ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ Logo হবিগঞ্জ-১: রেজা কিবরিয়ার যোগদানে বিএনপিতে এখন ত্রিমুখী লড়াই Logo হবিগঞ্জের নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo ড. ফরিদুর রহমান বদলি, নতুন ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন Logo মসজিদে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে খুন : অভিযুক্ত আটক Logo ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: শায়েস্তাগঞ্জে তরুণী গ্রেপ্তার Logo ৭ই নভেম্বর ও একজন দেশ প্রেমিক জিয়াউর রহমান Logo হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন নিয়ে তোড়জোর, বিএনপিতে যোগ দিলেন ড. রেজা কিবরিয়া, বদলে যাচ্ছে সমীকরণ! Logo হবিগঞ্জে ৮টির মধ্যে ৪ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং Logo হবিগঞ্জে চুনারুঘাট শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

বান্দরবানে বেনজীরের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি ডিসির তত্ত্বাবধানে

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাগানবাড়ি গরু ও মৎস্য খামার তত্ত্বাবধানে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ঘটনাস্থলে গিয়ে সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নেওয়ার পর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে বাগানবাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজীর আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে। এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে। আজ থেকে এ জমির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মঞ্জুরুল হককে আহবায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এখন থেকে এ বিষয়ে সার্বিক তদারকি করার পাশাপাশি সব আয় ব্যয়ের হিসেবে দুদকের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মঞ্জুরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিচালক এমএম শাহনেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক খুঁজে বের করার পর বান্দরবানেও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মেলে। বান্দরবানের সুয়ালকে ৫০ একর ও লামায় প্রায় ১০০ একর সম্পত্তি রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
১২৪ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানে বেনজীরের ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি ডিসির তত্ত্বাবধানে

আপডেট সময় ০৮:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

বান্দরবানের সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাগানবাড়ি গরু ও মৎস্য খামার তত্ত্বাবধানে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ঘটনাস্থলে গিয়ে সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নেওয়ার পর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে বাগানবাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজীর আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে। এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে। আজ থেকে এ জমির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মঞ্জুরুল হককে আহবায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এখন থেকে এ বিষয়ে সার্বিক তদারকি করার পাশাপাশি সব আয় ব্যয়ের হিসেবে দুদকের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মঞ্জুরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ-পরিচালক এমএম শাহনেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক খুঁজে বের করার পর বান্দরবানেও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মেলে। বান্দরবানের সুয়ালকে ৫০ একর ও লামায় প্রায় ১০০ একর সম্পত্তি রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।