ঢাকা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে ৭০টি ইটভাটা বন্ধের আশঙ্কা কর্মহীন হওয়ার শঙ্কায় ৪০ হাজার শ্রমিক Logo হবিগঞ্জে ভিপি নুরুল হক নুর আশাকরি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে Logo হবিগঞ্জের রশিদপুরে আরো ২৯ বিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে চায় শিক্ষার্থীরা

অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচী পালন করে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে এক দফা, এক দাবি, ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাস। ৬টি বিষয়ে পরীক্ষা। এবং স্কুলের শিক্ষকদের হাতে ৩০ শতাংশ মার্ক না রাখার পক্ষে তাদের দাবি জানায়। ৫ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে এক দফা অটোপাশের দাবিতে তারা আন্দোলন করবে বলে জানায়।

মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম জানায়, আমাদের অর্ধবাষিক পরীক্ষা গ্রæপ ভিত্তিক দিয়েছি। এখন এই পরীক্ষার সিলেবাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা একজনের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা চাই সিলেবাস শর্ট করতে এবং শিক্ষকের হাতের মার্ক কমাতে। শিক্ষকের হাতে মার্ক থাকলে আমরা পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবো না। সিলেবাস না কমালে আমাদের একদফা থাকবে। সেটা হলো অটোপাশ।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এই বছরে এক কারিকুলামে আমরা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি। এখন মধ্যখানে এসে আবার কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে আবার আরেক কারিকুলাম করা হবে। আমাদেরকে নিয়ে তারা খেলবে না-কি? আমরা কিছু বলব না।

তাবিয়া বেগম নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের বর্তমান সিলেবাস বেশ বড়। আমরা অল্প সময়ের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চাই। আমরা বলছি না যে অটোপাশ দিয়ে দিতে। নতুন এই কারিকুলামে বৃহৎ সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়া একিবারে অসম্ভব।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদ জানায়, নতুন কারিকুলামে যে শর্ট সিলেবাস দেওয়া হয়েছে এটি একটি বৃহৎ সিলেবাস। আমরা এজন্য মাঠে নেমেছি। আমাদেরকে যৌক্তিক একটি শর্ট সিলেবাস দিতে হবে।

নাবিদ হাসান নামের আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা গত ৮ মাস অন্য একটি সিলেবাসে পড়েছি। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আরেকটি সিলেবাস দেওয়া হল। আগের সিলেবাস শেষ করতে পারিনি। এখন আবার নতুন সিলেবাস, নতুন কারিকুলাম। সিলেবাসটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা ৬ মাস পড়ালেখা করে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের হাতে আছে মাত্র দুই মাস। যৌক্তিক সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টির দাবি না মানা হলে আমরা কেহ পরীক্ষায় বসবো না।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবিদ হাসান, রাহাত আহমদ, নাবিল আহসান, মুগ্ধ জামান, মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম ও তাবিয়া আক্তার সহ আরও কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১১৯ বার পড়া হয়েছে

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে চায় শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচী পালন করে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে এক দফা, এক দাবি, ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় যৌক্তিক শর্ট সিলেবাস। ৬টি বিষয়ে পরীক্ষা। এবং স্কুলের শিক্ষকদের হাতে ৩০ শতাংশ মার্ক না রাখার পক্ষে তাদের দাবি জানায়। ৫ অক্টোবরের মধ্যে দাবি না মানলে এক দফা অটোপাশের দাবিতে তারা আন্দোলন করবে বলে জানায়।

মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম জানায়, আমাদের অর্ধবাষিক পরীক্ষা গ্রæপ ভিত্তিক দিয়েছি। এখন এই পরীক্ষার সিলেবাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যা একজনের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ে পড়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা চাই সিলেবাস শর্ট করতে এবং শিক্ষকের হাতের মার্ক কমাতে। শিক্ষকের হাতে মার্ক থাকলে আমরা পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবো না। সিলেবাস না কমালে আমাদের একদফা থাকবে। সেটা হলো অটোপাশ।

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এই বছরে এক কারিকুলামে আমরা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছি। এখন মধ্যখানে এসে আবার কারিকুলাম পরিবর্তন করা হয়েছে। পরে আবার আরেক কারিকুলাম করা হবে। আমাদেরকে নিয়ে তারা খেলবে না-কি? আমরা কিছু বলব না।

তাবিয়া বেগম নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের বর্তমান সিলেবাস বেশ বড়। আমরা অল্প সময়ের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চাই। আমরা বলছি না যে অটোপাশ দিয়ে দিতে। নতুন এই কারিকুলামে বৃহৎ সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়া একিবারে অসম্ভব।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদ জানায়, নতুন কারিকুলামে যে শর্ট সিলেবাস দেওয়া হয়েছে এটি একটি বৃহৎ সিলেবাস। আমরা এজন্য মাঠে নেমেছি। আমাদেরকে যৌক্তিক একটি শর্ট সিলেবাস দিতে হবে।

নাবিদ হাসান নামের আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা গত ৮ মাস অন্য একটি সিলেবাসে পড়েছি। সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আরেকটি সিলেবাস দেওয়া হল। আগের সিলেবাস শেষ করতে পারিনি। এখন আবার নতুন সিলেবাস, নতুন কারিকুলাম। সিলেবাসটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যা ৬ মাস পড়ালেখা করে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের হাতে আছে মাত্র দুই মাস। যৌক্তিক সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টির দাবি না মানা হলে আমরা কেহ পরীক্ষায় বসবো না।

মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান জিহাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবিদ হাসান, রাহাত আহমদ, নাবিল আহসান, মুগ্ধ জামান, মৌলভীবাজার আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিমা বেগম ও তাবিয়া আক্তার সহ আরও কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।