শ্রীমঙ্গলে বিএনপির বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
শ্রীমঙ্গলে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফয়জুল করিম ময়ুন ও ভিপি মিজানুর রহমান মিজান এর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন হওয়ায় জেলার ৭ টি উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
মৃতপ্রায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন ও সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা ভিপি মিজানুর রহমান মিজান এর গতিশীল নেতৃত্বে সারা জেলায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা প্রাণ ফিরে পেয়েছেন বলে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান। শ্রীমঙ্গলের বিএনপির কর্মী সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতি এটা প্রামাণীত হয়েছে বলে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। নেতাকর্মীরা আশাবাদী সারা জেলায় ময়ুন ও মিজানের নেতৃত্বে ত্যাগী ও সঠিক নেতাদের মূল্যায়ন হবে বলে তারা জানান।
বৃহস্পতিবার(৫ই ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের পুরান বাজার এলাকায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন এর সভাপতিত্বে ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বেলাল আহমদ এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নাসের রহমান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী,মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ভিপি মিজানুর রহমান মিজান,মোশারফ হোসেন বাদশা,মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক,মহসিন মিয়া মধু,মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দীকি,এডভোকেট আবেদ রেজা,আব্দুল মুকিদ,বকশি মিছবাহুর রহমান,মুহিতুর রহমান হেলাল,হেলু মিয়া,স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী,গাজী মারুফ,সালাউদ্দিন,ফখরুল ইসলাম,মতিন বক্স,মনোয়ার আহমদ রহমান,উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী,তাজ উদ্দিন তাজু, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া ও সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান প্রমুখ। বিএনপির এ কর্মী সভা দুপুর ২ টায় শুরু হলেও এতে বিকেল ৩ টার মধ্যে বিশাল জনসভায় রুপ নেয়। এসময় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী এ কর্মী সভায় অংশ নেন। এসময় নেতাকর্মীরা জানান দীর্ঘ ১৬ বছর পর স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর তারা স্বাধীনভাবে সমাবেশ করতে পারায় খুবই আনন্দিত। কোন রকম পুলিশি হয়রানি না থাকায় তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে যোগ দিতে পেরেছেন। এর আগে তারা এরকম সমাবেশ করতে গিয়ে বাসা-বাড়ীতে পুলিশি হয়রানি,হামলা ও মামলার শিকার হয়েছিলেন বলে জানান।