ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন Logo হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস Logo নবীগঞ্জে পিতার দায়ের কোপে মেয়ে খুন,ঘাতক পিতা আটক। Logo হবিগঞ্জে বাস উল্টে যুবকের মৃত্যু, আহত ৫০ Logo তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জে ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠিত

শায়েস্তাগঞ্জ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে মামুনের নিয়োগ অবৈধ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শায়েস্তাগঞ্জে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে অধ্যক্ষ পদে প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকার বেতন স্কেলে গৃহীত ৯ লাখ ১৯ হাজার ৮শ টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পর থেকে উত্তোলনকৃত সকল বেতন ভাতাদি একইভাবে সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে এ নির্দেশ দেয়া হলেও তা আমলে নিচ্ছেন না ওই অধ্যক্ষ। তিনি দিব্বি ওই পদে থেকে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। কলেজের গভর্নিংবডি এ ব্যাপারে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। কার্যতঃ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, গত ২৬/১২/২০২২ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এ কলেজটি পরিদর্শন করে। পরিদর্শন করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ অবৈধ ধরা পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সময় যাছাইকালে তিনি উল্লেখ করেন, এর আগে তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসায় গত ০১/০৭/২০২৪ইং তারিখ থেকে ১৫/১১/২০২০ইং তারিখ পর্যন্ত প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। উত্থাপিত অভিজ্ঞতার সনদে ইস্যু নম্বর নেই এবং তারিখবিহীন স্বাক্ষর করা হয়েছে। তার প্রভাষক পদে নিয়োগ রেকর্ড যাচাইয়ে তার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না। প্রভাষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি মানা হয়নি। ফলে প্রভাষক পদের অভিজ্ঞতা অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি গত ২৫/০২/২০২১ইং তারিখে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে ৪৩ হাজার টাকার স্কেলে এমপিওভুক্ত হন। ওই তারিখ থেকে গত ৩০/১১/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত ৯ লাখ ১৯ হাজার ৮শ টাকা বেতন উত্তোলন করেন। যা সরকারী কোষাগারে ফেরতযোগ্য। এছাড়া উক্ত তারিখের পর থেকে যে বেতন তিনি উত্তোলন করেছেন তাও সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে নিরীক্ষার প্রতিবেদন কলেজে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণের জন্য কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি বরাবরে এর অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের অধিদপ্তর থেকে এ প্রতিনিধিকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে গভর্নিংবডি ওই অধ্যক্ষের ব্যাপারে অবশ্যই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা। আব্দুল্লাহ আল মামুনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। উক্ত পদে কলেজে থাকার তার কোন সুযোগ নেই। অধিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, গভর্নিংবডি যদি তাকে ওই পদে রেখে কাজ করার সুযোগ দেয় তাহলে এর দায় তাদের বহন করতে হবে। শায়েস্তাগঞ্জে শত কোটি টাকা ব্যয় করে প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আব্দুল কবির জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি না থাকায় কার্যতঃ প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সো”চার হতে হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১৫৯ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে মামুনের নিয়োগ অবৈধ

আপডেট সময় ১২:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শায়েস্তাগঞ্জে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে অধ্যক্ষ পদে প্রতি মাসে ৪৩ হাজার টাকার বেতন স্কেলে গৃহীত ৯ লাখ ১৯ হাজার ৮শ টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পর থেকে উত্তোলনকৃত সকল বেতন ভাতাদি একইভাবে সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে এ নির্দেশ দেয়া হলেও তা আমলে নিচ্ছেন না ওই অধ্যক্ষ। তিনি দিব্বি ওই পদে থেকে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। কলেজের গভর্নিংবডি এ ব্যাপারে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। কার্যতঃ জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, গত ২৬/১২/২০২২ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এ কলেজটি পরিদর্শন করে। পরিদর্শন করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ অবৈধ ধরা পড়ে। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সময় যাছাইকালে তিনি উল্লেখ করেন, এর আগে তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসায় গত ০১/০৭/২০২৪ইং তারিখ থেকে ১৫/১১/২০২০ইং তারিখ পর্যন্ত প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। উত্থাপিত অভিজ্ঞতার সনদে ইস্যু নম্বর নেই এবং তারিখবিহীন স্বাক্ষর করা হয়েছে। তার প্রভাষক পদে নিয়োগ রেকর্ড যাচাইয়ে তার নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না। প্রভাষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি মানা হয়নি। ফলে প্রভাষক পদের অভিজ্ঞতা অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি গত ২৫/০২/২০২১ইং তারিখে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে ৪৩ হাজার টাকার স্কেলে এমপিওভুক্ত হন। ওই তারিখ থেকে গত ৩০/১১/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত ৯ লাখ ১৯ হাজার ৮শ টাকা বেতন উত্তোলন করেন। যা সরকারী কোষাগারে ফেরতযোগ্য। এছাড়া উক্ত তারিখের পর থেকে যে বেতন তিনি উত্তোলন করেছেন তাও সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে নিরীক্ষার প্রতিবেদন কলেজে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া গ্রহণের জন্য কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি বরাবরে এর অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের অধিদপ্তর থেকে এ প্রতিনিধিকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে গভর্নিংবডি ওই অধ্যক্ষের ব্যাপারে অবশ্যই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা। আব্দুল্লাহ আল মামুনের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। উক্ত পদে কলেজে থাকার তার কোন সুযোগ নেই। অধিদপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, গভর্নিংবডি যদি তাকে ওই পদে রেখে কাজ করার সুযোগ দেয় তাহলে এর দায় তাদের বহন করতে হবে। শায়েস্তাগঞ্জে শত কোটি টাকা ব্যয় করে প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আব্দুল কবির জহুর চান বিবি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি না থাকায় কার্যতঃ প্রতিষ্ঠানটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সো”চার হতে হবে।