ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩০ দফা দাবীতে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল শায়েগঞ্জে অলিপুরে আরএফএল কোম্পানি

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন নি¤œ ১২ হাজার টাকা, বার মাস নাইট বোনাস, প্রত্যেক শ্রমিক কে প্রোডাকশন বোনাস, কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক আহত হলে ১০০% উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করণ, এবং যদি কোন শ্রমিক মারা যায়, সেই শ্রমিকের পরিবারকে সহায়তা নিশ্চিত, একজন শ্রমিকের কাজের দক্ষতার ওপর- পদায়ন, একজন শ্রমিকের অভার টাইম হার শতকরা ৬৭% নিশ্চিত করতে হবে এবং ওভার টাইম হার সীমাবদ্ধ থাকতে পারবেনা, প্রতি বছরের ছুটির ঢাকা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং পুরাতন শ্রমিকের বেতন বেশি হলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে দেয়া যাবে না, নতুন শ্রমিকের প্রতি কাজের চাপ বেশি প্রয়োগ করা যাবে না, খাবারের মান উন্নত করতে হবে, বাৎসরিক ছুটি ৪২ থেকে বৃদ্ধি করতে হবে, ১০০% শ্রমিক সংগঠন করতে হবে শ্রমিকদের মধ্য থেকে, পিসমিল বন্ধ করতে হবে, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতন বৃদ্ধি ও আন্দোলন এর সাথে জড়িত কোন শ্রমিক কে চাকরি থেকে বিতারিত করা যাবে না, শ্রমিকের যাতায়াতে সুবিধার্থে পুনরায় বাস সার্ভিস চালু, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, চাকরি স্থায়ীকরণ ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ ৩০ দফা দাবিতে শায়েগঞ্জের অলিপুর আরএফএল কোম্পানিতে বিক্ষোভ করেছে কোম্পানির শ্রমিকরা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কর্মবিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে আরএফএল কোম্পানির কয়েক হাজার শ্রমিক। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনীর মেজর মো: শাহিন আলমের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল কোম্পানিতে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে ওলিপুর আরএফএল কোম্পানীর এমডি রিতেনদ্রনাথ পাল শ্রমিকদের দাবী মেনে নিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।

শ্রমিকরা জানান, প্রায় অনুমান ১০হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা নানাভাবে হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি শ্রমিকদের ন্যুনতম পারিশ্রমিক দেয়া হয় না। প্রাপ্ত ছুটি ও খাবারের মান নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে শ্রমিকদের। এসব সমস্যা সমাধানে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। শ্রমিকদের ৫ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আরও ২৫ দফা দাবি যুক্ত করেন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তারা।

পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, কোম্পানি কতৃপক্ষ তাদের ৩০ দাফা দাবী মেনে নিয়েছেন এজন্য তারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেন। শ্রমিকরা আরও জানায় যদি তাদের দাবী কার্যকর না হয় তাহলে তাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৯ বার পড়া হয়েছে

৩০ দফা দাবীতে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল শায়েগঞ্জে অলিপুরে আরএফএল কোম্পানি

আপডেট সময় ০৩:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন নি¤œ ১২ হাজার টাকা, বার মাস নাইট বোনাস, প্রত্যেক শ্রমিক কে প্রোডাকশন বোনাস, কর্মরত অবস্থায় কোন শ্রমিক আহত হলে ১০০% উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করণ, এবং যদি কোন শ্রমিক মারা যায়, সেই শ্রমিকের পরিবারকে সহায়তা নিশ্চিত, একজন শ্রমিকের কাজের দক্ষতার ওপর- পদায়ন, একজন শ্রমিকের অভার টাইম হার শতকরা ৬৭% নিশ্চিত করতে হবে এবং ওভার টাইম হার সীমাবদ্ধ থাকতে পারবেনা, প্রতি বছরের ছুটির ঢাকা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং পুরাতন শ্রমিকের বেতন বেশি হলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে দেয়া যাবে না, নতুন শ্রমিকের প্রতি কাজের চাপ বেশি প্রয়োগ করা যাবে না, খাবারের মান উন্নত করতে হবে, বাৎসরিক ছুটি ৪২ থেকে বৃদ্ধি করতে হবে, ১০০% শ্রমিক সংগঠন করতে হবে শ্রমিকদের মধ্য থেকে, পিসমিল বন্ধ করতে হবে, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতন বৃদ্ধি ও আন্দোলন এর সাথে জড়িত কোন শ্রমিক কে চাকরি থেকে বিতারিত করা যাবে না, শ্রমিকের যাতায়াতে সুবিধার্থে পুনরায় বাস সার্ভিস চালু, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, চাকরি স্থায়ীকরণ ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধসহ ৩০ দফা দাবিতে শায়েগঞ্জের অলিপুর আরএফএল কোম্পানিতে বিক্ষোভ করেছে কোম্পানির শ্রমিকরা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কর্মবিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে আরএফএল কোম্পানির কয়েক হাজার শ্রমিক। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনীর মেজর মো: শাহিন আলমের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল কোম্পানিতে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে ওলিপুর আরএফএল কোম্পানীর এমডি রিতেনদ্রনাথ পাল শ্রমিকদের দাবী মেনে নিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।

শ্রমিকরা জানান, প্রায় অনুমান ১০হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা নানাভাবে হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি শ্রমিকদের ন্যুনতম পারিশ্রমিক দেয়া হয় না। প্রাপ্ত ছুটি ও খাবারের মান নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে শ্রমিকদের। এসব সমস্যা সমাধানে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। শ্রমিকদের ৫ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আরও ২৫ দফা দাবি যুক্ত করেন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তারা।

পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, কোম্পানি কতৃপক্ষ তাদের ৩০ দাফা দাবী মেনে নিয়েছেন এজন্য তারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেন। শ্রমিকরা আরও জানায় যদি তাদের দাবী কার্যকর না হয় তাহলে তাদের আন্দোলন আরও কঠোর হবে।