৯৯ বছরে মাহাথির মোহাম্মদ, ৭ সন্তানের জনক তিনি
ডা: মাহাথির মোহাম্মদ। এক নামে তাকে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ চিনেন। কারণ তিনি আধুনিকা মালয়েশিয়ার জনক। আবার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার কারণে তার পরিচিতি ব্যাপক। অবশ্য প্রথম অবসর পরে আবার ক্ষমতায় বসে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে সম্মান হারান।
গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) ৯৯ বছর বয়স পূর্ণ করেন মাহাথির। সাথে জম্ম দিন উদযাপন করলেন আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রেসিডেন্ট তুন ডা: মাহাথির মোহাম্মদ।
জানা যায়, ১৯২৫ সালে রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৪৪৫ কিলোমিটার দূরে কেদাহ রাজ্যের আলোর সেতার নামক এলাকায় জম্মগ্রহণ করা মুসলিম বিশ্বের অবিসংবাদিত এ নেতা জম্মদিন পালন করার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অকপটে জানালেন তার ৯৯ বছর সুস্থ সবলভাবে বেঁচে থাকার গোপন রহস্য।
অবশ্য তার জীবনী বলে, মাহাথির একজন চিকিৎসক থেকে সরাসরি রাজনীতিতে আসেন। সাংসারিক জীবনে তার এক স্ত্রী সিতি হাসমাহসহ সাত সন্তান রয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং একটানা ২০০৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল পরপর পাঁচ বার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। অবসর গ্রহণের দীর্ঘ পনের বছর পর ৯২ বছর বয়সে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ব্যাপক দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার কারণে মাহাথির মোহাম্মদ আবারো আসেন রাজনীতিতে। ২০১৮ সালের ৯ মে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পরদিন ১০ মে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর ২০২২ নির্বাচনে হেরে যান।
দেশটির প্রায় সবকটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানাগেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যে মাহাথির মোহাম্মদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বন্যা বইছে। মূলত মাহাথিরের নেতৃত্বেই একটি অনুন্নত দেশ থেকে থেকে দ্রুত মালয়েশিয়া এশিয়ার ইউরোপ হিসেবে মর্যাদা লাভ করে।
দেশটির জাতির জনক টেংকু আবদুল্লাহ হলেও মাহাথিরকে বলা হয় আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক।
সাংবাদিকেরা মাহাথিরকে প্রশ্ন করেন আপনার ৯৯ বছর সুস্থ সবলভাবে বেঁচে থাকার গোপন রহস্য কি? উত্তরে তিনি বলেন, কোনো গোপন রহস্য নেই। কর্মজীবনে কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যায়াম করতে হবে। আর খাবারের শুধুমাত্র চর্বি, চিনি এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার বাদ দিয়ে সুশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।