ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজমিরীগঞ্জে পানি বন্দী মানুষের জীবন কাটছে কষ্টে

রামকৃষ্ণ তালুকদার আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

আজমিরীগঞ্জের বেশকিছু এলাকায় পানি বন্দী হয়ে পরেছে মানুষ । তলিয়ে গিয়েছে চলাচলের বেশ কিছু সড়ক। চলা চলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাফেরা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম।

উজানের ঢলের পানি এসে সুরমা কুশিয়ারা ও কালনী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে । পানির চাপে উপজেলার বদল পুর ইউনিয়নের কৈয়ার ঢালা নামক স্লুইস গেটের দু পাশের সড়ক ভেঙে গিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে পানি। এতে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু এলাকা ও সড়ক।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের নবী নগরে প্রায় শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরেছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। পানিতে ভাসছে কাকাইলছেও ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্প। ২৮ টি পরিবারের ১১৯ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী খাদ্য গুদামে।

শিবপাশা ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে পানি উঠে গিয়েছে। পানিতেই বসবাস করছে ৩৫ টি পরিবার । বদল পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর, চরহাটি, ও শ্রিদাম পাড়ায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানি বন্দী।

জলসূখা ইউনিয়নের মুহাম্মদপুরে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানি বন্দী। বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। উপজেলা এলজিইডির তথ্যমতে মোট ১৫০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৬৭ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুবোধ মন্ডল বলেন ইতিমধ্যে উপজেলার কাকাইলছেও বদলপুর ও শিবপাশা ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে পরবর্তীতে অন্যান্য এলাকায় বিতরণ করা হবে।

আমাদের ১১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে এবং পর্যাপ্ত খাদ্যশষ্য মজুদ রয়েছে এবং প্রতি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ আছে। তিনি আরও বলেন যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
৪৪ বার পড়া হয়েছে

আজমিরীগঞ্জে পানি বন্দী মানুষের জীবন কাটছে কষ্টে

আপডেট সময় ১০:৩৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

আজমিরীগঞ্জের বেশকিছু এলাকায় পানি বন্দী হয়ে পরেছে মানুষ । তলিয়ে গিয়েছে চলাচলের বেশ কিছু সড়ক। চলা চলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাফেরা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম।

উজানের ঢলের পানি এসে সুরমা কুশিয়ারা ও কালনী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে । পানির চাপে উপজেলার বদল পুর ইউনিয়নের কৈয়ার ঢালা নামক স্লুইস গেটের দু পাশের সড়ক ভেঙে গিয়ে হাওরে প্রবেশ করছে পানি। এতে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু এলাকা ও সড়ক।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের নবী নগরে প্রায় শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরেছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। পানিতে ভাসছে কাকাইলছেও ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্প। ২৮ টি পরিবারের ১১৯ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী খাদ্য গুদামে।

শিবপাশা ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে পানি উঠে গিয়েছে। পানিতেই বসবাস করছে ৩৫ টি পরিবার । বদল পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর, চরহাটি, ও শ্রিদাম পাড়ায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার পানি বন্দী।

জলসূখা ইউনিয়নের মুহাম্মদপুরে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানি বন্দী। বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। উপজেলা এলজিইডির তথ্যমতে মোট ১৫০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৬৭ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুবোধ মন্ডল বলেন ইতিমধ্যে উপজেলার কাকাইলছেও বদলপুর ও শিবপাশা ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে পরবর্তীতে অন্যান্য এলাকায় বিতরণ করা হবে।

আমাদের ১১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রয়েছে এবং পর্যাপ্ত খাদ্যশষ্য মজুদ রয়েছে এবং প্রতি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ আছে। তিনি আরও বলেন যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছি।