শায়েস্তাগঞ্জে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জে দিন দিন ভুট্টার আবাদ বাড়ছে। গবাদিপশুর খাদ্য তৈরিতে ভুট্টার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হওয়ায় সারাবছর চাহিদা থাকে। অন্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ কম, ঝুঁকিহীন, কম পরিশ্রমে বেশি ফসল, অল্প সেচ ও সার প্রয়োগের সুবিধা থাকায় কৃষকেরা এ ফসল চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ফলন বেশ ভালো হবে বলে আশা করছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গত বছর উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছিল। যা এ বছর বেড়ে ১৫ দশমিক ৫ হেক্টর হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জগতপুর এলাকায় মাঠজুড়ে কৃষকেরা ভুট্টা চাষ করেছেন। যা চোখে পড়ার মতো। এরই মধ্যে গাছে গাছে ফল এসেছে।কিছু গাছে ভুট্টা পরিপক্ব হতে শুরু করেছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিঘাপ্রতি তাদের খরচ হয়েছে ৭-৮ হাজার টাকা। ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৩৫ মণ। গত বছর প্রতি মণ ভুট্টার দাম ছিল ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। চলতি বছর তা দেড় হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একাধিক কৃষক জানান, অন্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষে খরচ তুলনামূলক কম। এ ছাড়া ভুট্টার সবকিছুই কাজে লাগে। পাতা গরুকে খাওয়ানো যায়। ডাটা ও মোচা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো। আশানুরূপ ফলন ও দাম পেলে আগামী বছর আরও বেশি জমি চাষ করবেন তারা।
দুলাল মিয়া নামে এক কৃষক জানান, তিনি প্রথমবারের মতো ৪০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
জগতপুর গ্রামের কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি এ বছর ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ২০-২৫ মণ ভুট্টা হবে বলে আশা করছি।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান বলেন, উপজেলায় ৩২৫৯ হেক্টর আবাদি জমি আছে।
এ বছর ১৫ দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৫ হেক্টর বেশি। ভুট্টা চাষিদের বিভিন্ন সহযোগিতাসহ সরকারি ভাবে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন হবে।