ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ৫২৩ বছরের ঐতিহ্য শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর জামে মসজিদ Logo নবীগঞ্জে পাখি শিকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা বন্য বালিহাস পাখি অবমুক্তি,পাখি শিকারীকে অর্থদন্ড Logo আবারও প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে চুনারুঘাটের শাপলা বিল Logo বাহুবল শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Logo হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযান, ৯ জনকে কারাদন্ড Logo হবিগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকার অব্যবহৃত যানে গজিয়েছে গাছ Logo দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুসহ ৯ দফা দাবীতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে মানববন্ধন পালন Logo হবিগঞ্জ থেকে প্রতিদিন মিলবে আরও ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস Logo নবীগঞ্জে পিতার দায়ের কোপে মেয়ে খুন,ঘাতক পিতা আটক। Logo হবিগঞ্জে বাস উল্টে যুবকের মৃত্যু, আহত ৫০

জেলায় ৩৯৯ হেক্টর আমন ধান ও ৮০ হেক্টর শাক-সবজির ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে ‘শিলাবৃষ্টি’ হয়েছে। চলতি মৌসুমের রোপা আমনসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯৯ হেক্টর আমন ও ৮০ হেক্টর শাক-সবজির ক্ষতি নষ্ট হয়েছে।

এতে ধান ও শাক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। লোকসান পুষিতে তুলতে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল ও বানিয়াচং উপজেলার ওপর দিয়ে শিলাসহ বৃষ্টিপাত ও ধমকা হাওয়া বয়ে যায়।

এ সময় প্রায় ২০ মিনিট শিলাবৃষ্টি হয়। ফলে আমন ও শাক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এতে ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে অনেক কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। লাভের আশায় শীতের শাক সবজি চাষ করে এখন লোকসানে তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শিলা বৃষ্টিতে জেলায় ৩৯৯ হেক্টর আমন ও ৮০ হেক্টর শাক সবজি নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় ক্ষতির পরিমান বেশি। হবিগঞ্জ সদরে ২৯৫ হেক্টর আমন ও ৫৪ হেক্টর শাক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এতে উপজেলার গোপায়া, লস্করপুর ও নিজামপুর ইউনিয়নের কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এছাড়া অনেক উপজেলায় ধানের চারায় শিষ জন্ম না নেয়ায় তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। তবে বাতাসে ধানের চারা নুয়ে পড়লে ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এদিকে, গতকাল বুধবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম। পরিদর্শনকালে তিনি কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং তালিকা তৈরী করে সরকারী ভাবে সহযোগিতার আশ^াদ দেন তিনি।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম বলেন, ‘অসময়ে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে সদর উপজেলার ২৯৫ হেক্টর ধানের জমি ও ৫৪ হেক্টর শাক সবজির ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করে তাদের সহযোগিতা করা হবে’।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
১০২ বার পড়া হয়েছে

জেলায় ৩৯৯ হেক্টর আমন ধান ও ৮০ হেক্টর শাক-সবজির ক্ষতি

আপডেট সময় ১২:৪৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে ‘শিলাবৃষ্টি’ হয়েছে। চলতি মৌসুমের রোপা আমনসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯৯ হেক্টর আমন ও ৮০ হেক্টর শাক-সবজির ক্ষতি নষ্ট হয়েছে।

এতে ধান ও শাক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। লোকসান পুষিতে তুলতে মাথায় হাত পড়েছে তাদের। জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, বাহুবল ও বানিয়াচং উপজেলার ওপর দিয়ে শিলাসহ বৃষ্টিপাত ও ধমকা হাওয়া বয়ে যায়।

এ সময় প্রায় ২০ মিনিট শিলাবৃষ্টি হয়। ফলে আমন ও শাক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এতে ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে অনেক কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। লাভের আশায় শীতের শাক সবজি চাষ করে এখন লোকসানে তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শিলা বৃষ্টিতে জেলায় ৩৯৯ হেক্টর আমন ও ৮০ হেক্টর শাক সবজি নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ সদর, শায়েস্তাগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় ক্ষতির পরিমান বেশি। হবিগঞ্জ সদরে ২৯৫ হেক্টর আমন ও ৫৪ হেক্টর শাক সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এতে উপজেলার গোপায়া, লস্করপুর ও নিজামপুর ইউনিয়নের কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এছাড়া অনেক উপজেলায় ধানের চারায় শিষ জন্ম না নেয়ায় তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। তবে বাতাসে ধানের চারা নুয়ে পড়লে ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এদিকে, গতকাল বুধবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম। পরিদর্শনকালে তিনি কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং তালিকা তৈরী করে সরকারী ভাবে সহযোগিতার আশ^াদ দেন তিনি।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম বলেন, ‘অসময়ে শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে সদর উপজেলার ২৯৫ হেক্টর ধানের জমি ও ৫৪ হেক্টর শাক সবজির ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করে তাদের সহযোগিতা করা হবে’।