ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে রেলপথ অবরোধ Logo প্রবাসে ব্যবসার টাকা নিয়ে প্রতারণা শায়েস্তাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের Logo নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ইসির নতুন নীতিমালা Logo নির্বাচনের আগে গণভোট অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক: মির্জা ফখরুল Logo হবিগঞ্জ-১: বিএনপিতে প্রার্থী জট, মনোনয়ন দৌড়ে প্রবাসীরাও Logo ৫২৩ বছরের ঐতিহ্য শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর জামে মসজিদ Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো ও হত্যা মামলা খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্যাটকো মামলা : গ্যাটকো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিন জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ৯ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। জীবিত আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী মরহুম কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।

হত্যা মামলা : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ২০১৫ সালে সারা দেশে ৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

সেই সঙ্গে আদালত তাদের অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন।

বাকি তিনজন হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।

গুলশান থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীন মোল্লা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩৪ (সাধারণ অভিপ্রায়) ও ১০৯ ধারায় (সহায়তা) আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

আওয়ামীপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

ওই মামলার শুনানি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হোসেন গুলশান থানা পুলিশকে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এজাহারে সিদ্দিকী দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এবং বাকি আসামিরা ঘটনাগুলোতে উসকানি দিয়েছেন।’

সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীরা যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ৪২ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
১৮১ বার পড়া হয়েছে

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো ও হত্যা মামলা খারিজ

আপডেট সময় ০৮:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

গ্যাটকো মামলা : গ্যাটকো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিন জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ৯ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। জীবিত আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী মরহুম কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।

হত্যা মামলা : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ২০১৫ সালে সারা দেশে ৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

সেই সঙ্গে আদালত তাদের অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন।

বাকি তিনজন হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।

গুলশান থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীন মোল্লা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩৪ (সাধারণ অভিপ্রায়) ও ১০৯ ধারায় (সহায়তা) আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

আওয়ামীপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

ওই মামলার শুনানি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হোসেন গুলশান থানা পুলিশকে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এজাহারে সিদ্দিকী দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এবং বাকি আসামিরা ঘটনাগুলোতে উসকানি দিয়েছেন।’

সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীরা যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ৪২ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।