দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৮ দফা বাস্তাবায়নের দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে মানববন্ধন
সিলেট-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৮ দফা বাস্তাবায়নের দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে মানববন্ধন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহযোগীতায় এর আয়োজন করে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন শায়েস্তাগঞ্জ।
শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুন, শাহ মোঃ হুমায়ূন কবীর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহিদ আহমেদ সোহেল, সাংবাদিক হামিদুল হক বুলবুল, ইনজামামুল হক নাঈম, পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবু সুফিয়ান পারভেজ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামছুল আলম রিপনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেট-আখাউড়া রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করণ, সিলেট-আখাউড়া সেকশনে একটি লোকাল ট্রেন চালু,সিলেট-আখাউড়া সেকশনে সকল বন্ধ স্টেশন চালুকরণ, শায়েস্তাগঞ্জ, কুলাউড়া জংশনে আন্তঃনগর ট্রেনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, সিলেট-ঢাকাগামী কালনী ও পারাবত ট্রেনের আজমপুরের পর ঢাকা অভিমুখে সকল স্টেশনের যাত্রা বিরতী প্রত্যাহার, সিলেটের সাথে চলাচলকারী ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করা, যাত্রীদের চাহিদা অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা এবং শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ সংস্কার করে পুনরায় ট্রেন চালু করা।
বক্তারা বলেন- দাবিগুলো দ্রুত মেনে নিতে হবে। অন্যথায় সিলেট বিভাগের শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, শমসেরনগর, কুলাউড়া, মাইজগাঁও ও সিলেট রেল স্টেশনে একযোগে পুনরায় শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
অবরোধ কর্মসূচিতে বৃহত্তর সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়, সেগুলো হলো:
১. সিলেট-ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা।
২. আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ।
৩. আখাউড়া-সিলেট সেকশনে লোকাল ট্রেন চালু এবং শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেললাইন পুনরায় চালু করা।
৪. আখাউড়া-সিলেট সেকশনের সকল বন্ধ স্টেশন চালুকরণ।
৫. শায়েস্তাগঞ্জ জংশন স্টেশনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
৬. সিলেট-ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী ও পারাবত ট্রেনের আযমপুরের পর ঢাকা অভিমুখী সকল স্টেশনের যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার করা।
৭. সিলেটের সাথে চলাচলকারী ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করা।
৮. যাত্রীদের চাহিদা অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।












