ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জ শহরসহ ৭টি গ্রামের মানুষ জন শুন্য যৌথবাহিনী অভিযান ১৩ জন আটক Logo হবিগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই Logo নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষ নিহত ১ আহত কয়েক শতাধিক Logo জুলাই অভ্যুত্থানে নৃশংস হামলার আসামি ও দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি Logo ৪দিনের উত্তেজনার পর নবীগঞ্জে কয়েক হাজার মানুষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত কয়েক শতাধিক Logo নবীগঞ্জ দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত Logo এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১০ জুলাই Logo হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক নেতা সাকিব গ্রেপ্তার Logo শায়েস্তাগঞ্জ থানার সাবেক ওসি কামালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা: সাংবাদিকসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

হবিগঞ্জের সড়কে একদিনে ঝরল চার প্রাণ

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

হবিগঞ্জ জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। ঘটনাগুলো মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেলের।

হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ২ যুবক। আর মাধবপুরে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশা সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন। এছাড়া সদর উপজেলায় দূর্ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জেলায় একদিনে সড়কে ৪ জনের প্রাণহানীর খবরে শোকবইছে এলাকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে মারা যাওয়া যুবকরা হলেন, আব্দুল মজিদের ২২ বছরের ছেলে কাউছার মিয়া ও মজিবুর রহমানের ২০ বছরে আব্দুল কাদির।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, কাউছার ও কাদির মোটরসাইকেল চালিয়ে হবিগঞ্জ আসছিলেন। পুকড়া শাপলা ফিলিং স্টেশনের সামনে আসামাত্রই হবিগঞ্জ থেকে নবীগঞ্জগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে সড়কের পাশে ছিটকে পরে মাথা থেতলে যায় কাদিরের। আহত অবস্থায় কাউছারকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় সড়কেই মৃত্যু হয়।

রাত ৮টায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে কথা হয় কাউছারের বন্ধু সাইফুলের সঙ্গে। তিনি জানান, বিকেলে সাইফুল, কাউছার ও কাদির মোটরসাইকেল দিয়ে ইমামবাড়ি বাজার থেকে হবিগঞ্জ আসার জন্য রওয়ানা হন। সন্দলপুর আসার পর সাইফুলের বাবার ফোন দেয়ায় তিনি সেখান থেকে ইমামবাড়ি ফিরে জান।

তিনি বলেন, আমি ফিরে আসার আধা ঘন্টার পরই শুনি তারা দুইজন এক্সিডেন্ট করেছেন।

কাউছার বাবা আব্দুল মজিদ জানান, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে তার। মেয়ে সবার বড় আর কাউছার দ্বিতীয় ও ছোট ছেলে তানিম। তিনি কৃষি কাজ করেন। কাউছার অটোরিকশা চালাতেন। ছোট ছেলে কৃষি কাজে সহযোগীতা করে।

তানিম বলেন, আম্মা বারবার না করেছেন হবিগঞ্জ না আসতে। শেষে কান্না করে বলেছিলেন। আম্মাকে বলেছিল যাবে আর আসবে। ইমামবাড়ি বাজার থেকে আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকাও নিয়ে এসেছিল শীতের কাপর কিনতে। কিন্তু হবিগঞ্জ আসার আগেই আমার ভাই শেষ।

এদিকে, সকালে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ সৈঈদ উদ্দিন কলেজের সামনে ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন সিএনজি চালক সজল দাশ প্রাণ হারান। আর সড়ক দূর্ঘটনায় আগে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সেলিম মিয়া।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
৬৭ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জের সড়কে একদিনে ঝরল চার প্রাণ

আপডেট সময় ০১:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। ঘটনাগুলো মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেলের।

হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ২ যুবক। আর মাধবপুরে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশা সংঘর্ষে মারা গেছেন একজন। এছাড়া সদর উপজেলায় দূর্ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জেলায় একদিনে সড়কে ৪ জনের প্রাণহানীর খবরে শোকবইছে এলাকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ সড়কে মারা যাওয়া যুবকরা হলেন, আব্দুল মজিদের ২২ বছরের ছেলে কাউছার মিয়া ও মজিবুর রহমানের ২০ বছরে আব্দুল কাদির।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, কাউছার ও কাদির মোটরসাইকেল চালিয়ে হবিগঞ্জ আসছিলেন। পুকড়া শাপলা ফিলিং স্টেশনের সামনে আসামাত্রই হবিগঞ্জ থেকে নবীগঞ্জগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে সড়কের পাশে ছিটকে পরে মাথা থেতলে যায় কাদিরের। আহত অবস্থায় কাউছারকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় সড়কেই মৃত্যু হয়।

রাত ৮টায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে কথা হয় কাউছারের বন্ধু সাইফুলের সঙ্গে। তিনি জানান, বিকেলে সাইফুল, কাউছার ও কাদির মোটরসাইকেল দিয়ে ইমামবাড়ি বাজার থেকে হবিগঞ্জ আসার জন্য রওয়ানা হন। সন্দলপুর আসার পর সাইফুলের বাবার ফোন দেয়ায় তিনি সেখান থেকে ইমামবাড়ি ফিরে জান।

তিনি বলেন, আমি ফিরে আসার আধা ঘন্টার পরই শুনি তারা দুইজন এক্সিডেন্ট করেছেন।

কাউছার বাবা আব্দুল মজিদ জানান, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে তার। মেয়ে সবার বড় আর কাউছার দ্বিতীয় ও ছোট ছেলে তানিম। তিনি কৃষি কাজ করেন। কাউছার অটোরিকশা চালাতেন। ছোট ছেলে কৃষি কাজে সহযোগীতা করে।

তানিম বলেন, আম্মা বারবার না করেছেন হবিগঞ্জ না আসতে। শেষে কান্না করে বলেছিলেন। আম্মাকে বলেছিল যাবে আর আসবে। ইমামবাড়ি বাজার থেকে আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকাও নিয়ে এসেছিল শীতের কাপর কিনতে। কিন্তু হবিগঞ্জ আসার আগেই আমার ভাই শেষ।

এদিকে, সকালে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ সৈঈদ উদ্দিন কলেজের সামনে ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন সিএনজি চালক সজল দাশ প্রাণ হারান। আর সড়ক দূর্ঘটনায় আগে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সেলিম মিয়া।