ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাচদের কাঁদিয়ে ইউরোর টানা দ্বিতীয় ফাইনালে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক

২০২৪ জার্মান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইংল্যান্ড। বুধবার জার্মানির ডর্টমুন্ডে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পাওয়া ইংল্যান্ড এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে গেল। এর আগে ২০২১ সালের ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে খেলেছিল ইংল্যান্ড। যদিও সেবার টাইব্রেকারে ইতালির কাছে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল থ্রি লায়ন্সদের।

ম্যাচের শুরুতে যদিও এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। ফলে চার মিনিটেই প্রথম আক্রমণ করে তারা। কিন্তু বেশিক্ষণ ডাচদের ঠেকাতে পারেনি তারা। ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে আক্রমণে উঠেন জাভি সিমন্স। কিছুটা দূর থেকেই জালে শট নেন তিনি। যার নাগালই পাননি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর পেনাল্টি থেকে সেটা শোধ করলো ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে দুই দলই সমানতালে আক্রমণ করলেও গোল আসেনি।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই যেন খেলার সেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে। তবে নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মিনিটে এগিয়ে গেলো ইংলিশরা। আর তাতে ঐতিহাসিক জয়ে ইউরোতে টানা দ্বিতীয় আসরে ফাইনালে উঠলো গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

আজ চলতি ইউরোর দ্বিতীয় সেমিতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। বিদেশের মাটিতে কোনো মেজর টুর্নামেন্টে এই প্রথম ফাইনালে উঠলো ইংলিশরা। এর আগে গত আসরে ঘরের মাঠে ফাইনালে উঠলেও ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারে তারা।

এর আগে ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে দর্শকেরা স্থির হয়ে বসার আগেই ইংলিশ গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দেন ডাচ তারকা জাভি সিমন্স। ম্যাচের ৭ম মিনিটে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় ডেকলান রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বুলেট শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। ১৭তম মিনিটে হ্যারি কেইনের শট ঠেকাতে গিয়েই তাঁকে ফাউল করে বসেন নেদারল্যান্ডসের ডেনজিল ডামফ্রিস। ভিএআরে যাচাই করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ১৮তম মিনিটে ইংলিশদের সমতায় ফেরান হ্যারি কেইন। সঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও ইংলিশ অধিনায়কের শট ঠেকাতে পারেননি ডাচ গোলরক্ষক।

বিরতির পর দুই দলই সতর্কতার সঙ্গে শুরু করে। রক্ষণ সুরক্ষিত রেখে আক্রমণে চোখ রাখে তারা। যে কারণে এ সময় খেলা কিছুটা মন্থরও হয়ে পড়ে। আর ডাচরা আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পেরে উঠছিল না। ফলে বিরতির পর ৭০ মিনিট পর্যন্ত কিছুটা নিষ্প্রাণ খেলায় হয়েছে।

এর মধ্যে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে ৯০তম মিনিটে আর সুযোগ মিস করেননি ওলি ওয়াটকিনস। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডে পৌঁছে দেন ফাইনালে।ফলে চলতি ইউরোর দ্বিতীয় সেমিতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
৪৫ বার পড়া হয়েছে

ডাচদের কাঁদিয়ে ইউরোর টানা দ্বিতীয় ফাইনালে ইংল্যান্ড

আপডেট সময় ০৬:৪৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

২০২৪ জার্মান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইংল্যান্ড। বুধবার জার্মানির ডর্টমুন্ডে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পাওয়া ইংল্যান্ড এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে গেল। এর আগে ২০২১ সালের ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে খেলেছিল ইংল্যান্ড। যদিও সেবার টাইব্রেকারে ইতালির কাছে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল থ্রি লায়ন্সদের।

ম্যাচের শুরুতে যদিও এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। ফলে চার মিনিটেই প্রথম আক্রমণ করে তারা। কিন্তু বেশিক্ষণ ডাচদের ঠেকাতে পারেনি তারা। ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে আক্রমণে উঠেন জাভি সিমন্স। কিছুটা দূর থেকেই জালে শট নেন তিনি। যার নাগালই পাননি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর পেনাল্টি থেকে সেটা শোধ করলো ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে দুই দলই সমানতালে আক্রমণ করলেও গোল আসেনি।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই যেন খেলার সেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে। তবে নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মিনিটে এগিয়ে গেলো ইংলিশরা। আর তাতে ঐতিহাসিক জয়ে ইউরোতে টানা দ্বিতীয় আসরে ফাইনালে উঠলো গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

আজ চলতি ইউরোর দ্বিতীয় সেমিতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। বিদেশের মাটিতে কোনো মেজর টুর্নামেন্টে এই প্রথম ফাইনালে উঠলো ইংলিশরা। এর আগে গত আসরে ঘরের মাঠে ফাইনালে উঠলেও ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারে তারা।

এর আগে ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে দর্শকেরা স্থির হয়ে বসার আগেই ইংলিশ গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দেন ডাচ তারকা জাভি সিমন্স। ম্যাচের ৭ম মিনিটে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় ডেকলান রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বুলেট শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। ১৭তম মিনিটে হ্যারি কেইনের শট ঠেকাতে গিয়েই তাঁকে ফাউল করে বসেন নেদারল্যান্ডসের ডেনজিল ডামফ্রিস। ভিএআরে যাচাই করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ১৮তম মিনিটে ইংলিশদের সমতায় ফেরান হ্যারি কেইন। সঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও ইংলিশ অধিনায়কের শট ঠেকাতে পারেননি ডাচ গোলরক্ষক।

বিরতির পর দুই দলই সতর্কতার সঙ্গে শুরু করে। রক্ষণ সুরক্ষিত রেখে আক্রমণে চোখ রাখে তারা। যে কারণে এ সময় খেলা কিছুটা মন্থরও হয়ে পড়ে। আর ডাচরা আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পেরে উঠছিল না। ফলে বিরতির পর ৭০ মিনিট পর্যন্ত কিছুটা নিষ্প্রাণ খেলায় হয়েছে।

এর মধ্যে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে ৯০তম মিনিটে আর সুযোগ মিস করেননি ওলি ওয়াটকিনস। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডে পৌঁছে দেন ফাইনালে।ফলে চলতি ইউরোর দ্বিতীয় সেমিতে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।