ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরবে ট্রাক-সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

Oplus_131072

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রাক ও সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক পাক্কার মাথা করবস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিবস্বা মিয়ার বাড়ির স্বপন মিয়ার ছেলে সুফল মিয়া (১৫) ও গাছতলা ঘাট এলাকার কাজি বাড়ির আতাউল্লাহ মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্না (১৫)। এদিকে গুরুতর আহত বর্ন (১৫) ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার আরাফাত (বড়) মিয়ার ছেলে। তারা তিনজনই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জনান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী একটি ট্রাক পাক্কার মাথা করবস্থান এলাকায় পৌঁছা মাত্র পিছন দিক দিয়ে একটি সিএনজি ওভারটেক করে যাওয়ার সময় অপর প্রান্ত থেকে আসা মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মোটর সাইকেলটি সিএনজির সাথে ধাক্কা লাগার পর ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে একজন মৃত্যুবরণ করে।

দুইজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মুন্নাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সে পথিমধ্যে মৃত্যু বরণ করেন। আহত বর্ণ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় জড়িত ট্রাক ও সিএনজি দুইটিই পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহত সুফলে কাকা শাকিব বলেন, আমার বাতিজা স্থানীয় একটি ক্যাডেট একাডেমি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখা পড়া করতো। সেই সাথে তার বাবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও সময় দিতেন৷ পরিবারকে না বলে সহপাঠীদের সাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়েছিল। এখন তার লাশ দেখতে হলো। সুফল পরিবারের বড় ছেলে ছিল। মা-বাবা অনেক স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে।

এ বিষয়ে নিহত মুন্নার ভাই বিজয় বলেন, দুপুরে বাড়ি থেকে খেয়ে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে বের হয়েছে। আমরা জানতাম না সে তার বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছে। আমাদের ভাইদের মোটরসাইকেল আছে কিন্তু আমরা তাকে মোটরসাইকেল চালাতে দেয় না। আমার ছোট ভাইয়ের এখন লেখা পড়ার সময় ছিল। সে কমলপুর হাজী জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে লেখা পড়া করতো।

বিষয়ে হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাঝু মিঞা বলেন, নিহতের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে রয়েছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কোন ট্রাক ও সিএনজি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল তা শনাক্ত করা যায়নি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫ বার পড়া হয়েছে

ভৈরবে ট্রাক-সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রাক ও সিএনজির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক পাক্কার মাথা করবস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিবস্বা মিয়ার বাড়ির স্বপন মিয়ার ছেলে সুফল মিয়া (১৫) ও গাছতলা ঘাট এলাকার কাজি বাড়ির আতাউল্লাহ মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্না (১৫)। এদিকে গুরুতর আহত বর্ন (১৫) ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার আরাফাত (বড়) মিয়ার ছেলে। তারা তিনজনই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জনান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী একটি ট্রাক পাক্কার মাথা করবস্থান এলাকায় পৌঁছা মাত্র পিছন দিক দিয়ে একটি সিএনজি ওভারটেক করে যাওয়ার সময় অপর প্রান্ত থেকে আসা মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মোটর সাইকেলটি সিএনজির সাথে ধাক্কা লাগার পর ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে একজন মৃত্যুবরণ করে।

দুইজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মুন্নাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সে পথিমধ্যে মৃত্যু বরণ করেন। আহত বর্ণ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় জড়িত ট্রাক ও সিএনজি দুইটিই পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহত সুফলে কাকা শাকিব বলেন, আমার বাতিজা স্থানীয় একটি ক্যাডেট একাডেমি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখা পড়া করতো। সেই সাথে তার বাবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও সময় দিতেন৷ পরিবারকে না বলে সহপাঠীদের সাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়েছিল। এখন তার লাশ দেখতে হলো। সুফল পরিবারের বড় ছেলে ছিল। মা-বাবা অনেক স্বপ্ন ছিল ছেলেকে নিয়ে।

এ বিষয়ে নিহত মুন্নার ভাই বিজয় বলেন, দুপুরে বাড়ি থেকে খেয়ে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে বের হয়েছে। আমরা জানতাম না সে তার বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছে। আমাদের ভাইদের মোটরসাইকেল আছে কিন্তু আমরা তাকে মোটরসাইকেল চালাতে দেয় না। আমার ছোট ভাইয়ের এখন লেখা পড়ার সময় ছিল। সে কমলপুর হাজী জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে লেখা পড়া করতো।

বিষয়ে হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাঝু মিঞা বলেন, নিহতের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে রয়েছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কোন ট্রাক ও সিএনজি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল তা শনাক্ত করা যায়নি।