ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি, বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১ জুলাই) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকে কর্মবিরতি নিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনগ্রেড প্রবর্তনের দাবীতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। কর্মবিরতির প্রথম দিন (সোমবার) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন শিক্ষকবৃন্দ। এসময় জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ ফাগুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ওশানোগ্রাফি এন্ড ব্লু ইকোনমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. অরুণ চন্দ্র বর্মন, ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড বায়োডাইভার্সিটি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক চয়নিকা পন্ডিত, জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত হোসেন নুসি, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এমেলি আক্তার, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের প্রভাষক মোহতাসিম বিল্লাহ সাজিদ।

শিক্ষকরা বলছেন, বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে মানব-বন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
১৬০ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি, বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা

আপডেট সময় ০৮:২৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১ জুলাই) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকে কর্মবিরতি নিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনগ্রেড প্রবর্তনের দাবীতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। কর্মবিরতির প্রথম দিন (সোমবার) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন শিক্ষকবৃন্দ। এসময় জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ ফাগুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ওশানোগ্রাফি এন্ড ব্লু ইকোনমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. অরুণ চন্দ্র বর্মন, ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড বায়োডাইভার্সিটি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক চয়নিকা পন্ডিত, জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত হোসেন নুসি, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এমেলি আক্তার, জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের প্রভাষক মোহতাসিম বিল্লাহ সাজিদ।

শিক্ষকরা বলছেন, বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে মানব-বন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।