ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

‘দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন’

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে পুরো জাতি অস্থিরতার মধ্যে আছে। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন। আর একটি রাজনৈতিক দলকে বলব, এমন কিছু বলবেন না যাতে দেশ আবারও অস্থির হয়ে উঠে।

বৃহস্পতিবার (২০ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় লাকসাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কারের কথা বলে অনেকে নির্বাচন পেছানোর কথা বলছেন। সংস্কার সাধারণ জনগণের কয়জন বোঝে? দুবেলা ভাত, মাথার গোজার ঠাঁই, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শান্তি চায় মানুষ। জনগণের কাছে এই মৌলিক অধিকারগুলোই হচ্ছে সংস্কার।

মির্জা ফখরুল বলেন, দয়া করে দেশকে আর অস্থিতিশীল করবেন না, নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন না। সম্প্রতি ফেসবুকে ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে বিদেশে বসেই কেউ কেউ সব সংগ্রাম করেছে। আমরা যেন কিছুই করিনি। বিদেশে বসে অনেক কিছুই লেখা যায়, বলা যায়। দেশকে আবার অস্থির করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা চাই এই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কেননা ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে এই সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একটি ফ্যাসিবাদ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রজনতার সমন্বয়ে ফ্যাসিবাদকে আমরা বিদায় করেছি। এখন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এ সরকারকে সমর্থন না দিলে কাজ করতে পারবে না। তাই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।

লাকসামে হিরু-হমায়ন গুম প্রসঙ্গে তিনি বলেন সাইফুল ইসলাম হিরুর ছেলে রাফসান ইসলাম ও হুমায়ন ফারভেজের ছেলে শাহরিয়ার কবির রাতুলসহ তাদের পরিবার এখনো তাদের অপেক্ষায় চোখের পানি ফেলছেন। হিরু-হুমায়ন গুমের সময় তারা তখন ছোট শিশু ছিলো। তাদের মায়ের সাথে যখন এই ছোট শিশুরা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে যায় তখন তাদের কথা শুনে আমার চোখের পানি ঝরেছে। তারা এখনো মনে করে তাদের পিতা ফিরে আসবে তাদের মাথায় হাত বোলাবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন ৭১ কে কটাক্ষ করে কেউ কথা বলবেন না।

বেলা ৩টা বিশ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব সভামঞ্চে উপস্থিত হলে জনাকীর্ণ লাকসাম স্টেডিয়াম মাঠে লাখো জনতা হাত নেড়ে মহাসচিবকে অভিবাদন জানান। দুপুর বারোটার পর সমাবেশস্থল বিএনপি নেতা-কর্মীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে পাশ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলা থেকে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। সমাবেশস্থলের বাহিরে সড়ক, বিভিন্ন ভবনের বারান্দা ও ছাদে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ বক্তব্য শোনেন।

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনবার্সন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, বিএনপি কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম -আহবায়ক এম কফিল উদ্দিন, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম। অন্যাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহ সুলতান খোকন, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান বাদল, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইলিয়াছ পাটোয়ারী, লাকসাম পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাশেম মানু, লাকসাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডা. নুর উল্ল্যা রায়হান, লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজির আহমেদ, বিএনপি নেতা ফজলে রহমান চৌধুরী আয়াজ, গুম পরিবারের সন্তান শাহরিয়ার কবির রাতুল, রাফসানুল ইসলাম।

যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলন, বিএপি নেতা শাহআলম, মনির আহমেদ, মোশাররফ হোসেন মুশু।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৪ বার পড়া হয়েছে

‘দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন’

আপডেট সময় ০৯:৫৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে পুরো জাতি অস্থিরতার মধ্যে আছে। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন। আর একটি রাজনৈতিক দলকে বলব, এমন কিছু বলবেন না যাতে দেশ আবারও অস্থির হয়ে উঠে।

বৃহস্পতিবার (২০ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় লাকসাম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কারের কথা বলে অনেকে নির্বাচন পেছানোর কথা বলছেন। সংস্কার সাধারণ জনগণের কয়জন বোঝে? দুবেলা ভাত, মাথার গোজার ঠাঁই, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শান্তি চায় মানুষ। জনগণের কাছে এই মৌলিক অধিকারগুলোই হচ্ছে সংস্কার।

মির্জা ফখরুল বলেন, দয়া করে দেশকে আর অস্থিতিশীল করবেন না, নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন না। সম্প্রতি ফেসবুকে ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে বিদেশে বসেই কেউ কেউ সব সংগ্রাম করেছে। আমরা যেন কিছুই করিনি। বিদেশে বসে অনেক কিছুই লেখা যায়, বলা যায়। দেশকে আবার অস্থির করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা চাই এই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কেননা ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে এই সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একটি ফ্যাসিবাদ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রজনতার সমন্বয়ে ফ্যাসিবাদকে আমরা বিদায় করেছি। এখন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এ সরকারকে সমর্থন না দিলে কাজ করতে পারবে না। তাই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।

লাকসামে হিরু-হমায়ন গুম প্রসঙ্গে তিনি বলেন সাইফুল ইসলাম হিরুর ছেলে রাফসান ইসলাম ও হুমায়ন ফারভেজের ছেলে শাহরিয়ার কবির রাতুলসহ তাদের পরিবার এখনো তাদের অপেক্ষায় চোখের পানি ফেলছেন। হিরু-হুমায়ন গুমের সময় তারা তখন ছোট শিশু ছিলো। তাদের মায়ের সাথে যখন এই ছোট শিশুরা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে যায় তখন তাদের কথা শুনে আমার চোখের পানি ঝরেছে। তারা এখনো মনে করে তাদের পিতা ফিরে আসবে তাদের মাথায় হাত বোলাবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন ৭১ কে কটাক্ষ করে কেউ কথা বলবেন না।

বেলা ৩টা বিশ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব সভামঞ্চে উপস্থিত হলে জনাকীর্ণ লাকসাম স্টেডিয়াম মাঠে লাখো জনতা হাত নেড়ে মহাসচিবকে অভিবাদন জানান। দুপুর বারোটার পর সমাবেশস্থল বিএনপি নেতা-কর্মীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে পাশ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলা থেকে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। সমাবেশস্থলের বাহিরে সড়ক, বিভিন্ন ভবনের বারান্দা ও ছাদে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ বক্তব্য শোনেন।

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনবার্সন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, বিএনপি কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম -আহবায়ক এম কফিল উদ্দিন, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম। অন্যাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহ সুলতান খোকন, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান বাদল, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইলিয়াছ পাটোয়ারী, লাকসাম পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক আবুল হাশেম মানু, লাকসাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডা. নুর উল্ল্যা রায়হান, লাকসাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজির আহমেদ, বিএনপি নেতা ফজলে রহমান চৌধুরী আয়াজ, গুম পরিবারের সন্তান শাহরিয়ার কবির রাতুল, রাফসানুল ইসলাম।

যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলন, বিএপি নেতা শাহআলম, মনির আহমেদ, মোশাররফ হোসেন মুশু।