ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তারেক রহমানের অপেক্ষায় দেশবাসী Logo হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী Logo শায়েস্তাগঞ্জে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির হিড়িক, জড়িত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র Logo হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ Logo হাদিকে গুলি: হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি Logo শায়েস্তাগঞ্জ খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় উপজেলা যুবদলের দোয়া মাহফিল Logo চুনারুঘাট উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo হবিগঞ্জের বাহুবলে ট্রাক-চাপায় স্কুলশিক্ষক নিহত Logo হবিগঞ্জ বেপরোয়া ট্রাক চাপায় নারী নিহত Logo বেইলিব্রিজ ভেঙে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক

আর কোনো দল যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি, এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তেমন কীর্তিই গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালেন বাবর-রিজওয়ানরা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৬ রানের জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে। সাইম আইয়ুবের শতকের সাথে বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ ওভার আগেই ২৭১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইম আইয়ুবের শতকে দুর্দান্ত সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

তবে অপর ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট হাসেনি এদিন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। অর্ধশতক তুলে নেন রিজওয়ানও। ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মারকো জানসেন ও বিয়র্ন ফুরচুইন। ১টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও করবিন।

ডি-এল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। দল হেরে যাওয়ায় বৃথা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই।

ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া স্বাগতিকদের পক্ষে টনি ডি’জর্জি ২৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৩৫, মারকো জানসেন ২৬, করবিন ৪০ করলে ২৭১ রানে শেষ হয় দ. আফিকার ইনিংস।

পাকিস্তানের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।

ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও ওঠে সাইম আইয়ুবের হাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের কোনো দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রোটিয়ারা এর আগে নিজেদের ডেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ হারেনি। এবার বাভুমার দলকে হারিয়ে সেই কীর্তি গড়লো শাহিন-বাবররা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
১০২ বার পড়া হয়েছে

ঘরের মাঠে দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

আপডেট সময় ০৮:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আর কোনো দল যে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি, এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তেমন কীর্তিই গড়ল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবালেন বাবর-রিজওয়ানরা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৬ রানের জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে। সাইম আইয়ুবের শতকের সাথে বাবর-রিজওয়ানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৫ ওভার আগেই ২৭১ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সাইম আইয়ুবের শতকে দুর্দান্ত সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ৯৪ বলে ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কা একেকটি দৃষ্টিনন্দন শট।

তবে অপর ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের ব্যাট হাসেনি এদিন। বাবর আজম ৭১ বলে ৫২ রান করেন। অর্ধশতক তুলে নেন রিজওয়ানও। ৫২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের পক্ষে ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মারকো জানসেন ও বিয়র্ন ফুরচুইন। ১টি করে উইকেট নেন কোয়েনা মাফাকা ও করবিন।

ডি-এল মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩০৮ রানই। দল হেরে যাওয়ায় বৃথা হয় হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট হাতে দুরন্ত লড়াই।

ক্লাসেন ৪৩ বলে ৮১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া স্বাগতিকদের পক্ষে টনি ডি’জর্জি ২৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৩৫, মারকো জানসেন ২৬, করবিন ৪০ করলে ২৭১ রানে শেষ হয় দ. আফিকার ইনিংস।

পাকিস্তানের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।

ম্যাচের পাশাপাশি সিরিজসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও ওঠে সাইম আইয়ুবের হাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের কোনো দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রোটিয়ারা এর আগে নিজেদের ডেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ হারেনি। এবার বাভুমার দলকে হারিয়ে সেই কীর্তি গড়লো শাহিন-বাবররা।