ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুনারুঘাটে চা-বাগানে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘লাল শাপলা বিল’, দর্শনার্থীদের ভীড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

চার পাশে বিস্তৃর্ণ চা-বাগান। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু সবুজ চা-পাতার কুড়ি। এমন সবুজের সমারোহের মধ্যে এবার নতুন করে দর্শনার্থীদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘লাল শাপলা বিল’। ‘লাল শাপলা বিল’ এমন করে দর্শনার্থী টানছে যেন প্রকৃতির এক অনন্য নিদর্শন সেটি। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন দর্শনার্থীদের ভীড় লেগে থাকে সেখানে। ‘লাল শাপলা বিলের’ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ তরুণ তরুণীরা ও নানা বয়সের মানুষ জড়ো হচ্ছে বিলের পাড়ে। বিলের কালচে পানির ওপর সবুজের ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকা লাল শাপলায় প্রকৃতিকে যেন ডাকছে ভিন্নভাবে। ‘লাল শাপলা বিলটি’ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেওন্দি চা-বাগানের ভেতরে অবস্থিত।

ভোরের আলো ফুটতেই ‘লাল শাপলা বিলে’ গিয়ে দেখা যায়- চা-বাগানের মধ্য যেন ‘লাল শাপলা বিল’ নিজের অস্থিত্বের জানান দিচ্ছে। বিশাল আয়াতনের এই বিলটির পুরোটা জুড়ে ফুটে রয়েছে শাপলা ফুল। বিলের চার পাশে সকালেই দেখা মিলে শত শত দর্শনার্থীদের। তারা কেউ কেউ লাল শাপলার সাথে ছবি তুলছেন একক ভাবে আবার কেউ কেউ তুলছেন গ্রæপ ছবি। অনেকেই আবার সেখানে ছবি তুলে সাথে সাথে আপলোড করে দিচ্ছেন নিজেদের ফেসবুকে। মূলত ফেসবুকের কল্যাণেই গেল কিছু দিনের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে শাপলা বিলটি। যে কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিলটি দেখতে দর্শনার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। শুধু একক নয় পরিবার পরিজন নিয়েও সেখানে ঘুরতে যাচ্ছেন অনেকে।

এদিকে, ‘লাল শাপলা’ বিলে দেখতে যাওয়া অনেক দর্শনার্থীরা আবার শাপলা ছিড়ে হাতে করে ছবি তুলছেন। যে কারণে বিলটি থেকে প্রতিদিন শত শত শাপলা তোলা হচ্ছে। আর এতে করে দ্রæতই হুমকির মুখে পড়তে পারে এই বিলটির অপরুপ সৌন্দর্য্য। এমনিতেই পাহার টিলা বন ও আর চা বাগানে ঘেরা চুনারুঘাট উপজেলা তার পর আবার এখন ‘লাল শাপলা বিল’ যেন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। স্থানীয়রা জানান- মূলত রাতে শাপলা ফুটে তাই ফুটন্ত শাপলা দেখতে সকালেই সেখানে দর্শনার্থীদের ভীড় থাকে। দুপুর বেলায় রোদের কারণে শাপলা ফুল কিছু ঝিমিয়ে যায় আবার বিকেল বেলায় ছড়ায় সৌরভ। ফলে সকাল ও বিকেলে সেখানে মানুষের ভীড় বেশি থাকে।

শাপলা বিল দেখতে যাওয়া দর্শনার্থী তারেক নামে এক যুবক জানান- চা-বাগানের মধ্যে হওয়ায় সেখানে কোন কোলাহল নেই। দর্শনার্থীরা তাদের মনের ইচ্ছেমতো শাপলা ফুল বিলে গিয়ে ঘুরা ফেরা করতে পারছে। পাশে চা বাগান হওয়ায় সেখানে গিয়েও তারা ছবি তুলছে। তবে সকালের লাল শাপলা দেখতে বেশি সুন্দর। সাকিব নামে আরেক যুবক বলেন- আমরা ফেসবুকে ছবি দেখে হবিগঞ্জ শহর থেকে ‘লাল শাপলা বিল’ দেখতে এসেছি। প্রকৃতির এমন অন্যন্য সৌন্দর্য্য দেখে আমরা বন্ধুরা সকলেই মুগ্ধ। তাহসান জানান- দর্শনার্থীরা যদি ফুল ছিড়ে নিয়ে না যায় তা হলে এর সৌন্দর্য্য ধরে রাখা যাবে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনকেও তৎপর হতে হবে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান- ‘লাল শাপলা বিল’কে কেন্দ্র করে সেখানে দর্শানার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন। শাপলা বিলে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। দর্শনার্থীদের পাশে থাকতে সেখানে গ্রাম পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা শাপলা ফুল ছিড়তে দর্শনার্থীদের নিষেধ করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
১২ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাটে চা-বাগানে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘লাল শাপলা বিল’, দর্শনার্থীদের ভীড়

