ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিদায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গণতন্ত্রের নেত্রী “খালেদা জিয়া” Logo তারেক রহমানের অপেক্ষায় দেশবাসী Logo হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী Logo শায়েস্তাগঞ্জে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির হিড়িক, জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র Logo হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ Logo হাদিকে গুলি: হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি Logo শায়েস্তাগঞ্জ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo চুনারুঘাট উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাক-চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত Logo হবিগঞ্জ বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত

আত্মগোপনে ব্যারিস্টার সুমন

শায়েস্তাগঞ্জের বাণী ডেস্ক ,

চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন। মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে তাদের। আওয়ামী লীগ সরকারের আচমকা পতনের পর নেতাকর্মীরা মনোবল হারিয়ে অনেকটা নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নগণ্যসংখ্যক কর্মীদের বাজার-হাটে দেখা গেলেও নেতারা কেউই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই চুনারুঘাট আওয়ামী লীগে ভাঙন দেখা দেয়। এ সুযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যরিস্টার সুমন) বিপুল ভোটে নৌকার প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন। নির্বাচনের পর ব্যরিস্টার সুমন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে জাহির করার চেষ্টা চালান এবং পছন্দমতো ছাত্রলীগ কমিটি গঠনে মনোনিবেশ করেন। ৫ই আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরপরই দাপুটে নেতারা আত্মগোপন করেন। ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ আঁচ করতে পেরে ব্যরিস্টার সুমন এলাকা ছেড়ে চলে যান এবং নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। তিনি দেশের ভেতরে কোথাও লুকিয়ে আছেন নাকি আমেরিকা তার পরিবারের কাছে চলে গেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, ব্যরিস্টার সুমন বর্তমানে আমেরিকা আছেন যদিও এ তথ্যের কোনো নির্ভরযোগ্যতা নেই। এদিকে চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, সাবেক সম্পাদক আবু তাহের, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্করসহ দলের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

আত্মগোপনে রয়েছেন চুনারুঘাট পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা, পাইকপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী, রাণীগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, মিরাশি ইউপি চেয়ারম্যান মানিক সরকারসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। গত ৫ই আগস্ট দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই চুনারুঘাট পৌর শহরকে দখলে নেয় ছাত্ররা। এ সুযোগে পৌর শহরে অবস্থিত ‘মুক্তিযোদ্ধা চত্বর’র নামফলক পাল্টে ‘মেয়র মোহাম্মদ আলী চত্বর’ ব্যানার টানিয়ে দেয় একটি পক্ষ। এদিন রাতে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির বাস ও তার বাসায় আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় দুর্বৃত্তরা। তবে উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের অদূরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আক্রমণ করে একদল বিক্ষোভকারী। দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর চুনারুঘাটে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:১৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
১৩১ বার পড়া হয়েছে

আত্মগোপনে ব্যারিস্টার সুমন

আপডেট সময় ০৭:১৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন। মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে তাদের। আওয়ামী লীগ সরকারের আচমকা পতনের পর নেতাকর্মীরা মনোবল হারিয়ে অনেকটা নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নগণ্যসংখ্যক কর্মীদের বাজার-হাটে দেখা গেলেও নেতারা কেউই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই চুনারুঘাট আওয়ামী লীগে ভাঙন দেখা দেয়। এ সুযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যরিস্টার সুমন) বিপুল ভোটে নৌকার প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করেন। নির্বাচনের পর ব্যরিস্টার সুমন নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসাবে জাহির করার চেষ্টা চালান এবং পছন্দমতো ছাত্রলীগ কমিটি গঠনে মনোনিবেশ করেন। ৫ই আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরপরই দাপুটে নেতারা আত্মগোপন করেন। ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ আঁচ করতে পেরে ব্যরিস্টার সুমন এলাকা ছেড়ে চলে যান এবং নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। তিনি দেশের ভেতরে কোথাও লুকিয়ে আছেন নাকি আমেরিকা তার পরিবারের কাছে চলে গেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, ব্যরিস্টার সুমন বর্তমানে আমেরিকা আছেন যদিও এ তথ্যের কোনো নির্ভরযোগ্যতা নেই। এদিকে চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, সাবেক সম্পাদক আবু তাহের, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্করসহ দলের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।

আত্মগোপনে রয়েছেন চুনারুঘাট পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা, পাইকপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদ আলী, রাণীগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, মিরাশি ইউপি চেয়ারম্যান মানিক সরকারসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। গত ৫ই আগস্ট দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই চুনারুঘাট পৌর শহরকে দখলে নেয় ছাত্ররা। এ সুযোগে পৌর শহরে অবস্থিত ‘মুক্তিযোদ্ধা চত্বর’র নামফলক পাল্টে ‘মেয়র মোহাম্মদ আলী চত্বর’ ব্যানার টানিয়ে দেয় একটি পক্ষ। এদিন রাতে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির বাস ও তার বাসায় আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় দুর্বৃত্তরা। তবে উপজেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ের অদূরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আক্রমণ করে একদল বিক্ষোভকারী। দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর চুনারুঘাটে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।