ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করার পায় তারা করছে ভরপূর্নী গ্রামের গোলাম কিবরিয়া Logo সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেরগুল, সম্পাদক মাসুম Logo বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের Logo গাজীপুরে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১ Logo বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক Logo উপজেলার সভায় সিদ্ধান্ত শায়েস্তাগঞ্জে আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতের মাহফিল হবে নির্ধারিত তারিখে Logo শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতনের মায়ের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত Logo আজমিরীগঞ্জ কাকাইলছেওয়ে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্টিত Logo রাখাইনে জান্তার সেনা সদর দপ্তর দখল করলো আরাকান আর্মি Logo গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের খসড়া তালিকা প্রকাশ

৬৫ সাবেক মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধানে আবেদন

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ৬৫ জন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। ১৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন নামে এক আইনজীবী।

এদিকে কমিশনে করা আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে কমিশন সেটি তার বিধি অনুযায়ী দেখবে, এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ। দুদক সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই কাজ করবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে প্রায় ৬৫ জনের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়। গত ৫ থেকে ১৫ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের সম্পদ বৃদ্ধির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন আবেদনে।

পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারও আয় বেড়েছে, কারও বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ বেড়েছে সম্পদ। কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত।

সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে নাম রয়েছে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এ ছাড়াও জুনাইদ আহমেদ পলক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ, চৌধুরী ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনুর নামও রয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন— বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এই আইনজীবী তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমন সম্পদবৃদ্ধির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধান শুরু না করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি চিঠির সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও যুক্ত করেছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
২৭ বার পড়া হয়েছে

৬৫ সাবেক মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধানে আবেদন

আপডেট সময় ১১:৪১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ৬৫ জন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। ১৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন নামে এক আইনজীবী।

এদিকে কমিশনে করা আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে কমিশন সেটি তার বিধি অনুযায়ী দেখবে, এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ। দুদক সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই কাজ করবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে প্রায় ৬৫ জনের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়। গত ৫ থেকে ১৫ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের সম্পদ বৃদ্ধির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন আবেদনে।

পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারও আয় বেড়েছে, কারও বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ বেড়েছে সম্পদ। কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত।

সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে নাম রয়েছে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এ ছাড়াও জুনাইদ আহমেদ পলক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ, চৌধুরী ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনুর নামও রয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন— বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এই আইনজীবী তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমন সম্পদবৃদ্ধির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধান শুরু না করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি চিঠির সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও যুক্ত করেছেন।