আপডেট সময় ০৩:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

চার পাশে বিস্তৃর্ণ চা-বাগান। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু সবুজ চা-পাতার কুড়ি। এমন সবুজের সমারোহের মধ্যে এবার নতুন করে দর্শনার্থীদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ‘লাল শাপলা বিল’। ‘লাল শাপলা বিল’ এমন করে দর্শনার্থী টানছে যেন প্রকৃতির এক অনন্য নিদর্শন সেটি। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন দর্শনার্থীদের ভীড় লেগে থাকে সেখানে। ‘লাল শাপলা বিলের’ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ তরুণ তরুণীরা ও নানা বয়সের মানুষ জড়ো হচ্ছে বিলের পাড়ে। বিলের কালচে পানির ওপর সবুজের ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকা লাল শাপলায় প্রকৃতিকে যেন ডাকছে ভিন্নভাবে। ‘লাল শাপলা বিলটি’ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেওন্দি চা-বাগানের ভেতরে অবস্থিত।

ভোরের আলো ফুটতেই ‘লাল শাপলা বিলে’ গিয়ে দেখা যায়- চা-বাগানের মধ্য যেন ‘লাল শাপলা বিল’ নিজের অস্থিত্বের জানান দিচ্ছে। বিশাল আয়াতনের এই বিলটির পুরোটা জুড়ে ফুটে রয়েছে শাপলা ফুল। বিলের চার পাশে সকালেই দেখা মিলে শত শত দর্শনার্থীদের। তারা কেউ কেউ লাল শাপলার সাথে ছবি তুলছেন একক ভাবে আবার কেউ কেউ তুলছেন গ্রæপ ছবি। অনেকেই আবার সেখানে ছবি তুলে সাথে সাথে আপলোড করে দিচ্ছেন নিজেদের ফেসবুকে। মূলত ফেসবুকের কল্যাণেই গেল কিছু দিনের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে শাপলা বিলটি। যে কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিলটি দেখতে দর্শনার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। শুধু একক নয় পরিবার পরিজন নিয়েও সেখানে ঘুরতে যাচ্ছেন অনেকে।

এদিকে, ‘লাল শাপলা’ বিলে দেখতে যাওয়া অনেক দর্শনার্থীরা আবার শাপলা ছিড়ে হাতে করে ছবি তুলছেন। যে কারণে বিলটি থেকে প্রতিদিন শত শত শাপলা তোলা হচ্ছে। আর এতে করে দ্রæতই হুমকির মুখে পড়তে পারে এই বিলটির অপরুপ সৌন্দর্য্য। এমনিতেই পাহার টিলা বন ও আর চা বাগানে ঘেরা চুনারুঘাট উপজেলা তার পর আবার এখন ‘লাল শাপলা বিল’ যেন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। স্থানীয়রা জানান- মূলত রাতে শাপলা ফুটে তাই ফুটন্ত শাপলা দেখতে সকালেই সেখানে দর্শনার্থীদের ভীড় থাকে। দুপুর বেলায় রোদের কারণে শাপলা ফুল কিছু ঝিমিয়ে যায় আবার বিকেল বেলায় ছড়ায় সৌরভ। ফলে সকাল ও বিকেলে সেখানে মানুষের ভীড় বেশি থাকে।

শাপলা বিল দেখতে যাওয়া দর্শনার্থী তারেক নামে এক যুবক জানান- চা-বাগানের মধ্যে হওয়ায় সেখানে কোন কোলাহল নেই। দর্শনার্থীরা তাদের মনের ইচ্ছেমতো শাপলা ফুল বিলে গিয়ে ঘুরা ফেরা করতে পারছে। পাশে চা বাগান হওয়ায় সেখানে গিয়েও তারা ছবি তুলছে। তবে সকালের লাল শাপলা দেখতে বেশি সুন্দর। সাকিব নামে আরেক যুবক বলেন- আমরা ফেসবুকে ছবি দেখে হবিগঞ্জ শহর থেকে ‘লাল শাপলা বিল’ দেখতে এসেছি। প্রকৃতির এমন অন্যন্য সৌন্দর্য্য দেখে আমরা বন্ধুরা সকলেই মুগ্ধ। তাহসান জানান- দর্শনার্থীরা যদি ফুল ছিড়ে নিয়ে না যায় তা হলে এর সৌন্দর্য্য ধরে রাখা যাবে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনকেও তৎপর হতে হবে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান- ‘লাল শাপলা বিল’কে কেন্দ্র করে সেখানে দর্শানার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন। শাপলা বিলে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। দর্শনার্থীদের পাশে থাকতে সেখানে গ্রাম পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা শাপলা ফুল ছিড়তে দর্শনার্থীদের নিষেধ করছে।