ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শায়েস্তাগঞ্জে চাল ও আটা কিনতে ওএমএস দোকানে ক্রেতার ভীড়

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

সিলেট বিভাগে ভয়াবহ বন্যায় ১৪ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকার ভুতুর্কি দিয়ে মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরকারি বন্ধ দিন ছাড়া প্রতিদিন জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা সরবরাহের লক্ষ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু করেছে। সপ্তাহে পাঁচ দিন ওএমএস দোকান খোলা রাখা হবে।

প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ১ টন চাল ও ১ টন আটা বরাদ্দ পান। চাল ও আটা বরাদ্দ অনুযায়ী প্রতিদিন ২ শ জনের কাছে চাল-আটা বিক্রি করেন। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পৌরশহরে ওএমএস দোকান গুলো খোলে সকাল ৯ টায়। কিন্তু ব্যাগ হাতে নিয়ে ভোর সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়ান ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ। বাজারে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে। আর আটা বিক্রি হচ্ছে ৫২-৬০ টাকা। তবে ওএমএস চাল ও আটা বরাদ্দ অনুযায়ী পুরুষের চেয়ে নারীরা তিন গুণ বেশি দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর ও অনেক নারী-পুরুষ ফিরে যেতে হয় খালি হাতে।

ওএমএস পণ্য কিনতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষ প্রতিনিধিকে বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে ও ওএমএস ডিলার দোকান দুটি থাকায় ভিড় হচ্ছে। কিন্তু এর আগে ছিল চার জন ওএমএস ডিলার দোকান। তখন এরকম মানুষের ভিড় ছিল না। ২’শ জনের বরাদ্দকৃত চাল ও আটা জন্য উপজেলার লোকজন সহ অন্যান্য উপজেলা থেকে নারী-পুরুষ চাল-আটা জন্য দাড়িয়ে থাকতে হয়।

চাল ও আটা নিতে আসা পুরুষের তুলনা চেয়ে নারীরা নিয়ম শৃংখলা ছাড়াই ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কি করে চাল ও আটা নিতে আসে দেখা যায়। কেউ চাল ও আটা সংগ্রহ করে কেউ নিয়ে যায় খাবারের জন্য এবং কেউ নিয়ে যায় বাজারে বিক্রি বা মহল্লায় নিয়ে বিক্রি করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওএমএস ডিলাররা সুন্দর শৃংখলাভাবে চাল ও আটা দিতে চাইলে নারী-পুরুষরা ডিলারের কথা মানে না।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে পূর্ব লেঞ্জাপাড়া এলাকার ৫০ বছর বয়সী দিন মজুরি মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, ওএমএস ডিলার দোকানে এসে দেখি, উপজেলা বাহিরে ও অসংখ্য নারীরা না চিনার ভাব ধরে মুখে কাপড় বা মাক্স দিয়ে ঢেকে পড়ে লাইনে দাঁড়ায় এবং আবার কেউ বোরকা পড়ে থাকে কিন্তু চিনা যায় না কিন্তু বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কেউ ১ বা ২ বার নিতে দেখা যায়।

আবার অনেক নারী ঘরের পরিবারের উপস্থিত করে লাইনে দাড়িয়ে থাকে। এমন অবস্থা পুরুষরা রয়েছে খুবই কম। চাল ও আটা নিয়ে অনেকেই বাজারে বা মহল্লায় বিক্রি করে ফেলে। আরো জানা যায়, এক ওএমএস ডিলার দোকান থেকে চাল ও আটা ক্রয় করে অন্য ডিনারের দোকানে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান কিন্তু এদেরকে চিনার মতো নয়। ফলে ডিলারের দোকানে চাল ও আটা বিক্রি সময় কোনো নিরাপত্তা না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিলাররা।

মনিকা সিনেমা হল হবিগঞ্জ রোডে ওএমএস ডিলার বিভু বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন এক টন করে চাল ও আটা বরাদ্দ পাই। কিন্তু যে পরিমাণ নারী-পুরুষ ভিড় করে, তাতে আমরা পৌর শহরে দুজন ডিলার হিমশিম খেতে হয়। এখান থেকে দেওয়া চাল ও আটা মান খুবই ভালো। বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দুপুর ২ টা ভেতর শেষ হয়ে যায়। চালের তুলনায় আটার গ্রাহক বেশি। প্রতিদিন মানুষকে আটা ও চাল দেওয়ার সুযোগ থাকলে ও প্রচুর পরিমাণ ভিড় করছেন ৫’শ থেকে হাজারের উর্ধ্বে নারী-পুরুষ। এতে অনেকেই মন খারাপ করে আমাদের উপর।

প্রতিদিন ওএমএস দোকানে খোলা বাজারে তদারকি কবছেন কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ ইসমাইল তালুকদার রাহি, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মোছাঃ কামরুন্নেছা তালুকদার। এছাড়া খাদ্য গুদামের শুভ এবং সিকিউরিটিরা উপস্থিত থাকে। বরাদ্দ আরও বাড়াতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৩০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জে চাল ও আটা কিনতে ওএমএস দোকানে ক্রেতার ভীড়

