বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের হিড়িক
দেশে চলমান পরিস্থিতিতে আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদত্যাগের হিড়িক চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে সচিবালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
এরইমধ্যে, প্রধান বিচারপতির পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, শনিবার দুপুরে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেছেন। তিনি ছাড়াও সাতটি হলের প্রভোস্ট পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তারা পদত্যাগ করেন। উপ-উপাচার্য ড. সীতেয় চন্দ্র বাছার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রভোস্টরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের অধ্যাপক বিললাহ হোসেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অধ্যাপক আকরাম হোসেন, বিজয় একাত্তর হলের ড. আব্দুল বাছির, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ড. আব্দুর রহিম, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন, রোকেয়া হলের ড. নিলুফার পারভীন এবং শামসুন নাহার হলের ড. লাফিফা জামাল।
এদিকে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আল্টিমেটামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।
জানা গেছে, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ থেকে অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বাংলা একাডেমির পরিচারক ড. সরকার আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে অনলাইনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।