ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করল আউয়াল কমিশন

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

অবশেষে গুঞ্জনের সমাপ্তি টেনে পদত্যাগ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক রদবদল চলছে। পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে সব সেক্টরেই। রাষ্ট্রসংস্কারের চলমান প্রেক্ষাপটে কেউ স্বেচ্ছায়, আবার কেউ বাধ্য হয়ে পদত্যাগপত্রে সই করছেন।

এ থেকে বাদ যায়নি বিচারাঙ্গনসহ বড় বড় স্বায়ত্তশাসিত এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসি পুনর্গঠনের বিষয়টিও জোরেশোরে আলোচনা চলছিল গত কয়েকদিন। এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি পত্রিকায় একটি কলাম লিখে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। কলামে তিনি ‘অসাংবিধানিক উপায়ে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে’ বলে সমালোচনা করেন।

পাশাপাশি হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান সরকারের কোনো কোনো কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করেন সিইসি।

সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে আউয়াল কমিশন।

আর সরকারের সাড়া না পেয়েই সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল কলাম লিখে সরকার বা জনগণকে তাদের নিজেদের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করেছেন। সেখানে তিনি নিজেও দাবি করেন, আলোচনার জন্য কোনো লোক না পাওয়ায় তিনি পত্রিকায় কলামের মাধ্যমে বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

সিইসির এ কলাম নিয়ে বেশ তোলাপাড় শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে থেকে সংসদ ভাঙা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় সিইসি পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বুধবার ইসি সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্রজনতা। তারা বর্তমান কমিশনকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন। এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৯ বার পড়া হয়েছে

পদত্যাগ করল আউয়াল কমিশন

আপডেট সময় ০৪:০০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবশেষে গুঞ্জনের সমাপ্তি টেনে পদত্যাগ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক রদবদল চলছে। পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে সব সেক্টরেই। রাষ্ট্রসংস্কারের চলমান প্রেক্ষাপটে কেউ স্বেচ্ছায়, আবার কেউ বাধ্য হয়ে পদত্যাগপত্রে সই করছেন।

এ থেকে বাদ যায়নি বিচারাঙ্গনসহ বড় বড় স্বায়ত্তশাসিত এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসি পুনর্গঠনের বিষয়টিও জোরেশোরে আলোচনা চলছিল গত কয়েকদিন। এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি পত্রিকায় একটি কলাম লিখে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। কলামে তিনি ‘অসাংবিধানিক উপায়ে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে’ বলে সমালোচনা করেন।

পাশাপাশি হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান সরকারের কোনো কোনো কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করেন সিইসি।

সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান ও করণীয় জানতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেখা করার বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে আউয়াল কমিশন।

আর সরকারের সাড়া না পেয়েই সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল কলাম লিখে সরকার বা জনগণকে তাদের নিজেদের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করেছেন। সেখানে তিনি নিজেও দাবি করেন, আলোচনার জন্য কোনো লোক না পাওয়ায় তিনি পত্রিকায় কলামের মাধ্যমে বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

সিইসির এ কলাম নিয়ে বেশ তোলাপাড় শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে থেকে সংসদ ভাঙা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় সিইসি পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বুধবার ইসি সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ছাত্রজনতা। তারা বর্তমান কমিশনকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন। এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।