ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হবিগঞ্জে জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৬৫.১৪ শতাংশ, ১০ বছরে চরম বিপর্যয় Logo চিচিঙ্গা চাষে সফল বাহুবল উপজেলার কৃষক নুরুল Logo নবীগঞ্জে সংঘর্ষের ৩ দিন পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ,পুলিশ বাদী হয়ে ০৮ সাংবাদিক সহ ৩২ জন সহ অজ্ঞাত ৪/৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo চুনারুঘাটে ড্রাগন চাষে সফল সৌদি প্রবাসি জহুর হোসেন Logo শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকের বিষক্রিয়ায় ৪ জনের মৃত্যু Logo নবীগঞ্জ শহরসহ ৭টি গ্রামের মানুষ জন শুন্য যৌথবাহিনী অভিযান ১৩ জন আটক Logo হবিগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই Logo নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষ নিহত ১ আহত কয়েক শতাধিক Logo জুলাই অভ্যুত্থানে নৃশংস হামলার আসামি ও দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি Logo ৪দিনের উত্তেজনার পর নবীগঞ্জে কয়েক হাজার মানুষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত কয়েক শতাধিক

টেকনাফ সমুদ্র সৈকত থেকে পাচার হচ্ছে শামুক-ঝিনুক, হুমকিতে পরিবেশ

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজার টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার মাথা ভাঙ্গা এলাকায় প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় পাচার হচ্ছে পরিবেশ এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা ঝিনুক আহরণ করা হচ্ছে। যার ফলে সমুদ্রের ভাঙ্গন, জীব বৈচিত্র নিধন সহ পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে দিকে সমুদ্র সৈকত গিয়ে দেখা যায় সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক আহরণ করছেন ৭/ ৮ জনের একটি সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে তারা তা বস্তা বন্দি করে রাখছেন সমুদ্র পাড়ে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সময় তাদের ঝিনুক উত্তোলন করতে দেখা যায়, এবং একটি সিন্ডিকেট তা পরিচালনা করেন। তারা সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক গুলো পাচার করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে, তারা আরো বলেন, এই ঝিনুক গুলো সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে, এবং ঝিনুক গুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি অনুরোধ রাখব, তারা যেন এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন ।

এ বিষয়ে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক আহরনকারী জাফর আলম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদেরকে প্রশাসন বাঁধা দেয়, আমরা আমাদের জীবিকার তাগিদে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে, ঝিনুক গুলো উত্তোলন করে বিক্রি করি।

বস্তার পেছনে ৫০/৬০ টাকা করে পায় তা দিয়ে আমাদের পরিবার চলে। একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলী জানান, এগুলো অহরহ বেচাকেনা হয়, এই ঝিনুক গুলো মূলত মাছের খাদ্য, মুরগির খাদ্যে, এবং পানির ফিল্টারিং কাজে ও ব্যবহার করা যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এগুলো করি আমরা।

তিনি আরো বলেন, আমরা অভাবী লোক তারা জীবিকার তাগিদে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক উত্তোলন করে, বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে এসব বিক্রি করে আমাদের সংসার চলান।

টেকনাফ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা না থাকায়, কক্সবাজার জেলার পরিবেশ অধিদপ্তর (পরিচালক) মুহাম্মদ সোলায়মান হায়দার” এর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, মোবাইল রিসিভ না করায়, বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাহারছড়া তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ ছমি উদ্দিন বলেন- আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব। ইতিমধ্যে আমাদের টহল টিম ওই এলাকায় রয়েছে, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা এদের কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নি না।

টেকনাফে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন- ইতিপূর্বে ও বাহার ছড়া ইউপির সমুদ্র সৈকত থেকে অবৈধভাবে ঝিনুক ও শামুক উত্তোলন করায় এক বৃদ্ধাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা নতুন করে অবৈধভাবে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক ও শামুক করছে করছে, তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে এবং তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে সহযোগিতা করুন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
৯৫ বার পড়া হয়েছে

টেকনাফ সমুদ্র সৈকত থেকে পাচার হচ্ছে শামুক-ঝিনুক, হুমকিতে পরিবেশ

আপডেট সময় ০৯:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

কক্সবাজার টেকনাফের উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার মাথা ভাঙ্গা এলাকায় প্রতিনিয়ত অভিনব কায়দায় পাচার হচ্ছে পরিবেশ এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা ঝিনুক আহরণ করা হচ্ছে। যার ফলে সমুদ্রের ভাঙ্গন, জীব বৈচিত্র নিধন সহ পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে দিকে সমুদ্র সৈকত গিয়ে দেখা যায় সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক আহরণ করছেন ৭/ ৮ জনের একটি সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে তারা তা বস্তা বন্দি করে রাখছেন সমুদ্র পাড়ে।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সময় তাদের ঝিনুক উত্তোলন করতে দেখা যায়, এবং একটি সিন্ডিকেট তা পরিচালনা করেন। তারা সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক গুলো পাচার করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে, তারা আরো বলেন, এই ঝিনুক গুলো সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে, এবং ঝিনুক গুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি অনুরোধ রাখব, তারা যেন এ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন ।

এ বিষয়ে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক আহরনকারী জাফর আলম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদেরকে প্রশাসন বাঁধা দেয়, আমরা আমাদের জীবিকার তাগিদে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে, ঝিনুক গুলো উত্তোলন করে বিক্রি করি।

বস্তার পেছনে ৫০/৬০ টাকা করে পায় তা দিয়ে আমাদের পরিবার চলে। একই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলী জানান, এগুলো অহরহ বেচাকেনা হয়, এই ঝিনুক গুলো মূলত মাছের খাদ্য, মুরগির খাদ্যে, এবং পানির ফিল্টারিং কাজে ও ব্যবহার করা যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এগুলো করি আমরা।

তিনি আরো বলেন, আমরা অভাবী লোক তারা জীবিকার তাগিদে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক উত্তোলন করে, বিক্রি করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে এসব বিক্রি করে আমাদের সংসার চলান।

টেকনাফ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা না থাকায়, কক্সবাজার জেলার পরিবেশ অধিদপ্তর (পরিচালক) মুহাম্মদ সোলায়মান হায়দার” এর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, মোবাইল রিসিভ না করায়, বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাহারছড়া তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ ছমি উদ্দিন বলেন- আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব। ইতিমধ্যে আমাদের টহল টিম ওই এলাকায় রয়েছে, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা এদের কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নি না।

টেকনাফে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন- ইতিপূর্বে ও বাহার ছড়া ইউপির সমুদ্র সৈকত থেকে অবৈধভাবে ঝিনুক ও শামুক উত্তোলন করায় এক বৃদ্ধাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা নতুন করে অবৈধভাবে সমুদ্র সৈকত থেকে ঝিনুক ও শামুক করছে করছে, তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে এবং তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে সহযোগিতা করুন।