আপডেট সময় ০৩:৩০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিলেট বিভাগে ভয়াবহ বন্যায় ১৪ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকার ভুতুর্কি দিয়ে মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে সরকারি বন্ধ দিন ছাড়া প্রতিদিন জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা সরবরাহের লক্ষ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু করেছে। সপ্তাহে পাঁচ দিন ওএমএস দোকান খোলা রাখা হবে।

প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ১ টন চাল ও ১ টন আটা বরাদ্দ পান। চাল ও আটা বরাদ্দ অনুযায়ী প্রতিদিন ২ শ জনের কাছে চাল-আটা বিক্রি করেন। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় পৌরশহরে ওএমএস দোকান গুলো খোলে সকাল ৯ টায়। কিন্তু ব্যাগ হাতে নিয়ে ভোর সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়ান ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ। বাজারে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে। আর আটা বিক্রি হচ্ছে ৫২-৬০ টাকা। তবে ওএমএস চাল ও আটা বরাদ্দ অনুযায়ী পুরুষের চেয়ে নারীরা তিন গুণ বেশি দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর ও অনেক নারী-পুরুষ ফিরে যেতে হয় খালি হাতে।

ওএমএস পণ্য কিনতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষ প্রতিনিধিকে বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে ও ওএমএস ডিলার দোকান দুটি থাকায় ভিড় হচ্ছে। কিন্তু এর আগে ছিল চার জন ওএমএস ডিলার দোকান। তখন এরকম মানুষের ভিড় ছিল না। ২’শ জনের বরাদ্দকৃত চাল ও আটা জন্য উপজেলার লোকজন সহ অন্যান্য উপজেলা থেকে নারী-পুরুষ চাল-আটা জন্য দাড়িয়ে থাকতে হয়।

চাল ও আটা নিতে আসা পুরুষের তুলনা চেয়ে নারীরা নিয়ম শৃংখলা ছাড়াই ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কি করে চাল ও আটা নিতে আসে দেখা যায়। কেউ চাল ও আটা সংগ্রহ করে কেউ নিয়ে যায় খাবারের জন্য এবং কেউ নিয়ে যায় বাজারে বিক্রি বা মহল্লায় নিয়ে বিক্রি করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওএমএস ডিলাররা সুন্দর শৃংখলাভাবে চাল ও আটা দিতে চাইলে নারী-পুরুষরা ডিলারের কথা মানে না।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরে পূর্ব লেঞ্জাপাড়া এলাকার ৫০ বছর বয়সী দিন মজুরি মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, ওএমএস ডিলার দোকানে এসে দেখি, উপজেলা বাহিরে ও অসংখ্য নারীরা না চিনার ভাব ধরে মুখে কাপড় বা মাক্স দিয়ে ঢেকে পড়ে লাইনে দাঁড়ায় এবং আবার কেউ বোরকা পড়ে থাকে কিন্তু চিনা যায় না কিন্তু বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কেউ ১ বা ২ বার নিতে দেখা যায়।

আবার অনেক নারী ঘরের পরিবারের উপস্থিত করে লাইনে দাড়িয়ে থাকে। এমন অবস্থা পুরুষরা রয়েছে খুবই কম। চাল ও আটা নিয়ে অনেকেই বাজারে বা মহল্লায় বিক্রি করে ফেলে। আরো জানা যায়, এক ওএমএস ডিলার দোকান থেকে চাল ও আটা ক্রয় করে অন্য ডিনারের দোকানে গিয়ে লাইনে দাঁড়ান কিন্তু এদেরকে চিনার মতো নয়। ফলে ডিলারের দোকানে চাল ও আটা বিক্রি সময় কোনো নিরাপত্তা না থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিলাররা।

মনিকা সিনেমা হল হবিগঞ্জ রোডে ওএমএস ডিলার বিভু বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিন এক টন করে চাল ও আটা বরাদ্দ পাই। কিন্তু যে পরিমাণ নারী-পুরুষ ভিড় করে, তাতে আমরা পৌর শহরে দুজন ডিলার হিমশিম খেতে হয়। এখান থেকে দেওয়া চাল ও আটা মান খুবই ভালো। বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দুপুর ২ টা ভেতর শেষ হয়ে যায়। চালের তুলনায় আটার গ্রাহক বেশি। প্রতিদিন মানুষকে আটা ও চাল দেওয়ার সুযোগ থাকলে ও প্রচুর পরিমাণ ভিড় করছেন ৫’শ থেকে হাজারের উর্ধ্বে নারী-পুরুষ। এতে অনেকেই মন খারাপ করে আমাদের উপর।

প্রতিদিন ওএমএস দোকানে খোলা বাজারে তদারকি কবছেন কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ ইসমাইল তালুকদার রাহি, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মোছাঃ কামরুন্নেছা তালুকদার। এছাড়া খাদ্য গুদামের শুভ এবং সিকিউরিটিরা উপস্থিত থাকে। বরাদ্দ আরও বাড়াতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।