ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

হবিগঞ্জ শহরে গুলিবর্ষণে মোস্তাক আহমেদ নিহতের ঘটনায় আবু জাহিরসহ আসামী ১১১

নিজস্ব প্রতিবেদক

হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক আহমেদকে গুলি করে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) বিকেলে শহরতলীর উমেদনগরের বাসিন্দা এস. এম মামুন মিয়া বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি ওই এলাকার হাজী লুৎফুর রহমান নানুর ছেলে।

মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, লাখাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, , হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, ১৩নং মন্দরী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবু জাহিরের ছেলে রিফাত জামিল,শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সুমন,

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শামীম, রিচি গ্রামের মহসিন মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ, নুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসহাক আলী সেবন, সদর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রনি আহমেদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী রাজ, বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান তুহিন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জাহির মিয়া, লস্করপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল জলিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফয়জুল বশির চৌধুরী সুজন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, লস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন,

ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদিল হোসেন জজ মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার নোয়াপাথারিয়া গ্রামের ডিপজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি সেবুল মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার রায়, হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়, সাবেক এমপি আবু জাহিরের ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ রায়, কোর্ট স্টেশন এলাকার মোস্তফা কামাল সংগ্রাম, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আশিক মিয়া, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ হারুন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আফিফ জাহান নাঈম, পৌর ছাত্রলীগ নেতা জিদান চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পংকজ সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুলতান মাহমুদ,

হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন কলি, শায়েস্তানগর এলাকার বাবুল মিয়া, কালীগাছতলা এলাকার শাহিন মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, শায়েস্তানগর এলাকার রাজু আলী সুমন, বড় বহুলার নাজমুল হুদা বাদশা, তেঘরিয়া গ্রামের আলী আশরাফ মামুন, বড় বহুলা গ্রামের এমদাদুর রহমান সোহেল, অনন্তপুর এলাকার মাহফুজ মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নিলাদ্রি শেখর পুরকায়স্থ টিটু, শায়েস্তানগর এলাকার সাইকুল মিয়া, বড় বহুলার আব্দুল আজিজ, জেলা তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জসিম, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও পুটিজুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মুদ্দত আলী, পশ্চিম এড়ালিয়ার কবির হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফজল উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ মোঃ আলমগীর সোহাগ, যুবলীগ নেতা শাহ আলম সিদ্দিকী, উমেদনগর এলাকার বাসিন্দা জেলা যুবলীগ নেতা আঃ হান্নান ও আলাই চৌধুরীসহ আরো অনেক।

এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২ আগষ্ট বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা শহরের তিন কোনা পুকুরপাড় এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর প্ররোচনা ও উস্কানিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠি সোটা ও অগ্নেয়াস্থ নিয়ে জড়ো হলে সংঘর্ষ বাধে। কয়েকঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা গুলি ছুড়লে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। এতে হবিগঞ্জ পিডিবি’র অস্থায়ী লাইনম্যান ও সিলেট জেলার টুকের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে মোশাহিদ মিয়া, মজিদ মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।

হবিগঞ্জ সদর মডল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম জানান, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মোঃ আবু জাহিরকে প্রধান আসামী করে মামলা হয়েছে। মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
৩১ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ শহরে গুলিবর্ষণে মোস্তাক আহমেদ নিহতের ঘটনায় আবু জাহিরসহ আসামী ১১১

আপডেট সময় ১২:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

হবিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক আহমেদকে গুলি করে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) বিকেলে শহরতলীর উমেদনগরের বাসিন্দা এস. এম মামুন মিয়া বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি ওই এলাকার হাজী লুৎফুর রহমান নানুর ছেলে।

মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, হবিগঞ্জ পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, লাখাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, , হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, ১৩নং মন্দরী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবু জাহিরের ছেলে রিফাত জামিল,শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সুমন,

হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শামীম, রিচি গ্রামের মহসিন মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ, নুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসহাক আলী সেবন, সদর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রনি আহমেদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী রাজ, বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান তুহিন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছালেক মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জাহির মিয়া, লস্করপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল জলিল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফয়জুল বশির চৌধুরী সুজন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, লস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন,

ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদিল হোসেন জজ মিয়া, বানিয়াচং উপজেলার নোয়াপাথারিয়া গ্রামের ডিপজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি সেবুল মিয়া, হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার রায়, হবিগঞ্জ মটর মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়, সাবেক এমপি আবু জাহিরের ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ রায়, কোর্ট স্টেশন এলাকার মোস্তফা কামাল সংগ্রাম, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আশিক মিয়া, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ হারুন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান আরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আফিফ জাহান নাঈম, পৌর ছাত্রলীগ নেতা জিদান চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা পংকজ সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুলতান মাহমুদ,

হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন কলি, শায়েস্তানগর এলাকার বাবুল মিয়া, কালীগাছতলা এলাকার শাহিন মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, শায়েস্তানগর এলাকার রাজু আলী সুমন, বড় বহুলার নাজমুল হুদা বাদশা, তেঘরিয়া গ্রামের আলী আশরাফ মামুন, বড় বহুলা গ্রামের এমদাদুর রহমান সোহেল, অনন্তপুর এলাকার মাহফুজ মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নিলাদ্রি শেখর পুরকায়স্থ টিটু, শায়েস্তানগর এলাকার সাইকুল মিয়া, বড় বহুলার আব্দুল আজিজ, জেলা তাতীলীগের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জসিম, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও পুটিজুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মুদ্দত আলী, পশ্চিম এড়ালিয়ার কবির হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফজল উদ্দিন তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ মোঃ আলমগীর সোহাগ, যুবলীগ নেতা শাহ আলম সিদ্দিকী, উমেদনগর এলাকার বাসিন্দা জেলা যুবলীগ নেতা আঃ হান্নান ও আলাই চৌধুরীসহ আরো অনেক।

এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২ আগষ্ট বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা শহরের তিন কোনা পুকুরপাড় এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর প্ররোচনা ও উস্কানিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠি সোটা ও অগ্নেয়াস্থ নিয়ে জড়ো হলে সংঘর্ষ বাধে। কয়েকঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা গুলি ছুড়লে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। এতে হবিগঞ্জ পিডিবি’র অস্থায়ী লাইনম্যান ও সিলেট জেলার টুকের বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে মোশাহিদ মিয়া, মজিদ মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।

হবিগঞ্জ সদর মডল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম জানান, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি মোঃ আবু জাহিরকে প্রধান আসামী করে মামলা হয়েছে। মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।