ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গাঘেরা চুনারুঘাটে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা, অভাব পরিকল্পনার Logo দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে হবিগঞ্জের নদ-নদী Logo শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ায় শিল্প এলাকার বেড়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা Logo নবীগঞ্জে টমটম-সিএনজি ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশত Logo পর্যটন শিল্পে সম্ভবনাময় উপজেলা চুনারুঘাট Logo বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিতে জানে, চক্রান্ত করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না- জি কে গউছ Logo মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক ২ Logo শায়েস্তাগঞ্জে মামলার জেরে দুই পরিবারকে সমাজচ্যুতের অভিযোগ Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবিগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হচ্ছেন গউছ Logo হবিগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ২ জন নিহত

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে জনগণের যত ভোগান্তি

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

শত বছরের উর্ধে পুরনো এই রেলওয়ে জংশন কাগজে-কলমে শায়েস্তাগঞ্জ আধুনিকায়ন রি- মডেলিং জংশনে বাস্তবে এখনো দেখা মিলেনি গভীর নলক‚পের পানির সেবা। প্রতিদিন শত শত ট্রেন যাত্রী সহ রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং অপেক্ষা মান যাত্রীরা।

জানা যায়, তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আমলে আসাম বেঙ্গল নির্মিত শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি রি-মডেলিং করার টেন্ডার হয়। ফলে ২০০৫ সালে ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি রি-মডেলিং স্টেশন সংস্কার হলেও বাস্তবে এখনো দুটি প্লাট ফর্মে নেই কোনো গভীর নলক‚প।

তবে গভীর নলক‚প জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, রি-মডেলিং স্টেশনে যাত্রীদের বিশ্রামগারে টয়লেট রুম রয়েছে কিন্তু সময় মত টয়লেট থাকে না পানি। টয়লেট থাকে দুর্গন্ধ।

এসব টয়লেট দুর্গন্ধের কারণে রেলওয়ে পার্কিং এরিয়া পাবলিক টয়লেট টাকা দিয়ে ব্যবহার করছে। জনপ্রতি প্রশ্রাব ৫ টাকা, গোসল বা টয়লেট করা ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। অনেক যাত্রীদের টাকা নেই কিন্তু তারা পড়ছে মহাবিপদে।

এই গভীর নলক‚প না থাকায় অনেক অসুস্থ যাত্রী ভোগান্তি হলেও কাহারো কাছে বলার নেই।
নাম প্রকাশ্যে হবিগঞ্জ শহর ও চুনারুঘাট শহরের কয়েকজন রেল যাত্রী এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি ট্রেন যাত্রীদের সেবামূলক রেল স্টেশন ও যাত্রী ট্রেনগুলো দায়িত্ব রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।

এক সময় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন স্টেশনগুলোতে যাত্রীরা অনেক সুযোগ সুবিধা সেবা পেয়ে যেত কিন্তু বর্তমানে বাস্তবে এখন নেই। রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অবহেলায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে রি-মডেলিং জংশন যাত্রীরা পানি সেবা পাচ্ছে না।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) বিভাগের কর্মকর্তা এবং উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) বিভাগের কর্মকর্তারা যাত্রীদের সর্বদিক সেবা দেওয়ার দায়িত্ব থাকলেও তারা শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে বরাদ্দকৃত বাসা ও অফিস ফেলে দিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে অবস্থান করছেন এবং তাদের নি¤œ শ্রেণির কর্মচারীদের দিয়ে রেলওয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম করে। মাস আসলেই বেতনের টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

স্টেশন মাস্টার পলাশ দাশ বলেন, আমি নতুন আসছি কিন্তু রেলওয়ে দুটি গভীর নলক‚প হলে খুবই ভালো হয়। অনেক ট্রেন যাত্রী এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে। এ বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে পারি না।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) বিভাগের কর্মকর্তা ও রেলওয়ে পানির পাম্প চালক দেখার বিষয়। আমার উর্ধতন স্যার রয়েছে কিন্তু আপনারা জিজ্ঞেস করুন। আমি এ বিষয়ে কথা বলার কোনো অনুমতি নেই। তবে আমি চেষ্টা করবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
১৩৯ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে জনগণের যত ভোগান্তি

আপডেট সময় ১১:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শত বছরের উর্ধে পুরনো এই রেলওয়ে জংশন কাগজে-কলমে শায়েস্তাগঞ্জ আধুনিকায়ন রি- মডেলিং জংশনে বাস্তবে এখনো দেখা মিলেনি গভীর নলক‚পের পানির সেবা। প্রতিদিন শত শত ট্রেন যাত্রী সহ রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এবং অপেক্ষা মান যাত্রীরা।

জানা যায়, তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আমলে আসাম বেঙ্গল নির্মিত শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি রি-মডেলিং করার টেন্ডার হয়। ফলে ২০০৫ সালে ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনটি রি-মডেলিং স্টেশন সংস্কার হলেও বাস্তবে এখনো দুটি প্লাট ফর্মে নেই কোনো গভীর নলক‚প।

তবে গভীর নলক‚প জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, রি-মডেলিং স্টেশনে যাত্রীদের বিশ্রামগারে টয়লেট রুম রয়েছে কিন্তু সময় মত টয়লেট থাকে না পানি। টয়লেট থাকে দুর্গন্ধ।

এসব টয়লেট দুর্গন্ধের কারণে রেলওয়ে পার্কিং এরিয়া পাবলিক টয়লেট টাকা দিয়ে ব্যবহার করছে। জনপ্রতি প্রশ্রাব ৫ টাকা, গোসল বা টয়লেট করা ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। অনেক যাত্রীদের টাকা নেই কিন্তু তারা পড়ছে মহাবিপদে।

এই গভীর নলক‚প না থাকায় অনেক অসুস্থ যাত্রী ভোগান্তি হলেও কাহারো কাছে বলার নেই।
নাম প্রকাশ্যে হবিগঞ্জ শহর ও চুনারুঘাট শহরের কয়েকজন রেল যাত্রী এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি ট্রেন যাত্রীদের সেবামূলক রেল স্টেশন ও যাত্রী ট্রেনগুলো দায়িত্ব রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।

এক সময় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন স্টেশনগুলোতে যাত্রীরা অনেক সুযোগ সুবিধা সেবা পেয়ে যেত কিন্তু বর্তমানে বাস্তবে এখন নেই। রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অবহেলায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে রি-মডেলিং জংশন যাত্রীরা পানি সেবা পাচ্ছে না।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) বিভাগের কর্মকর্তা এবং উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) বিভাগের কর্মকর্তারা যাত্রীদের সর্বদিক সেবা দেওয়ার দায়িত্ব থাকলেও তারা শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে বরাদ্দকৃত বাসা ও অফিস ফেলে দিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে অবস্থান করছেন এবং তাদের নি¤œ শ্রেণির কর্মচারীদের দিয়ে রেলওয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম করে। মাস আসলেই বেতনের টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

স্টেশন মাস্টার পলাশ দাশ বলেন, আমি নতুন আসছি কিন্তু রেলওয়ে দুটি গভীর নলক‚প হলে খুবই ভালো হয়। অনেক ট্রেন যাত্রী এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে। এ বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে পারি না।

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পূর্ত) বিভাগের কর্মকর্তা ও রেলওয়ে পানির পাম্প চালক দেখার বিষয়। আমার উর্ধতন স্যার রয়েছে কিন্তু আপনারা জিজ্ঞেস করুন। আমি এ বিষয়ে কথা বলার কোনো অনুমতি নেই। তবে আমি চেষ্টা করবো।