ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করার পায় তারা করছে ভরপূর্নী গ্রামের গোলাম কিবরিয়া Logo সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেরগুল, সম্পাদক মাসুম Logo বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের Logo গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১ Logo বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক Logo উপজেলার সভায় সিদ্ধান্ত শায়েস্তাগঞ্জে আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতের মাহফিল হবে নির্ধারিত তারিখে Logo শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের মায়ের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo আজমিরীগঞ্জ কাকাইলছেওয়ে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্টিত Logo রাখাইনে জান্তার সেনা সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি Logo গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এসএম আমীর হামজা নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর শুনানি শেষে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাকে আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান কামাল, পুলিশের অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার বাদী বলেন, নিহত সায়েমকে তার গ্রামের বাড়িতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই মামলার আবেদন করলেন।

মামলার অভিযোগে বাদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এটিই প্রথম মামলার আবেদন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:১০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
৩৫ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে নির্দেশ

আপডেট সময় ০৪:১০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এসএম আমীর হামজা নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর শুনানি শেষে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাকে আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান কামাল, পুলিশের অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার বাদী বলেন, নিহত সায়েমকে তার গ্রামের বাড়িতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই মামলার আবেদন করলেন।

মামলার অভিযোগে বাদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এটিই প্রথম মামলার আবেদন।