভাবক বিচার প্রার্থী হলেও কোনো লাভ হয় না।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বন্ধ করতে হলে র‌্যাব ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।