অনেক বছর পর মনে হচ্ছে সত্যিই আমরা স্বাধীন: মনির খান
নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর অধিকাংশ দেশবাসী এ সময়টাকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলেও অভিহিত করছে।
ঐতিহাসিক এই দিনটি প্রতিবছরই নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়। এবারও তাই হচ্ছে। এরইমধ্যে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার কনসার্টটি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টটির। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্য রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এ কনসার্টে লাল-সবুজের বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।
এদিন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কনসার্টে অন্যান্যদের মতো পরিবেশনা করবেন কোটি বাঙালির হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়া, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী সংগীতশিল্পী মনির খান। সংসদ ভবন এলাকায় এই পরিবেশনার মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছর পর খোলা আকাশের নিচে সব শ্রেণিপেশার দর্শকে-শ্রোতাদের গান শোনানোর সুযোগ পেয়েছেন এ শিল্পী।
মনির খান বলেন, আজ থেকে প্রায় ১৫/১৬ বছর আগের কথা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি অঘোষিত কালো তালিকায় ছিলাম। বলতে পারেন, বিএনপির মতাদর্শ সাংস্কৃতিক তারকারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে তাদের কাজের সুযোগ ছিল না। আমারও কোনো সুযোগ ছিল না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে নানাভাবে আমার কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বলেন, আজ সংসদ ভবন এলাকায় খোলা আকাশের নিচে দর্শক-শ্রোতাদের জন্য মন খুলে গাইতে পারব। এটা একজন শিল্পীর জন্য যে কত বড় পাওয়া, তা হয়তো আমি ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। তবে আমি আজ সত্যিই অনেক আনন্দিত। দীর্ঘদিন পর দেশর কোনো বিজয় দিবসের কনসার্টে গাইতে পারছি। অনেক বছর পর মনে হচ্ছে সত্যিই আজ আমরা স্বাধীন। আজ শিল্পীরা তাদের মন খুল গান গাইতে পারছে।