ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের হলরুমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবিতে তিনি পদত্যাগ করেন।

লিখিত একটি পত্রে কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, আমি কিশোর রায় চৌধুরী মনি। চেয়ারম্যান জুড়ী উপজেলা পরিষদ। আজ ১৫/০৮/২০২৪ ইং পদত্যাগ করলাম। ১৮/০৮/২০২৪ ইং অফিসিয়াল ভাবে পদত্যাগ এর পত্র সম্পন্ন করব।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহি অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, বৃহস্পতিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এসেছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে। একই সাথে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র দিবেন। চেয়ারম্যান দুই দিনের সময় চেয়েছেন অফিসিয়ালি পদত্যাগের জন্য। আপাতত তিনি তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত ভাবে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বলেন, ওনার লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী তিনি আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, আমি আমার বক্তব্য লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহি অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতা ও ছাত্রদের সমন্বয়কদের কাছে উপস্থাপন করে দিয়েছি। এ বিষয়ে মৌখিক আমার কোন বক্তব্য নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদত্যাগ করেছি এটাতো আমি লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট জুড়ীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলের শেষের দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি নিরব ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু পরদিন ৪ আগস্ট আক্রমনকারীদের সাথে নিয়েই জুড়ীতে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল এবং শিক্ষার্থী ও কেউ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে প্রতিহত করতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন জুড়ীতে। এতে নেতৃত্ব দেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি এবং ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ (জুয়েল রানা)।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৩৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪
২৮ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ১১:৩৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের হলরুমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবিতে তিনি পদত্যাগ করেন।

লিখিত একটি পত্রে কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, আমি কিশোর রায় চৌধুরী মনি। চেয়ারম্যান জুড়ী উপজেলা পরিষদ। আজ ১৫/০৮/২০২৪ ইং পদত্যাগ করলাম। ১৮/০৮/২০২৪ ইং অফিসিয়াল ভাবে পদত্যাগ এর পত্র সম্পন্ন করব।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহি অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, বৃহস্পতিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এসেছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে। একই সাথে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্র দিবেন। চেয়ারম্যান দুই দিনের সময় চেয়েছেন অফিসিয়ালি পদত্যাগের জন্য। আপাতত তিনি তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত ভাবে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহি অফিসার বলেন, ওনার লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী তিনি আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি বলেন, আমি আমার বক্তব্য লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহি অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতা ও ছাত্রদের সমন্বয়কদের কাছে উপস্থাপন করে দিয়েছি। এ বিষয়ে মৌখিক আমার কোন বক্তব্য নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদত্যাগ করেছি এটাতো আমি লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট জুড়ীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলের শেষের দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আহত হন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি নিরব ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু পরদিন ৪ আগস্ট আক্রমনকারীদের সাথে নিয়েই জুড়ীতে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল এবং শিক্ষার্থী ও কেউ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে প্রতিহত করতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন জুড়ীতে। এতে নেতৃত্ব দেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি এবং ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ (জুয়েল রানা)।