ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেগম খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা থাকলেও তা এখন স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ বিকাল ৫টার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার, কিন্তু তা স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ জ্বর হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন তিনি।

৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

এ ছাড়া গত ২৫ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বাসানো হয়।

২০২১ সালের নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা। তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার প্রতিবারই তা উপেক্ষা করেছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।

এমন অবস্থায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়া স্থায়ী মুক্তি পান। এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকে ওই সুসংবাদ পান তিনি। তখন এক মাস ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ আগস্ট বাসায় ফেরেন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তার চিকিৎসা বাসায় চলছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতেও চেষ্টা চলছে। তবে উড়োজাহাজে ভ্রমণের মতো অবস্থা না থাকায় এখনই তাকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
২১ বার পড়া হয়েছে

বেগম খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৬:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা থাকলেও তা এখন স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আজ বিকাল ৫টার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার, কিন্তু তা স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ জ্বর হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন তিনি।

৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।

এ ছাড়া গত ২৫ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বাসানো হয়।

২০২১ সালের নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা। তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার প্রতিবারই তা উপেক্ষা করেছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।

এমন অবস্থায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়া স্থায়ী মুক্তি পান। এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকে ওই সুসংবাদ পান তিনি। তখন এক মাস ১২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ আগস্ট বাসায় ফেরেন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তার চিকিৎসা বাসায় চলছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতেও চেষ্টা চলছে। তবে উড়োজাহাজে ভ্রমণের মতো অবস্থা না থাকায় এখনই তাকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।