ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামী করে মামলা

সৈয়দ আজিজুর রহমান ছয়ফুর

শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হুমায়ূন কবীর সৈকত, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরানসহ ১১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একজন শিক্ষার্থী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মোঃ ইয়াকুব আলীর ছেলে আতাউর রহমান হৃদয় ওরফে শেখ হৃদয় বাদি হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন আদিল মোঃ জজ মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদউজ্জামান মাসুক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, নুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সভাপতি ইসহাক আলী সেবন, ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম শিবলু, ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল খান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজল উদ্দিন তালুকদার, কাউন্সিলর আবু তাহির মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফখরুল হামিদ,আব্দুল মুকিদ, ফজল উদ্দিন তালুকদার, খায়রুল আলম, আব্বাস উদ্দিন তালুকদার, কাউন্সিলর আবু তাহির, প্রসেনজিত দেব অসিত রঞ্জন দাশ মন্টু, প্রতাপ রায়সহ অজ্ঞাত আরো ১৫০/২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রসেনজিৎ দেব ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাসেল, ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম দিপন। মামলা বলা হয়, গত ৪ আগষ্ট বিকেল ৩ টায় শায়েস্তাগঞ্জের রেলওয়ে পার্কিং এলাকায় বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করতে ছাত্র-জনতা একত্রিত হন। এ সময় ১, ২ ও ৩ নং আসামীর নেতৃত্বে ও হুকুমে অন্যান্য আসামীরা বাধা প্রদান করেন।

এক পর্যায়ে ৩নং আসামী তার হাতে থাকা কাচের পেপসির বোতল দিয়ে আতাউর রহমান হৃদয় ওরফে শেখ হৃদয়কে আঘাত করেন। উক্ত আঘাতের কারনে তার চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পার্কিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়।

অফিসার ইনচার্জ মোবারক হোসেন ভূইয়া জানিয়েছেন, যেহেতু মামলাটি রুজু হয়েছে, তাই আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামী করে মামলা

আপডেট সময় ১১:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হুমায়ূন কবীর সৈকত, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরানসহ ১১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একজন শিক্ষার্থী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মোঃ ইয়াকুব আলীর ছেলে আতাউর রহমান হৃদয় ওরফে শেখ হৃদয় বাদি হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন আদিল মোঃ জজ মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদউজ্জামান মাসুক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, নুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সভাপতি ইসহাক আলী সেবন, ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম শিবলু, ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল খান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজল উদ্দিন তালুকদার, কাউন্সিলর আবু তাহির মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফখরুল হামিদ,আব্দুল মুকিদ, ফজল উদ্দিন তালুকদার, খায়রুল আলম, আব্বাস উদ্দিন তালুকদার, কাউন্সিলর আবু তাহির, প্রসেনজিত দেব অসিত রঞ্জন দাশ মন্টু, প্রতাপ রায়সহ অজ্ঞাত আরো ১৫০/২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রসেনজিৎ দেব ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাসেল, ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম দিপন। মামলা বলা হয়, গত ৪ আগষ্ট বিকেল ৩ টায় শায়েস্তাগঞ্জের রেলওয়ে পার্কিং এলাকায় বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করতে ছাত্র-জনতা একত্রিত হন। এ সময় ১, ২ ও ৩ নং আসামীর নেতৃত্বে ও হুকুমে অন্যান্য আসামীরা বাধা প্রদান করেন।

এক পর্যায়ে ৩নং আসামী তার হাতে থাকা কাচের পেপসির বোতল দিয়ে আতাউর রহমান হৃদয় ওরফে শেখ হৃদয়কে আঘাত করেন। উক্ত আঘাতের কারনে তার চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।

জানা যায়, গত ৪ আগস্ট শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পার্কিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়।

অফিসার ইনচার্জ মোবারক হোসেন ভূইয়া জানিয়েছেন, যেহেতু মামলাটি রুজু হয়েছে, তাই আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।